• বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪২৯
জরিমানা দিয়েই পার পেয়ে যাচ্ছে পাহাড় খেকোরা

বান্দরবানের লামায় পাহাড় কাটার দায়ে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে উপজেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর

ছবি : বাংলাদেশের খবর

অপরাধ

জরিমানা দিয়েই পার পেয়ে যাচ্ছে পাহাড় খেকোরা

  • লামা (বান্দরবান) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২৯ অক্টোবর ২০১৮

লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের কুমারী এলাকায় অবৈধভাবে পাহাড় কাটার দায়ে গাজী রাবার প্লান্টেশনকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত । পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজার জেলার এনফোর্সমেন্ট টিম গতকাল রোববার সন্ধ্যায় লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নূর-এ-জান্নাত রুমি এর নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে। এসময় পরিবেশ সংরক্ষণ আইনে পাহাড় কাটার দায়ে গাজী প্লান্টেশনকে এই জরিমানা করা হয়।

পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজার জেলার সহকারী পরিচালক সাইফুল আশ্রাব জানান, গাজী গ্রুপ লামা উপজেলার কুমারী এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে পাহাড় কেটে আসছে। ২ মাস পূর্বেও গাজী গ্রুপকে একই স্থানে পাহাড় কাটার অপরাধে ৬ লাখ ৫২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছিল। কিন্তু তারা একই অপরাধ পুনরায় সংঘটিত করে পাহাড় কাটা অব্যাহত রেখেছে। পুনরায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে পাহাড় কাটা বন্ধ রাখার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার সময় গাজী গ্রুপের লামার ম্যানেজার হিরো বড়ুয়া (২৮) কে এক লাখ টাকা জরিমানা করে আদায় করা হয়েছে।

স্থানীয়রা বলছেন, ৪/৫ মাস ধরে মেইন রোডের পাশে স্কেভেটর ও ড্রোজার দিয়ে সমানে পাহাড় কেটে চলেছে গাজী গ্রুপ। ইতিমধ্যে ২টি স্কেভেটর ও ২টি ড্রোজার দিয়ে ৬/৭টি পাহাড় কেটে সমান করা হয়েছে। এভাবে পাহাড় কাটা অব্যাহত থাকলে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়বে। ঘটবে মারাত্মক ভূমিধস। জরিমানা করে পাহাড় কাটা বন্ধ করা সম্ভব নয় বলে তারা জানায়। গাজী গ্রুপ আরও অন্তত ১০টি পাহাড় কাটার আয়োজন চূড়ান্ত করেছে।

নাম প্রকাশ না করা শর্তে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, পাহাড় কাটার সাথে প্রশাসনের কিছু লোক জড়িত রয়েছে। উচ্চ পর্যায়ের কোন কর্মকর্তা আসার আগে পাহাড় খেকোরা সতর্ক বা খবর পেয়ে যায়। তারা স্কেভেটর ও ড্রোজার সরিয়ে ফেলে। পরে প্রশাসনের শীর্ষ লোকজন এসে খালি মাঠে নামমাত্র জরিমানা করে চলে যায় এবং তারা পুনরায় পাহাড় কাটে। স্থায়ীভাবে পাহাড় কাটা বন্ধ হয়না। আইনের কঠোর প্রয়োগ না হওয়ায় পাহাড় খেকোরা ইচ্ছে মতো পাহাড় কেটে যাচ্ছে। আক্ষেপ করে তিনি বলেন, জরিমানা দিয়েই পার পেয়ে যাচ্ছে পাহাড় খেকোরা। জরিমানা দিলে কি পাহাড় কাটা বৈধ ?

উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূর-এ জান্নাত রুমি বলেন, গাজী গ্রুপকে পাহাড় কাটতে নিষেধ করা হয়েছে। আবার কাটলে পুনরায় জরিমানা করা হবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads