• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
শাজাহানপুরে কাজির বাড়িতে বিয়ে জেডিসি পরীক্ষার্থীর!

প্রতীকী ছবি

অপরাধ

শাজাহানপুরে কাজির বাড়িতে বিয়ে জেডিসি পরীক্ষার্থীর!

যৌতুক ৮০ হাজার টাকা

  • বগুড়া প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১২ নভেম্বর ২০১৮

বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার গোহাইল দাখিল মাদরাসার এক জেডিসি পরিক্ষার্থীর বিয়ে স্থানীয় সহকারী নিকাহ রেজিস্টারের (কাজি) বাড়িতে অনুষ্ঠিত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত সহকারী কাজি আবদুল করিম গত শুক্রবার এ বিয়ে রেজিস্ট্রি করেন। কনের বাড়ি উপজেলার গোহাইল ইউনিয়নের সালনা গ্রামে এবং বর জুয়েল (২৬) সাবরুল গ্রামের হোসেন আলীর ছেলে।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বিয়েতে এক লাখ টাকা দেনমোহর নির্ধারণ হলেও কনের বাবা ৮০ হাজার টাকা যৌতুক হিসেবে দিতে রাজি হয়েছিলেন। তিনি বরের পোশাকের জন্য পাঁচ হাজার এবং নগদ ১০ হাজার টাকা পরিশোধ করেন। তবে বিয়ের তিন দিন পরও কনেপক্ষ যৌতুকের বাকি টাকা দিতে না পারায় দুই পরিবারের দ্বন্দ্বের জেরে এলাকায় আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়।

গোহাইল দাখিল মাদরাসার সুপার মোবাইল ফোনে বাংলাদেশের খবরকে জানান, সালনা গ্রামের ওই মেয়েটি জেডিসি পরীক্ষা দিচ্ছে। লোকমুখে বাল্যবিয়ের কথা তিনি শুনেছেন।

বর জুয়েলের বোনের স্বামী হেলাল জানান, সহকারী কাজি করিমের নিজ বাড়িতে বসে গত শুক্রবার বিয়ে রেজিস্ট্রি হয়েছে। বরকে ৮০ হাজার টাকা দেওয়ার কথা ছিল। ১০ হাজার টাকা নগদ এবং পাঁচ হাজার টাকা পোশাক কেনার জন্য দিয়েছে কনের পরিবার। বিয়ের তিন দিন পরও বাকি টাকা না দেওয়ায় উভয় পরিবারের মধ্যে ঝামেলা বাধে।

কনের বড় ভাই জানান, ৮০ হাজার টাকা যৌতুক ধরে এবং এক লাখ টাকা কাবিন (দেনমোহর) দিয়ে সহকারী কাজি করিমের বাড়িতে বিয়ে রেজিস্ট্রি হয়। যৌতুকের ১৫ হাজার টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। যৌতুক দিয়ে বোনকে ওই বাড়িতে আর পাঠাবেন না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

তবে সহকারী কাজি করিম মোবাইল ফোনে দাবি করেন, মেয়ের বয়স হয়নি, তাই তিনি বিয়ে রেজিস্ট্রি করাননি।

উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের সহকারী কাজিরা জানান, এই বাল্যবিয়ে ছাড়াও পোয়ালগাছা চাচাহার পাড়া গ্রামের আবদুল করিমের স্কুলপড়ুয়া মেয়ের বিয়ে, খাদাস স্কুলপাড়া গ্রামের সাদ্দামের মেয়ের বিয়েসহ অনেক বাল্যবিয়ে সহকারী কাজি করিমের হাত দিয়ে হয়েছে। করিমের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন তারা।

গোহাইল ইউনিয়নের প্রধান কাজি একরামুল হক জানান, করিমকে বাল্যবিয়ে রেজিস্ট্রি করতে নিষেধ করেছেন। করিম আগেও এ রকম ঘটনা ঘটিয়েছে। বাল্যবিয়ে রেজিস্ট্রি হয় না জানিয়ে তিনি বলেন, এটা উভয় পরিবারের সঙ্গে জঘন্য প্রতারণা।

শাজাহানপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফুয়ারা খাতুন জানান, বিষয়টি তিনি দেখবেন। সত্যতা পাওয়া গেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads