• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
মহেশপুরে মাদ্রাসার টাকা সভাপতির পকেটে!

মহেশপুর উপজেলার পলিয়ানপুর দাখিল মাদ্রাসা

ছবি : বাংলাদেশের খবর

অপরাধ

মহেশপুরে মাদ্রাসার টাকা সভাপতির পকেটে!

  • প্রকাশিত ০৭ নভেম্বর ২০১৮

মহেশপুর(ঝিনাইদহ)প্রতিনিধি

মহেশপুর উপজেলার পলিয়ানপুর দাখিল মাদ্রাসার ১০ লাখ টাকা ব্যাংকে না রেখে সভাপতির পকেটে রেখেছেন। অভিভাবক মহলের ধারনা উক্ত টাকা কমিটির লোকজন ভাগাভাগি করে ব্যাবসা বাণিজ্যে লগ্নি করেছে।

জানা গেছে, ১৯৯৭সালে পলিয়ানপুর দাখিল মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০১৬সাল পর্যন্ত উক্ত মাদ্রাসায় সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন পলিয়ানপুর গ্রামের ডাক্তার ইমারুল হক। তিনি সভাপতি থাকাকালীন প্রতি বছর মাদ্রাসা প্রাঙ্গনে ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করতেন। মাহাফিলে গড়ে প্রতিবছর ১ লাখ টাকা আয় হতো। এ হিসাবে ইমারুলের নিকট বিবিধ খরচ বাদে মাদ্রাসার ১০ লাখ টাকা জমা ছিল। ইমারুলের নিকট থেকে টাকা আদায় করে মানেজিং কমিটির সদস্যরা তা ব্যাংকে রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। তাৎক্ষনিক জমি বিক্রি করতে না পারায় বর্তমান সভাপতি কবির শেখ ১০ লাখ টাকার বিনিময়ে সাবেক সভাপতির পৌত্রিক দুই বিঘা জমি নিজ নামে রেজিষ্ট্রি করে নেন। এর পরিবর্তে কবির শেখের  ১০ লাখ টাকা মাদ্রাসার ব্যাংক হিসাবে জমা দেওয়ার কথা থাকলেও তিনি দুই বছরেও টাকা জমা দেননি। এ নিয়ে অভিভাবক মহল মনে করছেন টাকাটা ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা আত্নসাতের পায়তারা করছেন।

কাজীরবেড় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুজ্জামান তরফদার জানান, সাবেক সভাপতি মাদ্রাসার টাকার হিসাব না দিতে পারায় আমারা কয়েক গ্রামের গন্যমান্য ব্যাক্তি বর্গ বসে ১০ লাখ টাকা ফেরত চাই। তিনি জমি বিক্রি করে আমাদের টাকা দিবে বলেন। পরে বর্তমান সভাপতি রাইপুর মাঠের দুই বিঘা জমি ১০ লাখ টাকা মাদ্রাসায় জমা দিবে মর্মে নিজ নামে লিখে নেন। কিন্তু অদ্যবধি দুই বছরেও সেই টাকা জমা করা হয়নি।

মাদ্রাসার সাবেক সভাপতি ডাক্তার ইমারুল হক বলেন, ‘আমি সভাপতি থাকা অবস্থায় কিছু টাকা আমার নিকট জমা ছিল কিন্তু বর্তমান সভাপতি কবির ও অন্যান্যরা অন্যায়ভাবে কোনো হিসাব না নিয়ে জোর করে ১০ লাখ টাকা দাবী করে। আমি অন্যায়ের কাছে মাথানত করতে বাধ্য হই। আমি কবির শেখের নামে ১০ লাখ টাকার বিনিময়ে দুই বিঘা জমি রেজিষ্ট্রি করে দিলেও বর্তমান সভাপতি দুই বছরের মধ্যেও উক্ত টাকা মাদ্রাসার ব্যাংক হিসাবে জমা করেনি’।

পলিয়ানপুর মাদ্রাসার সভাপতি কবির শেখ বলেন, ‘চার গ্রামের লোক এক হয়ে টাকা আদায়ের জন্য সাবেক সভাপতির নিকট থেকে দুই বিঘা জমি আমার নামে রেজিষ্ট্রি করে দেয়। সে জমি সুপারের নেতৃত্বে লিজ দিয়ে মাদ্রাসায় টাকা নেওয়া হয়। মাদ্রাসার সুপার সেই জমি বিক্রি করার চেষ্টা করছেন। ক্রেতা পাওয়া গেলেই জমি বিক্রি করা টাকা মাদ্রাসার ব্যাংক হিসাব নম্বারে জমা করা হবে’।

পলিয়ানপুর মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার হাবিবুর রহমান লিটন জানান, সাবেক সভাপতির নিকট থেকে নগদ দুই লাখ টাকা নেওয়া হয়। বাকি আট লাখ টাকার পরিবর্তে দুই বিঘা জমি বতমান সভাপতির নামে লিখে দেওয়া হয়। টাকা দিয়ে কমিটির লোকজন ও আপনি ব্যাবসা বাণিজ্য করছেন কিনা- প্রশ্নের জবাবে সুপার বলেন, ‘মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতারা এই জমি লিজ দিয়ে থাকেন। তারা কোন ব্যবসা বাণিজ্য করেন না’।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads