• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪২৯
হত্যার পরিকল্পনা চূড়ান্ত হয় ১২ জনের সভায়

নুসরাত জাহান রাফি

সংরক্ষিত ছবি

অপরাধ

হত্যার পরিকল্পনা চূড়ান্ত হয় ১২ জনের সভায়

  • ফেনী প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১৯ এপ্রিল ২০১৯

ফেনীর সোনাগাজীর মাদরাসার ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে হত্যার জন্য ১২ সদস্যের একটি সভা হয়। ওই সভায় তাকে হত্যার পরিকল্পনা চূড়ান্ত হয়। এ হত্যাকাণ্ডের অন্যতম পরিকল্পনাকারী মো. আবদুর রহিম ওরফে শরিফের আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

গত বুধবার বিকাল সাড়ে ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ফেনীর জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম শরাফ উদ্দিন আহম্মেদের আদালতে শরিফের ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি নেওয়া হয়। নুসরাত হত্যায় এ নিয়ে তিনজন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিলেন। গত মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর এলাকা থেকে শরিফকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্পেশাল এসপি মো. ইকবাল গণমাধ্যমকে শরীফের স্বীকারোক্তির তথ্য নিশ্চিত করেছেন। মামলার তদন্ত সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, আবদুর রহিম স্বীকারোক্তিতে বলেন, গত ২৮ ও ৩০ মার্চ দুই দফা কারাগারে

থাকা মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার সঙ্গে দেখা করে তারা। এরপর গত ৪ এপ্রিল সকালে অধ্যক্ষ ‘মুক্তি পরিষদের’ সভা করা হয়।  ওই অধ্যক্ষ্যের নির্দেশে ও পরামর্শে নুসরাতকে হত্যার জন্য গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগানো হয়। এ জন্য রাতে ১২ জনের এক সভায় হত্যার পরিকল্পনা চূড়ান্ত ও দায়িত্ব বণ্টন করা হয়।

শরিফ জবানবন্দিতে জানায়, তার দায়িত্ব পড়ে মাদরাসার গেটে। সেখানে নুর উদ্দিন, আবদুল কাদেরও ছিল। মাদরাসার ছাদে বোরকা পরে ছিল শাহাদাত, জোবায়ের ও জাবের। এ ছাড়া ছাদে ছিল কামরুন নাহার মণি ও উম্মে সুলতানা পপি।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও পিবিআই’র পরিদর্শক মো. শাহ আলম বলেন, আবদুর রহিম ওরফে শরিফ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। এরপর তাকে কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। মামলার দুই আসামি নুর উদ্দিন ও শাহাদাত হোসেন ওরফে শামীম এবং মো. আবদুর রহিম ওরফে শরিফসহ তিনজন স্বীকারোক্তিতে একই ধরনের কথা বলেছে। তাদের স্বীকারোক্তি থেকেও মণির নাম উঠে আসে।

নুসরাতকে পুড়িয়ে হত্যার এ মামলায় এখন পর্যন্ত ১৭ জনকে আটক করা হয়েছে। মামলার এজাহারভুক্ত আট আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ৬ এপ্রিল সকালে আলিম পরীক্ষা দিতে গেলে সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসায় মুখোশ পরা চার থেকে পাঁচজন নুসরাতকে অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার বিরুদ্ধে করা যৌন হয়রানির মামলা ও অভিযোগ তুলে নিতে চাপ দেয়। এতে অস্বীকৃতি জানালে তারা নুসরাতের গায়ে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে গত ১০ এপ্রিল রাত সাড়ে ৯টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান অগ্নিদগ্ধ নুসরাত।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads