কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাদশ শ্রেণীর এক কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণ করেছে সৌদি প্রবাসী যুবক হোসেন আলী (২৬)। শনিবার রাতে উপজেলার আদাবাড়িয়া ডিজিটি স্কুলের পাশের এক বাড়িতে ধর্ষণের এ ঘটনা ঘটে। ধর্ষিতা বর্তমানে কুষ্টিয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ধর্ষিতার পরিবার ও এলাকাবাসী সূত্র জানায়, উপজেলার প্রাগপুর ইউনিয়নের বিলগাথুয়া গ্রামের খলিল মালিথার ছেলে হোসেন আলী দুই সপ্তাহ আগে সৌদি আরব থেকে ছুটিতে বাড়ি আসে। সৌদি আরবে থাকা অবস্থায় হোসেন আলীর সাথে আদাবাড়িয়া গ্রামের আরজেদ আলীর মেয়ে ড. ফজলুল হক গার্লস কলেজের একাদশ শ্রেণীর ছাত্রীর সাথে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরে বাগুয়ান এলাকার ড. ফজলুল হক গার্লস কলেজের সামনে থেকে হোসেন আলী ওই কলেজ ছাত্রীকে বিয়ের প্রস্তাব দেয় এবং তাকে আদাবাড়িয়া ডিজিটি স্কুলের পাশের এক অাত্নীয়ের বাড়িতে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কয়েক দফা ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে হোসেন আলী। পরে সন্ধ্যায় উপজেলার ডাংমড়কা ইটভাটার নিকট ধর্ষিতা কলেজ ছাত্রীকে ফেলে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে স্থানীয়রা ধর্ষক হোসেন আলীকে আটক করে সেন্টু জুলার বাড়িতে রাখলে সেখান থেকে সে কৌশলে পালিয়ে যায়।
খবর পেয়ে দৌলতপুর থানা পুলিশ শনিবার রাতে ধর্ষিতা কলেজ ছাত্রীকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া হাসপাতালে প্রেরণ করে। বর্তমানে সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
কলেজ ছাত্রী ধর্ষণের বিষয়ে দৌলতপুর থানা ওসি নজরুল ইসলাম বলেন, ‘ধর্ষিতা কলেজ ছাত্রীকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য কুষ্টিয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ধর্ষিতার পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে’।
