• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯
‘আর শুনব না, একটু আদর করো’

ছবি : সংগৃহীত

অপরাধ

‘আর শুনব না, একটু আদর করো’

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০৯ জুলাই ২০১৯

‘আমার সোনা মা, আমাকে ছাড়া কিছুই বুঝত না। সবসময় পাশেই থাকত। বুকে এসে বলত, মা তুমি কী করো, আমাকে একটু আদর করে দাও। আজ সে নেই। শূন্য আমাদের ঘর। কে আমাকে জড়িয়ে ধরে বলবে, মা আমাকে আদর করো।’

রাজধানীর ওয়ারীতে ধর্ষণের পর হত্যার শিকার সিলভারডেল স্কুলের নার্সারির ছাত্রী সামিয়া আক্তার সায়মার (৭) মা সানজিদা আক্তার কান্নাজড়িত কণ্ঠে কথাগুলো বলছিলেন।

তিনি আরো বলেন, ‘কী অপরাধ ছিল আমার সোনা মায়ের। তাকে কেন ধর্ষণ করে মেরে ফেলা হলো? আমি আমার মেয়ে হত্যার বিচার চাই। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের আকুল আবেদন, আমার মেয়ের হত্যাকারীর যেন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয়। আর যেন কোনো মায়ের বুক খালি হতে না হয়।’

সায়মার বাসায় গিয়ে দেখা যায়, সায়মার মা সানজিদা আক্তার ও বাবা আবদুস সালাম তাদের মেয়ের ছবি বুকে নিয়ে কাঁদছেন। তাদের কান্না দেখে আশপাশের অনেকেই কান্না থামাতে পারেননি। প্রধানমন্ত্রীর কাছে তারা আবেদন জানান, সায়মার হত্যাকারীর যেন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয়। কোনোভাবেই যেন অপরাধীরা পার পেয়ে না যায়।

সায়মার মা কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘আজ আমি একা হয়ে গেলাম। সে আমাকে বুকে জড়িয়ে ধরত সবসময়। আজ আমার বুক শূন্য হয়ে গেল। কী অপরাধ ছিল আমার মেয়ের?’

সানজিদা আক্তার বলেন, ‘আমার ফুটফুটে মেয়ে। আমি বাইরে থেকে এলে আমাকে জড়িয়ে ধরত। সবার সঙ্গে মিশত। সবার আদরের ছিল। সবাই তাকে অনেক আদর করত। আজ সে নেই। তাকে ধর্ষণ করে মেরে ফেলেছে। আমার মেয়ের হত্যার বিচার চাই। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার আকুল আবেদন আমার মেয়ের হত্যার যেন বিচার হয়। হত্যাকারীর যেন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয়।’

এদিকে শিশু সায়মা ছিল এলাকার সবার প্রিয়। তার হত্যাকারীর সর্বোচ্চ শাস্তি চাচ্ছেন বনগ্রাম এলাকাবাসী। তার শাস্তি দেখে যেন অন্য কেউ এমন অপরাধ করতে না পারে; এমনটাই দাবি তাদের।

বনগ্রামের বাসিন্দা ইউসুফ হোসেন বলেন, সায়মা ছিল সবার প্রিয়। তার হত্যাকাণ্ড মেনে নেওয়ার মতো নয়। তাকে যে হত্যা করেছে তার যেন সর্বোচ্চ শাস্তি হয়। আরেক বাসিন্দা জামান উদ্দিন বলেন, সায়মার হত্যাকারীর যেন সর্বোচ্চ শাস্তি হয়। সরকার যেন সায়মা হত্যাকারীর সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads