• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪২৯
সমাপনীতে ৬০০ টাকার ‘ভাড়াটে’ পরীক্ষার্থী

প্রতীকী ছবি

অপরাধ

আনন্দ স্কুলের নিরানন্দ কাজ

সমাপনীতে ৬০০ টাকার ‘ভাড়াটে’ পরীক্ষার্থী

  • প্রকাশিত ১৯ নভেম্বর ২০১৮

মালেক রেজা, শরণখোলা (বাগেরহাট)

চলতি প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি সমাপনী পরীক্ষার প্রথম দিনেই অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার বেশ কয়েকটি আনন্দ স্কুলের বিরুদ্ধে। স্কুল টিকিয়ে রাখতে ও শিক্ষকদের চাকরি বাঁচাতে ৬০০ টাকা চুক্তিতে মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার্থী সাজিয়ে অংশগ্রহণ করানো হচ্ছে পরীক্ষায়।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গতকাল রোববার শরণখোলা উপজেলার ৪ ইউনিয়নের ৮টি পরীক্ষা কেন্দ্রে উপজেলার ১১৪টি প্রাথমিক, ৫৯টি আনন্দ স্কুল ও ২০টি মাদরাসার ২ হাজার ৬৮৪ শিক্ষার্থী এবারে পিইসি (সমাপনী) পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। এর মধ্যে উপজেলার জনতা মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে দ্বিতীয় তলার ৫, ৬ ও ৭ নম্বর কক্ষে উত্তর তাফালবাড়ী মান্নান হাওলাদারের বাড়ী, উত্তর তাফালবাড়ী ফারুক হাওলাদারের বাড়ী, উত্তর তাফালবাড়ী লুৎফর রহমানের বাড়ী, ক্ষিতিশি চন্দ্রের বাড়ী, কদমতলা এমাদুল হকের বাড়ী, উত্তর তাফালবাড়ী হক ফরাজী বাড়ীসহ অন্যান্য আনন্দ স্কুলের ৩০-৩৫ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়। তবে অভিযোগ, তাদের অধিকাংশ উপজেলার আরকেডিএস পাইলট বালিকা বিদ্যালয়, জনতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, তাফালবাড়ী মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী।

ওই কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী সাদিয়া, মরিয়ম ও রাবিনা আরকেডিএস বালিকা বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী। তারা জানায়, সংশ্লিষ্ট আনন্দ স্কুলের শিক্ষকদের অনুরোধে ৬০০ টাকার বিনিময়ে পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে।

এ বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক শিক্ষক বলেন, স্কুল টিকিয়ে রাখতে প্রতিবছর কতিপয় অসাধু শিক্ষকের একটি শক্তিশালী চক্র এই ঘটনা ঘটায়। বিভিন্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদরাসার ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের আনন্দ স্কুলের শিক্ষার্থী সাজিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করানো হয়।

ওই কেন্দ্রের হল সুপার জাকির হোসেন বলেন, আনন্দ স্কুলের পক্ষে পরীক্ষায় অংশ নেওয়া পরীক্ষার্থীদের দৈহিক গঠন দেখলেই বোঝা যায় এরা মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থী। কিন্তু উপযুক্ত প্রমাণের অভাবে পরীক্ষা থেকে ওই শিক্ষার্থীদের আটকানো যাচ্ছে না।

এ ব্যাপারে উপজেলার আনন্দ স্কুলের কর্মকর্তা আলমগীর হোসেনের বক্তব্য নেওয়ার জন্য একাধিকবার তার ফোনে কল দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলাম শিক্ষকদের যোগসাজশের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। তবে  আনন্দ স্কুলের কেউ অনিয়ম করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিংকন বিশ্বাস বলেন, অভিনব এ জালিয়াতির বিষয়ে তিনি অবগত নন। ঘটনা সত্যি হলে জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads