• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪২৮
ইসলামপুরে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলনের মহাউৎসব

জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জের ফুটানি বাজার এলাকায় যমুনা নদী থেকে এভাবেই বালি উত্তোলন করছে দুর্বৃত্তরা

ছবি : বাংলাদেশের খবর

অপরাধ

ইসলামপুরে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলনের মহাউৎসব

  • জামালপুর প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

জামালপুরের ইসলামপুরের যমুনার গুঠাইল, মোরাদাবাদ ও ব্রক্ষপুত্র নদের সদ্য নির্মিত ব্রীজের নীচ থেকে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলনের মহাউৎসব চলছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ইসলামপুরের গুঠাইল এলাকার চিনাডুলী ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য শাহজাহান কবির, আশরাফ আলীসহ একটি বালু দস্যুচক্র গুঠাইল যমুনা নদী থেকে বলগ্রেড মেশিনের সাহায্যে অবৈধভাবে খনিজ সম্পদ বালু লুট করে জমা করে বিক্রি করছে। একইভাবে পাথর্শী ইউনিয়নের মোরাদাবাদ ঘাট এলাকার কয়েকটি পয়েন্টে স্থানীয় একটি বালু দস্যু সিন্ডিকেট যমুনা নদী থেকে প্রায় কোটি টাকার বালু উত্তোলন করে দেদারছে বিক্রি করছে। অন্যদিকে ইসলামপুর পূর্বাল্যের ব্রহ্মপুত্র নদের ফকিরপাড়া পাইলিংঘাট সদ্য নির্মিত ব্রীজের নীচ থেকেও বেকু মেশিনের সাহায্যে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে চলেছে।

জানা গেছে, সুজন পালসহ স্থানীয় একটি বালু দস্যু চক্র ব্রহ্মপুত্র নদের তলদেশ জেগে উঠা বালু মহল থেকে সরকারি অনুমতি ছাড়াই অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করে আসছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সরকারি নিয়মনীতির কোন তোয়াক্কা না করে বালু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটেরা অনুমতি ছাড়াই প্রশাসনকে ম্যানেজ সিস্টেমে অবৈধভাবে বালু তথা খনিজ সম্পদ লুটপাট চলছে ইসলামপুরে।

ফলে হুমকীর মুখে পড়েছে যমুনার বাম তীর সংরক্ষণ বাঁধ, রাস্তা, ফসলি জমি ও বসতি এলাকা। পাশে বালু উত্তোলন করে জমা করে দেদারছে বিক্রি করছে বালু দস্যুূরা। ফলে পরিবেশ হুমকির মুখে পড়েছে ওইসব এলাকা।

স্থানীয়দের অভিযোগ, নদী ভাঙ্গনের হাত থেকে যমুনা তীরবর্তী অঞ্চলের দরিদ্র জনগোষ্ঠিকে রক্ষাকল্পে সরকার যমুনা বাম তীর সংরক্ষণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে। বৃহত্তর জনগোষ্ঠির সার্থকে জলাঞ্জলি দিয়ে বালু দস্যুরা স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে অবাধে বিভিন্ন উপায়ে বালি উত্তোলন করছে। এ ব্যাপারে নীরব ভূমিকা পালন করছে স্থানীয় প্রশাসন।

স্থানীয়দের আরো অভিযোগ,উপজেলা প্রশাসন মাঝে মধ্যে অভিযান চালিয়ে অবৈধ বালি উত্তোলন বন্ধ ও জরিমানা করলেও পরক্ষণেই রহস্য জনক কারণে আবারও বালি উত্তোলন শুরু হয়ে যায়। ফলে এব্যাপারে এলাকাবাসীর সনচেতন মহল জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

এব্যাপারে জামালপুর জেলা প্রশাসক আহমেদ কবির এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,বিষয়টি আমি জানি না, তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads