• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪২৯
পাওনা টাকা চাওয়ায় বিধবাকে নির্যাতন, ২ জন গ্রেফতার

পাওনা টাকা চাওয়ায় বিধবাকে সিড়িতে বেঁধে নির্যাতন

ছবি : বাংলাদেশের খবর

অপরাধ

পাওনা টাকা চাওয়ায় বিধবাকে নির্যাতন, ২ জন গ্রেফতার

  • কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১৩ নভেম্বর ২০১৮

কুড়িগ্রামের উলিপুরে পাওনা টাকা চাওয়ায় বিধবাকে সিড়িতে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনায় মাদ্রাসার সহকারি সুপারসহ ২ জনকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরন করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে, গত ১১ নভেম্বর উপজেলা তবকপুর ইউনিয়নে খামার তবকপুর গ্রামে।

এলাকাবাসী ও মামলা সূত্রে জানাগেছে, উক্ত গ্রামের আবুল কাশেমের পুত্র চিলমারী রাজারভিটা বালিকা আলিম মাদরাসার সহকারি সুপার মাহফুজুর রহমান (৫০) একই গ্রামের মৃত জামাল উদ্দিনের স্ত্রী রশিদা বেওয়ার (৬০) নিকট থেকে তিন বছর পূর্বে ৬৫ হাজার টাকা ধার নেন। টাকা গ্রহনের দশ দিনের মধ্যে পরিশোধ করার কথা থাকলেও তিনি টাকা দিতে তালবাহানা শুরু করেন। এমতাবস্থায় ঘটনার দিন পাওনা টাকা ফেরত চাইতে আসলে অভিযুক্ত সহঃ সুপার ক্ষিপ্ত হয়ে বিধবা রশিদা বেওয়াকে ঘরের বাড়ান্দার সিঁড়িতে বেঁধে রাখেন। এক পর্যায় মাহফুজুর রহমান তার বাড়ির লোকজনের সহায়তায় বিধবা ও তার সাথে আসা আম্বিয়া খাতুনকেও টেনে হিচড়ে বাড়িতে এনে সিড়ির সঙ্গে কোমড়ে দড়ি বেঁধে মুখে গামছা দিয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় অমানুষিক নির্যাতন করেন।

খবর পেয়ে নির্যাতিতার স্বজনরা তাদের উদ্ধারে ব্যর্থ হয়ে থানা পুলিশের সহায়তায় উদ্ধার করে উলিপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি এবং সহকারী সুপারকে আটক করেন। এঘটনায় রশিদা বেওয়ার পুত্রবধু খুকি বেগম বাদী হয়ে ৪ জনের বিরুদ্ধে উলিপুর থানায় মামলা করেন। এ মামলায় পুলিশ মর্জিনা বেগম (৫৫) নামে আরো এক জনকে আটক করে তাদের জেল হাজতে প্রেরন করেন।

উলিপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত ডাক্তার রফিকুল ইসলাম সরদার বলেন, ওই দুই মহিলা বর্তমান চিকিৎসাধীন আছেন।

এ ব্যাপারে উলিপুর থানার ওসি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত দু’জনকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads