• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪২৯
শ্রীপুরে তিন শিক্ষার্থী অপহরণ নিয়ে ধুম্রজাল

প্রতীকী ছবি

অপরাধ

শ্রীপুরে তিন শিক্ষার্থী অপহরণ নিয়ে ধুম্রজাল

  • শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১১ জুলাই ২০১৯

গাজীপুরের শ্রীপুর থেকে তিন স্কুল ছাত্রী অপহরনের ঘটনা নিয়ে ধুম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। অপহরণকারীদের কবল থেকে পালিয়ে থানায় আশ্রয় নেওয়া এক শিক্ষার্থী এখনো পুলিশ হেফাজতেই রয়েছে। সে রাজশাহীর মতিহার থানায় আশ্রয় নেয় স্থানীয়দের সহায়তায়। বুধবার রাতেই অপহৃত স্বজনরা রাজশাহীতে পৌঁছেছে। এমন খবরে রাতেই পুলিশ অপর দুই ছাত্রীর বাড়িতে গিয়ে তাদের বাড়িতেই দেখতে পায়। পরে আজ বৃহস্পতিবার সকালে স্কুলেও গিয়েছে ওই ওই দুই ছাত্রী। পুলিশ এ নিয়ে রয়েছে রহস্যের ভিতরে। প্রতিবেশীরা বলছে, প্রেম বিষয়ক কোনো ঘটনা হতে পারে এটি। এ ঘটনায় শ্রীপুর থানায় একটি মামলা হয়েছে।

পুলিশ হেফাজতে থাকা স্কুল ছাত্রী জানায়, বুধবার সকালে স্কুলে যাওয়ার সময় তাকেসহ আরো দুইজনকে একটি সাদা রঙের মাইক্রোবাসে তুলে তাদের অপহরণ করে একদল অপহরণকারী। পরে গাড়িতে (মাইক্রোবাসে) তুলে চেতনানাশক ওষুধ দিয়ে তাদের অজ্ঞান করে ফেলে। রাত সাড়ে দশটার দিকে রাজশাহীর তালাইমাড়ি এলাকায় পৌঁছালে মাইক্রোবাস থেকে কৌশলে লাফিয়ে পড়ে সে। এ সময় অন্য দুই ছাত্রী অজ্ঞান ছিল মাইক্রোবাসে। সড়কের পাশে একটি দোকানের সামনে গিয়ে সে জানতে পারে এটা রাজশাহী এলাকা। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় সে মতিহান থানায় আশ্রয় নেয়। এমন ঘটনার খবরে পুলিশ রাতেই সাদা মাইক্রোবাসের সন্ধানে বিভিন্ন সড়কের মোড়ে মোড়ে চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাসি শুরু করে। সকল সাদা রঙের মাইক্রোবাস আলাদা ভাবে তল্লাশি করে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, পুলিশ হেফাজতে থাকা ওই ছাত্রী জানিয়েছে তার সাথে একই স্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী জ্যোতি ও মেঘলাকেও অপহরণ করা হয়েছে। এমন খবরে রাতেই ওই দুই ছাত্রীর বাড়িতে খোঁজ নিয়ে সত্যতা পাওয়া যায়নি। বুধবার রাতেও দুই শিক্ষার্থী নিজ নিজ বাড়িতেই ছিল।  যে তিন জনের কথা বলা হচ্ছে তারা সবাই মাওনা বহুমখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী।

পুলিশে হেফাজতে থাকা স্কুল ছাত্রীর মা বলেন, আমি একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করি। সকলেই বাড়ি থেকে অফিসে চলে যাই। বুধবার সকাল পৌঁনে আটটার দিকে অফিসে যাই। পরে সন্ধ্যায় বাড়িতে ফিরে দেখি এখনো মেয়ে বাড়িতে ফেরেনি। এ সময় আশপাশে খোঁজ খবর নেই। রাত সাড়ে দশটার দিকে রাজশাহী মতিহান থানার একজন পুলিশ অফিসার আমাকে ফোনে এ বিষয়টি জানায়। এর পরেই জানতে পারি এমন ঘটনা।

প্রতিবেশিরা জানিয়েছে, অপহরণের এ ঘটনাটি এলাকায় বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। অন্য দুই শিক্ষার্থীর কথা বলা হলেও তারা বাড়িইে ছিল। এটা প্রেম বিষয়ক কোনো ঘটনা হতে পারে।

মাওনা বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. হারুন অর রশিদ জানান, একজনের অপহরণের বিষয়টি আমরা বিভিন্নভাবে শুনেছি। অপর দুই জনের কথা বলা হলেও তারা আজ (বৃহস্পতিবার) যথা সময়ে স্কুলে এসে নিয়মিত পাঠদানে অংশ নিয়েছে।

শ্রীপুর থানার ওসি( তদন্ত) আবুল কালাম ভুঁইয়া জানান, খবর পেয়ে রাতেই ওই দুই শিক্ষারর্থীর বাড়িতে গিয়ে তাদের পাওয়া যায়। তিন শিক্ষার্থীর অপহরণ ছিল বিভ্রান্তিমূলক কথা। দুইজন আজও বিদ্যালয়ের ক্লাশে উপস্থিত ছিল। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আরো অধিক তদন্ত করা হচ্ছে।  

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads