• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
ঢাবির ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ‘প্রশ্নফাঁস’

সকাল ১১টায় পরীক্ষা শেষে সরবরাহ করা প্রশ্নের সঙ্গে অনুষ্ঠিত পরীক্ষার মূল প্রশ্নের হুবহু মিল পাওয়া গেছে

সংগৃহীত ছবি

অপরাধ

ঢাবির ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ‘প্রশ্নফাঁস’

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১২ অক্টোবর ২০১৮

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে ‘ঘ’ ইউনিটের অধীনে অনুষ্ঠিত প্রথম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ উঠেছে।  সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া হাতে লেখা প্রশ্নের সঙ্গে মূলপ্রশ্নের ৭২টি মিলে গেছে।

আজ শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত এ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ৫০টি কেন্দ্রে ও ক্যাম্পাসের বাইরে ৩১টি স্কুল কলেজসহ মোট ৮১টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এর আগে সকাল সাড়ে দশটায় ১০০টি হাতে লেখা উত্তরসহ একসেট প্রশ্নপত্র একজন সাংবাদিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক সোহেল রানাকে সরবরাহ করেন। একই প্রশ্নপত্র সকাল ৯টা ১৭ মিনিটে ফেসবুক মেসেঞ্জারে অনেকের কাছে এসেছিল।

সকাল ১১টায় পরীক্ষা শেষে সরবরাহ করা প্রশ্নের সঙ্গে অনুষ্ঠিত পরীক্ষার মূল প্রশ্নের হুবহু মিল পাওয়া গেছে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক গোলাম রাব্বানী সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রশ্ন ফাঁস নয়, এটা ডিজিটাল জালিয়াতি হতে পারে। বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তদন্ত করে দেখবে।’

এর আগেও গত বছর ‘ঘ’ ইউনিটের প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ উঠেছিল। বিশ্ববিদ্যালয় এটাকে ডিজিটাল জালিয়াতি বলে আখ্যায়িত করে একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করে।

সেই কমিটির প্রধান ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক নাসরীন আহমাদ। কিন্তু এক বছরেও সেই তদন্ত শেষ করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ।

 এ বছর  ‘ঘ’ ইউনিটে ১৬১৫টি আসনের বিপরীতে (বিজ্ঞানে- ১১৫২টি, বিজনেস স্টাডিজে- ৪১০, মানবিকে- ৫৩টি) ভর্তিচ্ছু আবেদনকারীর সংখ্যা ৯৫ হাজার ৩৪১জন। অর্থাৎ প্রতি আসনে লড়ছেন ৫৯ জন শিক্ষার্থী। পরীক্ষার কেন্দ্রে মোবাইল ফোন বা টেলিযোগাযোগ করা যায় এমন কোনো ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads