• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪২৮

ছবি : সংগ্রহ

অপরাধ

মধ্যরাতে ঢাকার সেগুন বাগিচায় আ’লীগের দুই পক্ষে সংঘর্ষ, গোলাগুলি।

নিস্তব্ধ শীতের রাতের নিরবতা ভাঙল গুলির শব্দে

  • মো. আসিফ উল আলম সোহান
  • প্রকাশিত ০৩ জানুয়ারি ২০১৯

বিশেষ প্রতিনিধি 

সংসদ নির্বাচনের গরম শরীর থেকে কাটতে না কাটতেই আবারও উত্তপ্ত  আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপ, বাধিয়েছে সংঘর্ষ ।

বুধবার মধ্যরাতে সেগুন বাগিচায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের মধ্যে সংঘর্ষের সময় ওই এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

দুই পক্ষে সংঘর্ষের সময় গুলির শব্দে রাতের নিরবতা ভেগে আতঙ্কের সৃ‌ষ্টি হয় বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।  তবে গোলাগুলির খবর অস্বীকার করেছে পুলিশ।

স্থানীয়রা জানায়,  বুধবার রাত ১১টার দিকে সেগুনবাগিচা কাঁচা বাজারের কাছে দুই পক্ষে সংঘর্ষ বাধে। বাজারের কছে স্থাপিত একটি নির্বাচনী ক্যাম্পে সাইনবোর্ড লাগানোকে কেন্দ্র করে ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক গাড়ি ডেকোরেশন ব্যাবসায়ী বাংলাদেশের খববরকে জানান, স্বেচ্ছাসেবক লীগের কয়েকজন রাতে একটি সাইনবোর্ড লাগাতে গেলে ছাত্রলীগের কয়েকজন বাধা দেয় এবং তাদের মারধর করে তাড়িয়ে দেয়।

পরে স্বেচ্ছাসেবক লীগের কয়েকজন এসে ছাত্রলীগের কর্মীদেরওপর হামলা চালায় এবং কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাংচুর করে।

এরপর দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া চলে। থেমে থেমে গুলির শব্দও শোনা যায়। এসময় আশেপাশের অনেকে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।

অন্যদিকে ধাওয়ার মুখে স্বেচ্ছাসেবক লীগের কর্মীরা পালিয়ে যায়।

জানা গেছে, ঘটনাস্থলের কাছে ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগের (দক্ষিণ) সাধারণ সম্পাদক জুবায়ের আহমেদের বাসা। তার সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

সেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের মধ্যে সংঘর্ষের পর মুহুর্তের ছবি

ছাত্রলীগের একজন বলেছেন, স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের ছেলেরা ক্যাম্পটি ভাংতে এসেছিল।

তবে ছাত্রলীগ নেতা জুবায়ের বলেন, ঘটনার সময় তিনি ছিলেন না।

তিনি জানান, আমি এসে শুনি, আমার সঙ্গে দেখা করতে আসা অপেক্ষমান কয়েকজনের ওপর কে বা কারা হামলা চালিয়েছে এবং কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাংচুর করেছে।

এ ব্যাপারে শাহবাগ থানার ওসি আবুল হাসান গণমাধ্যমকে বলেন, ছাত্রলীগ এবং স্বেচ্ছাসেবক লীগের মধ্যে কিছুটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল।

গোলাগুলির বিষয়ে তিনি বলেন, গুলির কোনো ঘটনা ঘটেনি। তবে বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads