• মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪২৯
পাথর কোয়ারিতে দীর্ঘ হচ্ছে লাশের মিছিল

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

অপরাধ

সিলেটে প্রভাবশালী অসাধু চক্রের 'টাকার খেলা’

পাথর কোয়ারিতে দীর্ঘ হচ্ছে লাশের মিছিল

  • আবু তাহের চৌধুরী, সিলেট
  • প্রকাশিত ১৩ জানুয়ারি ২০১৯

সিলেটের পাথর কোয়ারিগুলোতে ক্রমেই দীর্ঘ হচ্ছে লাশের মিছিল। আদালতের সুনির্দিষ্ট নিষেধাজ্ঞা আছে, টিলা কাটা যাবে না, কোয়ারিতে যন্ত্র ব্যবহার করে অবৈধভাবে পাথর তোলা যাবে না; তারপরও সিলেটে প্রভাবশালী অসাধু চক্রের 'টাকার খেলায়' পাথর উত্তোলন অব্যাহত রয়েছে। এ কাজ করতে গিয়ে গর্তধসে মাটিচাপায় মৃত শ্রমিকের তালিকাও দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে। গত দু’বছরে জেলার চারটি উপজেলায় এভাবে নারী-শিশুসহ অন্তত ৬৩ জন নিহত হয়েছেন। নিখোঁজ পাথর শ্রমিকের পরিসংখ্যান নেই কারো কাছে।

এ ধরনের ঘটনায় বিভিন্ন সময় প্রশাসন ও পুলিশ একাধিক উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করলেও সেসব প্রতিবেদন শেষ পর্যন্ত আলোর মুখ দেখছে না। কারণ, স্থানীয় প্রশাসন, রাজনীতিবিদ, জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে খনিজসম্পদ ও পরিবেশ অধিদপ্তরের শীর্ষ পর্যায় পর্যন্ত 'ম্যানেজ' করেই চলছে পাথর উত্তোলনের মহোৎসব।

পরিবেশবাদীরা মনে করেন, কতিপয় নৃশংস-লোভী পাথর ব্যবসায়ীর হত্যার শিকার এসব পাথর শ্রমিকরা। তাদের মতে, জীবনবাজি রেখে পাথর সংগ্রহ করতে যাওয়া শ্রমিকদেও কখনো লোভ দেখিয়ে, আবার কখনো ভয় দেখিয়ে রাত-নিশিতে কোয়ারির অন্ধকারে ঠেলে দেওয়া হয়। ভাগ্যবিড়ম্বিত এসব পাথর শ্রমিকরা জীবনভর শ্রমিকই থেকে যায়, আর হাতের মুঠোয় প্রাণ নিয়ে ধনকুবের করে তেলে কোয়ারি বা জুম মালিকসহ পাথর ব্যবসায়ীদের। এই অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধ করতে মাঝে-মধ্যে টাস্কফোর্স অভিযানে নামে। কিন্তু ‘রহস্যজনক’ভাবে অভিযানে নামার আগেই টাস্কফোর্সের খবর আগাম চলে যায় পাথর ব্যবসায়ী ও শ্রমিকদের কানে। আবার কখনো স্বয়ং টাস্কঢোর্সই হামলার শিকার হয় গোষ্ঠীবদ্ধ পাথর ব্যবসায়ী-শ্রমিরদের।

এ পর্যন্ত সর্বশেষ গত ১০ জানুয়ারি সন্ধ্যায় কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মাহ আরেফিন টিলায় অবৈধভাবে পাথর আহরণকালে কবির হোসেন (৩৫) নামের এক পাথর শ্রমিক প্রাণ হারান। নিহত কবির উপজেলার লামানিগাঁও গ্রামের দুদু মিয়ার ছেলে। এ ঘটনায় আরো ৩ পাথর শ্রমিক নিখোঁজ হলেও শুক্রবার পর্যন্ত তাদের কোনো হদিস মিলেনি। এর মাত্র ৩ দিন আগে একই এলাকায় পাথর উত্তোলন কালে টিলা ধসে নিহত হন আরো ২ পাথর শ্রমিক। নিহতরা হলেন দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার আনোয়ার হোসেনের ছেলে সোনা মিয়া (২৫) ও ওয়াজিদ আলীর পুত্র নুরুল হক (৩০)। ওই দিন রাতে একজনের ও পরদিন সকালে অপরজনের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ নিয়ে গত দুই বছরে সিলেটের বিভিন্ন কোয়ারি এবং জুমে অবৈধ ভাবে পাথর তুলতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ৬৩ শ্রমিক। তবে এ সংখ্যা আরো বেশি বলে ধারণা করেছেন স্থানীয়রা। স্থানীয় সূত্র জানায়, কোয়ারি বা জুম মালিকরা সুযোগ বুঝে পাথর শ্রমিজকদের লাশ গায়েব করে ফেলেন।

বিভিন্ন সূত্রে প্রাপ্ত পরিসংখ্যানে জানা যায়, গত বছরের ১৯ নভেম্বর দুপুরে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জে সাগর মিয়া (২২) নামে এক শ্রমিক মারা যান। ভোলাগঞ্জ গুচ্ছগ্রামে ধলাই নদীর তীরবর্তী জুমের তলদেশ থেকে ডুব দিয়ে পাথর তুলতে গিয়ে তার মৃত্যু হয়। সাগর মিয়া গুচ্ছগ্রামের ডালারপার এলাকার মৃত লালচান মিয়ার ছেলে। ১১ নভেম্বর ওই উপজেলার শাহ আরেফিন টিলায় অবৈধ ভাবে পাথর তুলতে গিয়ে জুম ধসে প্রাণ হারান সানাই মিয়া (২৫) নামে আরো এক শ্রমিক। তিনি নেত্রকোনা জেলার খালিয়াজুড়ি উপজেলার সাতগাঁও গ্রামের ইদ্রিছ আলীর ছেলে। তারও আগে গত ১ নভেম্বর পাথরের গর্ত ধসে ফরিদ মিয়া নামে আরেক শ্রমিকের মৃত্যু হয়। ৭ এপ্রিল বিকেলে কোম্পানীগঞ্জ উপজেরার রণিখাই ইউনিয়নের বিজয় পারোয়া এলাকার কুলিবস্তি কোয়ারিতে মাটি চাপায় পাথর শ্রমিক জবান আলী (৫০) প্রাণ হারান। নিহত জবান আলী ওই উপজেলার গাছঘর গ্রামের মৃত গফুর মিয়ার ছেলে।

২৭ মার্চ জাফলং পাথর কোয়ারিতে নাজিম উদ্দিন (২৫) ও ওসমান নামে ২ শ্রমিক মাটি চাপায় নিহত হন। এ ছাড়া, ওই দিন সন্ধ্যায় কোম্পানীগঞ্জের শাহ আরেফিন টিলার বশিরের গর্তে পাথর উত্তোলনের সময় পাথর চাপায় এখলাছ মিয়া (৩৫) নামে এক পরিবহন শ্রমিক নিহত হন। তিনি ছাতক উপজেলার জয়নাল মিয়ার ছেলে। এর আগে, ১০ মার্চ সিলেটের গোয়াইনঘাটের জাফলং জিরো পয়েন্ট সংলগ্ন লন্ডনীবাজার নিপেন্দ্র দাসের কোয়ারিতে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন করতে গিয়ে পাথর চাপায় অজ্ঞাত পরিচয় এক শ্রমিক নিহত হন। ২৮ ফেব্রুয়ারি কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার শাহ আরেফিন টিলায় পাথর উত্তোলন করতে গিয়ে প্রাণ হারান সুনামগহ্জ জেলার জামালগঞ্জ উপজেলার বান্দা গ্রামের মৃত আব্দুন নূরের চেলে জহির হোসেন (৩৬), দক্ষিন সুনামগঞ্জ উপজেলার জীরদার গ্রামের মৃত জমির উদ্দিনের ছেলে আফাজ উদ্দিন ও একই গ্রামের নাছির উদ্দিনের ছেলে কাঁচা মিয়া (৬০)। শাহ আরেফিন টিলায় বশির আহমদের গর্তে ওই দিন দুপুরে নিহত ৩ জনের মধ্যে তাৎক্ষণিকভাবে কাচা মিয়ার লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে রাত সাড়ে ১২ টার দিকে দমকল বাহিনীর অভিযানে উদ্ধার করা হয় অন্য ২ জনের লাশ। এর আগে ২৫ ফেব্রুয়ারি রাতে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জে হাজির ডেগনা এলাকায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলী আমজদের মালিকানাধীন কোয়ারিতে পাথর উত্তোলন করতে গিয়ে মাটি চাপ পড়ে প্রাণ হারান ৫ শ্রমিক। ওই দিন রাত ৯ টায় পাথর তোলার সময় এ ঘটনা ঘটে। রাতে রুহুল আমীন (২২) ও মতিবুর (৩২০ নামের দু’জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। তাদের বাড়ি সুনামগঞ্জের মুরাদপুরে। পরদিন সকালে উদ্ধার করা হয় আশিক আলী (৩০) ও আতাবুর রহমান (৩০) নামের দুইজনের লাশ। বিকেলে উদ্ধার করা হয় মঈনুদ্দিন (৩০) নামে আরেক শ্রমিকের লাশ। তিনি সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জের কলমশাহ গ্রামের রইছ উদ্দিনের ছেলে।

জৈন্তাপুরের শ্রীপুর পাথর কোয়ারিতে ২৬ ফেব্রুয়ারি প্রাণ হারিয়েচেন দেলোয়ার হোসেন (২৬) নামে এক পাথর শ্রমিক। তিনি জৈন্তাপুর উপজেলার চারিকাটা ইউনিয়নের লালা গ্রামের বাবুল মিয়ার ছেলে। শ্রীপুরের নাজিম উদ্দিনের অরক্ষিত গর্তের পাড় ধসে মারা যান দেলোয়ার। এর আগে কানাইঘাট উপজেলার লোভাছড়া কোয়ারিতে ২৪ ফেব্রুয়ারি সকালে পাথর চাপায় মারা যান ফরমান উল্লাহ (৫৫) নামে এক শ্রমিক। লোভছড়ার হানই মিয়ার কোয়ারিতে পাথর উত্তোলনকালে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ফরমান উল্লাহ সুনামগঞ্জ জেলার দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার খাইল্লা গ্রামের মৃত আমিন উল্লাহর ছেলে। এর আগের দিন ২৩ ফেব্রুয়ারি সকালে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জ কোয়ারিতে পাথর তুলতে গিয়ে জালাল (২৪) নামে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়্ নিহত জালাল নেত্রকোণা জেলার বারহাট্টা উপজেলার বাড়িতাতিও গ্রামের আলী আকবরের ছেলে।
৯ ফেব্রুয়ারি কোম্পানীগঞ্জে পাথর উত্তোলনকালে গর্ত ধসে সিদ্দিক মিয়া নামে এক পাথর শ্রমিক গুরুতর আহত হন। তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৩ ফেব্রুয়ারি দুপুরে সিদ্দিক মিয়া মারা যান। তিনি ওই উপজেলার কাঁঠালবাড়ি গুচ্ছগ্রামের মহরম আলীর ছেলে। সিদ্দিক মিয়ার মৃত্যুর দু’দিন আগে ১১ ফেব্রুয়ারি অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন করতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন বাছির মিয়া (৪২) নামে আরেক শ্রমিক। কোম্পানীগঞ্জের শাহ আরফিন টিলার ইন্তাজ মিয়ার গর্ত ধসে পাথর চাপায় তার মৃত্যু হয়। তিনি কোম্পানীগঞ্জের পুটামারা গ্রামের রূপা মিয়ার ছেলে। ১০ ফেব্রুয়ারি সকালে মারা যান সোহেল আহমদ (২০) নামে আরেক শ্রমিক। গোয়াইনঘাট উপজেলার বিছনাকান্দি কুলুমছড়ারপার গোচর এলাকার সজীব মিয়ার কোয়ারিতে সোহেল প্রাণ হারান। নিহত সোহেল হবিগঞ্জের নবিগঞ্জ উপজেলার ছোট সাকুয়া গ্রামের জালাল উদ্দিনের ছেলে।

২৮ জানুয়ারি বিছনাকান্দি পাথর কোয়ারির গো-চারণ ভূমি থেকৈ অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনকালে পাড় ধসে মাটি চাপায় আলী নূর (২৫) নামে এক শ্রমিক নিহত হন। তিনি হবিগঞ্জের বানিয়াচং থানার গুণই গ্রামের আরিফ মিয়ার ছেলে। গত বছরের ২২ জানুয়ারি ফারুক মিয়া (৩০) নামে এক শ্রমিক শাহ আরেফিন টিলায় মাটি চাপায় মারা যান। তিনি সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক উপজেলার দারগাখালি গ্রামের মৃত চান মিয়ার ছেলে। এর দুু’দিন আগে ২০ জানুয়ারি ওই টিলায় পাথরের জুম ধসে সাদিক মিয়া (২০) নামে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়। তিনি স্থানীয় বাঘারপার গ্রামের আব্দুল খালিকের ছেলে। এরও আগে গত বছরের ১০ জানুরি কোম্পানীগঞ্জে মাটি চাপায় প্রাণ হারান স্বপন আহমদ (৩০)। ওই দিন দুপুরে উপজেলার কালাইরাগ এরাকায় আলী হোসেনের কোয়ারিতে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনকালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

গত বছরের ৩ জানুয়ারি বিকেলে গোয়াইনঘাটের জাফলংয়ের মন্দিরের জুম এলাকায় পাথর তোলার সময় গর্ত ধসে একই পরিবারের ৩ জন সহ ৫ জন প্রাণ হারান। নিহতরা হলেন, হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার ইব্রাহীমের ছেলে জহুর আলী (৬৫), জহুর আলীর ছেলে মোজাহিদ (২২) ও তার মেয়ে শাকিরুন (২৬), সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার মিরপুর গ্রামের মফিজ উল্লাহর ছেলে নুর মিয়া (৫০) ও বানিয়াচংয়ের সাদেক মিয়া (৪০)। ২০১৭ সালের ১৩ নভেম্বর সকালে একই এলাকায় পাথর উত্তোলনকালে ওই বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি জাফলংয়ে সংগ্রাম সীমান্ত ফাঁড়ি সংলগ্ন চুনা কোয়ারি এলাকায় মাটি চাপা পড়ে মারা যান দুই শ্রমিক। তারা হচ্ছেন সিলেট কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার তেলিখাল গ্রামের মদরিস আলীর ছেলে কামরুজ্জামান (২৮) ও একই এলাকার জিয়াদুর রহমানের ছেলে তাজউদ্দিন (৩০)। ১৬ মার্চ জাফলংয়ের পাথর কোয়ারিতে মাটি চাপা পড়ে সিলেট সদর উপজেলার জালালাবাদ থানার টুকেরবাজারের আকরাম (৪০) ও একই এলাকার লেচু মিয়া (২৫) মারা যান। এ ছাড়া জাফলংয়ে ওই বছরের ২১ ফেব্রুয়ারি ২ জন ও ৮ মার্চ আরে ১ শ্রমিক নিহত হন। ৭ নভেম্বর সকালে কানাইঘাটে পাথর উত্তোলন করতে গিয়ে মাটি চাপা পড়ে ৪ মাদরাসা ছাত্রসহ ৬ জন নিহত হন। উপজেলার লোভা নদীর তীরবর্তী মুলাগুল বাংলাটিলায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন কানাইঘাট উপজেলার চান্দালা বাংলাটিলা গ্রামের ইউনুস মিয়ার ছেলে জাকির (১৬), আলমাছ মিয়ার ছেলে নাহিদ আহমদ (১৩) ও শাকিল আহমদ (১২), মোছাব্বির মিয়ার ছেলে মারুফ (১৩), জন মিয়ার ছেলে আবদুল কাদির (১৩) ও একই গ্রামের সুন্দর আলী (৩৫)। নিহতদের মধ্যে ৫ কিশোর স্থানীয় একটি মাদরাসার শিক্ষার্থী। অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনকালে ওই বছরের ২৩ জানুয়ারি কোম্পানীগঞ্জের শাহ আরেফিন টিলা ধসে ৫ জন এবং একই টিলা ধসে ১ ও ১১ ফেব্রুয়ারি দুইজন, ২ ও ৬ মার্চ, ২০ জুলাই এবং ২৬ অক্টোবর ৪ শ্রমিক মারা যান। গোয়াইনঘাট উপজেলার বিছনাকান্দিতে পাথর উত্তোলনকালে ১০ ফেব্রুয়ারি মারা যান ৩ শ্রমিক। তারা হচ্ছেন সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার গুলেরগাঁও গ্রামের নজির আলীর ছেলে জাকির হোসেন (২০), ওয়াতির আলীর ছেলে তুলা মিয়া (২৫) এবং দিরাই উপজেলার পরিমল (২৫)। এ ছাড়া কানাইঘাটের লোভাছড়ায় পাথর উত্তোলনকালে মারা যান আরে ১ শ্রমিক।
ক্রমবর্ধমান এই লাশের মিছিল সম্পর্কে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন-বাপা’র সিলেটের মুখপাত্র আবদুল করিম কিম বলেন, কতিপয় ‘নৃশংস’ পাথর ব্যবসায়ীদের অতিলোভের কারণে শ্রমিক মৃত্যুর সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকার পরও এসব পুঁজিবাদি পাথর ব্যবসায়ীরা নিরীহ শ্রমিকদের জুম বা কোয়ারিতে ঠেলে দিচ্ছে, যে কারণে এই নির্মম শ্রমিক ‘হত্যা’ রোধ করা যাচ্ছে না। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে আরো কঠোর হওয়ার আহ্বান জানান এই পরিবেশ কর্মী।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads