• মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪২৯
উখিয়ার উয়ালা বনবিটের জায়গা দখলের হিড়িক

উখিয়ায় বন বিট অফিসের জায়গা দখল, দেখা নেই বিট কর্মকর্তার

ছবি : বাংলাদেশের খবর

অপরাধ

উখিয়ার উয়ালা বনবিটের জায়গা দখলের হিড়িক

  • উখিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮

কক্সবাজার দক্ষিন বন বিভাগের উখিয়া রেঞ্জের আওতাধীন উয়ালা বনবিট অফিসের সংরক্ষিত জায়গা দখল করে বসতবাড়ী নির্মানের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা অফিস ভিঠায় অবৈধ স্থাপনা নির্মানের নেপথ্যে উয়ালা বনবিটের দায়িত্বরত কর্মকর্তা ফেরদৌস আহম্মদ ফরেষ্টারকে দায়ী করে বলেন, এ বিটে দুই তৃতীয়াংশ বন ভুমি ও প্রায় শতাধিক মাদার ট্রি লুটপাটসহ অব্যাহত বন ভুমি দখলের ফলে এ বিটের আওতাধীন সংরক্ষিত বন ভুমির অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যাওয়ার আশংকা করা হচ্ছে।

২০১৭ সালের ২৫ আগষ্ট মিয়ানমার থেকে প্রায় ৮ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা উখিয়ার বিভিন্ন বন ভুমিতে আশ্রয় নিলেও উয়ালা বনবিটের আওতাধীন বন ভুমি রোহিঙ্গাদের কোন প্রভাব পড়েনি। তবে রোহিঙ্গা আসার কারনে জমিজমার দাম বেড়ে যাওয়ায় বন ভুমি দখল প্রবনতা বেড়েছে আশংকাজনক ভাবে। সরজমিন উখিয়া রেঞ্জের নিয়ন্ত্রনাধীন উয়ালা বনবিট অফিসের সংরক্ষিত এলাকা ঘুরে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, উয়ালা বনবিট অফিসটি সংরক্ষন না করায় অনেক আগেই অফিসটি বিলুপ্ত হয়ে গেছে। তার পরেও অফিসের জায়গাটি সংরক্ষন করার বাধ্যবাদকতা থাকলেও এ অফিসের জায়গাটি কেন বেদখলে চলে যাচ্ছে তা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা ও ঠিকাদার ফরিদুল আলম জানান, উয়ালা বনবিট অফিসটি চালু রাখা হলে বন ভুমির উন্নয়নসহ কাঠ সম্পদ বিক্রির মাধ্যমে সরকারের এখাতে প্রচুর পরিমান রাজস্ব আদায় হতো। তিনি বলেন, এখানে একজন বনবিট কর্মকর্তা থাকলেও অফিস না থাকার কারনে তিনি প্রায় সময় কর্মস্থলে থাকেন না। যে কারনে সরকারের বন সম্পদ দায়সারা ভাবে বেদখল হয়ে যাচ্ছে। প্রত্যক্ষদর্শী মাষ্টার জানে আলম জানান, ফেরদৌস আহম্মদ ফরেষ্টারের নামের একজন বনবিট কর্মকর্তা উয়ালা বনবিটে যোগদান করার পর থেকে বন ভুমি বেদখল প্রবনতা বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি বলেন, এমনকি বনবিটের অফিস ভিটাতেও ঘরবাড়ী নির্মান করতে দেখা গেছে। উয়ালা বনবিট এলাকায় যুগযুগ ধরে বসবাসরত ফজল করিমের ছেলে মোজাম্মেল হক জানান, অন্যান্যদের মত সেও বন ভুমিতে একটি বাড়ী নির্মান করে স্বপরিবারে বসবাস করে আসছিল। বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে বিট কমকর্তা তার কাছ থেকে টাকা দাবী করে। টাকা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় বিট কর্মকর্তা তাকে আসামী করে একটি মিথ্যা পাহাড় কাটার মামলা করেন। সে জানান, গত ২/৩ দিনের মধ্যে কালো পলিথিনের ঘেরা দিয়ে অবৈধ ভাবে বাড়ী নির্মান করছে আবুল বশরের ছেলে ছৈয়দ আলম। সে ছাড়াও অফিস ভিটার চারপাশের জায়গা দখল করে শতাধীক বাড়ী নির্মান করা হয়েছে। তাদের জন্য কোন আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি কেন জানতে চাওয়া হলে বিট কর্মকর্তা ফেরদৌস জানান, তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এব্যাপারে রেঞ্জ কর্মকর্তা কাজী তারিকুর রহমান জানান, অফিস ভিঠায় স্থাপনা নির্মান করা হলে তার বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads