• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯
দোহারে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে বাবা-ছেলে আটক

আটককৃত নাসির উদ্দিন পল্লব ও তার ছেলে রিফাত হোসেন শাওন

ছবি : বাংলাদেশের খবর

অপরাধ

দোহারে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে বাবা-ছেলে আটক

  • প্রকাশিত ১৪ নভেম্বর ২০১৮

দোহার (নবাবগঞ্জ) প্রতিনিধি

ঢাকার দোহারে মাদ্রাসা ছাত্রীকে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে নাসির উদ্দিন পল্লব ও তার ছেলে রিফাত হোসেন শাওনকে আটক করেছে পুলিশ।  জানা যায়, পল্লব ওয়ার্কাস পার্টির দোহার উপজেলা শাখা এবং মাদকবিরোধী সংগঠন এসডিপির সভাপতি। এর আগে তিনি বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন দোহার শাখার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত দুই বছর আগে উপজেলার নাসির উদ্দিন পল্লবের ছেলে শাওনের সাথে বিয়ের কথা চুড়ান্ত হয় নাগেরকান্দা গ্রামের হাজী মো. জসিম লস্করের মেয়ে মাদ্রাসা ছাত্রী সায়মা আক্তারের। বেশ কিছুদিন পরে সায়মার পরিবার জানতে পারে শাওন বিবাহিত। বিষয়টি জানাজানি হলে বিয়ের প্রস্তাব বাতিল করে মেয়ের পরিবার। এ ঘটনায় শাওন ও তার পরিবার সায়মার পরিবারের উপর ক্ষিপ্ত হয়। প্রতিশোধ নিতে কৌশল অবলম্বন করে। এক পর্যায়ে শাওন প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে সায়মার সঙ্গে। গত ৮ নভেম্বর শাওনের মা রুপা আক্তার সায়মাকে তার ছেলের সাথে কোর্টে নিয়ে বিয়ে দেবে বলে ফোন করে ঢাকায় আসতে বলে। মেযেটি অপ্রাপ্ত বয়স্ক আদালতের মাধ্যমে আইনি প্রক্রিয়ায় বিয়ে দেয়া সম্ভব না হওয়ায় ভিন্ন কৌশলের আশ্রয় নেয়। শাওনের পরিবার ঢাকায় তাদের এক আত্মীয়ের বাড়িতে নিয়ে কলেমা পড়িয়ে বিয়ের নাটক সাজায় ও স্বামী স্ত্রীর পরিচয়ে দু’জনকে একসাথে থাকতে বাধ্য করে।

এদিকে, মেয়েকে না পেয়ে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি শুরু করে সায়মার পরিবার। একপর্যায়ে তারা জানতে পারে, সায়মাকে কৌশলে আপহরণ করেছে শাওন ও তার পরিবার। এ ঘটনায় মঙ্গলবার সায়মার মা হাফিজা আছমা বাদী হয়ে নাসির উদ্দিন পল্লব (৪৭) ও তার স্ত্রী রুপা আক্তার (৪০) এবং ছেলে রিফাত হোসন শাওন (২৮)-এর বিরুদ্ধে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে দোহার থানায় একটি মামলা দায়ের করে।

মামলার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ মোবাইল ট্র্যকিং-এর মাধ্যমে মঙ্গলবার রাতেই নাসির উদ্দিন পল্লব ও ছেলে শাওনকে গ্রেফতার করে।

এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দোহার থানার এস আই নূর খান বলেন, ‘মামলার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা দুইজন আসামিকে গ্রেফতার করেছি। বাকী একজনকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। গ্রেফতারকৃতদের দুধবার আদালতে পাঠানো হয়েছে’।

এ বিষয়ে সায়মা আক্তারের বক্তব্য জানতে চাইলে তার সাথে কথা বলতে দেয়নি পুলিশ।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads