• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪২৯
স্কুল ছাত্রী ইলমার ধর্ষক ও ঘাতক বাপ্পির বিরুদ্ধে মামলা

সংগৃহীত ছবি

অপরাধ

স্কুল ছাত্রী ইলমার ধর্ষক ও ঘাতক বাপ্পির বিরুদ্ধে মামলা

  • চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১৭ মার্চ ২০১৯

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে তেঁতুলের প্রলোভন দেখিয়ে তাওহীদা ইসলাম ইলমা নামের নয় বছর বয়সী এক শিশু শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় আটক মোহাম্মদ আলী বাপ্পির বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

শনিবার রাতে মামলাটি করেন হত্যার শিকার ইলমার বাবা ফল ব্যবসায়ী দেলোয়ার হোসেন। বাপ্পি উপজেলা শ্রীপুর ইউনিয়নের গজারিয়া গ্রামের মোঃ জাকারিয়ার ছেলে।

মামলা সুত্রে জানা গেছে, গজারিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী একই গ্রামের তাওহীদা ইসলাম ইলমা শুক্রবার বিকেলে পাশের বাড়ির মোহাম্মদ আলীর বাড়িতে তেঁতুল খেতে যায়। এসময় বাপ্পি ইলমাকে জোরপূর্বক তার ঘরে নিয়ে চৌকির উপর তুলে মুখে ও গলায় ওড়না পেচিয়ে ধর্ষণ করে। এতে ইলমা অজ্ঞান হয়ে পড়ে। বারবার চেষ্টার পরও ইলমা দাঁড়াতে না পারায় ঘটনা আড়াল করতে বাপ্পি তার ঘাড় মটকিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে কাঁথা দিয়ে মুড়িয়ে লাশ চৌকির নিচে লুকিয়ে রাখে। তার ব্যবহৃত জুতা ও জামাকাপড় কেটে পুঁতে রাখে।

 সন্ধ্যায় আত্মীয় স্বজনরা ইলমাকে খোঁজাখুজি করার উদ্দেশ্যে মাইকিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়। এতে বাপ্পি কৌশলে মাইকিংয়ের অটোরিকশা চালায়। রাতে বাপ্পিকে ইলমার বিষয়ে পরদিন শনিবার সকালে বাপ্পির বাড়ি সংলগ্ন খালে ভেসে ওঠা লাশটি দেখতে পায় মাসুকা বেগম। তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসে। পরে স্থানীয় লোকজন বাপ্পিকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে সত্যতা স্বীকার করে। উত্তেজিত জনগণ ধর্ষক ও ঘাতক বাপ্পিকে আটক শেষে মারধর করে আহত করে।

খরব পেয়ে পুলিশ লাশের সুরতহাল শেষে লাশ উদ্ধার ও ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে এবং ধর্ষক বাপ্পিকে আটক করে থানায় নেয়।

এদিকে ময়নাতদন্ত শেষে লাশটি স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করলে নামাজে জানাযা শেষে স্থানীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়। আদরের মেয়ে তাওহীদা ইসলাম ইলমাকে হারিয়ে তার মা হাছিনা বেগম বারবার মুর্ছা যাচ্ছেন।  

এ ব্যাপারে চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মাহফুজ বলেন, ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads