সাতক্ষীরার কলারোয়ায় প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস চক্রের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ২৮ জনকে আটক করেছে র্যাব। আজ শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে কলারোয়া থানার অদূরে ডা.আনিছুর রহমানের মালিকানাধীন ভবনের ৩য় তলায় অবস্থিত ‘কিডস ক্লাব’ কোচিং সেন্টার থেকে তাদের আটক করা হয়। আটককৃতদের মধ্যে নারীসহ ১৬জন নিয়োগ পরীক্ষার্থী, প্রশ্ন ফাঁস হোতা চক্র কিডস ক্লাবের পরিচালকসহ ৪জন কর্তাব্যক্তি ও ৮জন অভিভাবক ও একজন ব্যাংক কর্মকর্তা রয়েছেন বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গেছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে সকলের পরিচয় জানা যায়নি।
র্যাব-৬ আওতাধীন সাতক্ষীরা ক্যাম্পের কমান্ডার লে. মাহমুদুর রহমান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কলারোয়া মেইনরোড সংলগ্ন ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের পাশের ভবনের ৩য় তলায় ‘কিডস ক্লাব’ কোচিং সেন্টারে অভিযান চালিয়ে সেখানে উপস্থিত প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস চক্র, পরীক্ষার্থী ও অভিভাবক ও একজন ব্যাংক কর্মকর্তাকে আটক করা হয়েছে। কারা মূল প্রশ্নফাঁস চক্রের সঙ্গে জড়িত সেই বিষয়ে যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। পরে বিস্তারিত জানানো হবে।
র্যাব আরো জানায়, তারা জানতে পেরেছেন যে ঢাকায় বসে একটি প্রশ্ন ফাঁসকারী চক্র ১২ লাখ টাকার চুক্তিতে তাদের কাছে মোবাইল ফোনে প্রশ্ন ও তার উত্তর বলে দেবে। এসব প্রশ্ন ও উত্তর ব্লাকবোর্ডে লিখে পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া হবে। এজন্য সিন্ডিকেটের হাতে অগ্রিম পাঁচ লাখ টাকা দিতে হয়েছে। বাকি টাকা পরীক্ষা শেষে দেওয়ার কথা রয়েছে।
অভিযানে অংশ নেয়া র্যাবে এসআই সাজ্জাদ হোসেন জানান- গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার সকালেই র্যাবের গোয়েন্দারা নিশ্চিত হন যে, সেখানে প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্র সংঘবদ্ধ হয়ে পরীক্ষার্থীদের হাতে লেখা প্রশ্নের উত্তর লেখাচ্ছেন ও মুখস্ত করাচ্ছেন। পরপরই সকাল ৮টার দিকে র্যাব সদস্যরা সেখানে অভিযান পরিচালনা করেন। সেখান থেকে প্রাথমিকভাবে নারীসহ ১৬জন পরীক্ষার্থী, কিডস ক্লাবের দু’জন পরিচালক ব্যাংকার আফতাব উদ্দীন ও মনিরুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্ট আরো ২জন এবং ৮জন অভিভাবক ও একজন ব্যাংক কর্মকর্তাসহ মোট ২৯জনকে আটক করা হয়েছে। পরীক্ষার্থীদের সাথে আজ (২৪মে) তারিখের প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রবেশপত্র ছিলো। সেখান থেকে কিডস ক্লাবের প্যাডে হাতে লেখা প্রশ্ন ও উত্তরপত্র উদ্ধার করা হয়।