• বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪২৯
১ কোটি ২৩ লাখ টাকার সরঞ্জাম উদ্ধার, গ্রেফতার ২৪

সংগৃহীত ছবি

অপরাধ

ঢাকা ও চট্টগ্রামে অবৈধ ভিওআইপি অভিযান

১ কোটি ২৩ লাখ টাকার সরঞ্জাম উদ্ধার, গ্রেফতার ২৪

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১২ নভেম্বর ২০১৮

ঢাকা ও চট্টগ্রামের আবাসিক ২৬টি স্থাপনায় অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন মোবাইল অপারেটরের ৪২ হাজার ১৫০টি সিম ও প্রায় ১ কোটি ২৩ লক্ষাধিক টাকা মূল্যমানের অবৈধ ভিওআইপি সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। গতকাল রোববার বিটিআরসির সম্মেলন কক্ষে কমিশনের চেয়ারম্যান মো. জহুরুল হক এ বিষয়ে সাংবাদিকদের অবহিত করেন। তিনি বলেন, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সমন্বয়ে গত ১৪ অক্টোবর থেকে চলতি মাসের ১ তারিখ পর্যন্ত পরিচালিত এই অভিযানে অবৈধ ভিওআইপি বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত থাকার অপরাধে ২৪ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সম্মেলনে চেয়ারম্যান বলেন, গত ১৪ থেকে ১৮ অক্টোবর ঢাকার ধানমন্ডি, তেজগাঁও, কদমতলী, সিদ্ধিরগঞ্জ, পল্লবী ও মিরপুর এবং ২১ থেকে ৩১ অক্টোবর চট্টগ্রামের বায়েজিদ বোস্তামী, পাঁচলাইশ, বাকলিয়া, চকবাজার, চান্দগাঁও, সদরঘাট ও হালিশহর এলাকায় অভিযান চালিয়ে মোবাইল অপারেটর রবির ১৬ হাজার ৮১২টি, টেলিটকের ১৫ হাজার ৯৩৯টি, বাংলালিংকের ৬ হাজার ১৭৬টি, গ্রামীণফোনের ৩ হাজার ২২৩টি সিমসহ সর্বমোট ৪২ হাজার ১৫০টি সিম জব্দ করা হয়।

তিনি আরো জানান, এবারের অভিযানে অবৈধ ভিওআইপি কাজে ব্যবহূত বিভিন্ন ধরনের সিম পোর্টবিশিষ্ট সর্বমোট ১৪৮টি জিএসএম (সিমবক্স) গেটওয়ে, ২ হাজার ৬৭৭টি মডেমসহ প্রায় ১ কোটি ২৩ লাখ ২৩ হাজার টাকা মূল্যের আনুষঙ্গিক মালামাল জব্দ করা হয়েছে এবং এ বিষয়ে জড়িত থাকায় সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ঢাকা ও চট্টগ্রামের সংশ্লিষ্ট থানায় বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন-২০০১-এর অধীনে ২৮টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বিটিআরসি তার চলমান কার্যক্রমের অংশ হিসেবে আধুনিক ও আন্তর্জাতিক মানের প্রযুক্তি ব্যবহার করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সহায়তায় বর্তমানে এ সংক্রান্ত অবৈধ কার্যক্রমে জড়িত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ব্যবহূত সিমবক্সের সুনির্দিষ্ট স্থান (পিন পয়েন্ট) শনাক্তকরণে সক্ষমতা অর্জন করেছে। যার ফলে সাম্প্রতিক অভিযানগুলোতে যে পরিমাণ অবৈধ যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জামাদি জব্দ করা হয়েছে তাতে দেশের বার্ষিক ৮৬৭ কোটি টাকা রাজস্ব ক্ষতি হতো।
বিটিআরসির আয়োজিত এই সংবাদ সম্মেলনে কমিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, অভিযানে সম্পৃক্ত আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, আন্তর্জাতিক কল আদান-প্রদানে সংশ্লিষ্ট আইজিডব্লিউ অপারেটরস ফোরাম (আইওএফ) ও বিভিন্ন মোবাইল অপারেটরের ঊধ্বর্তন কর্মকর্তারা উপস্থিতি ছিলেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads