পটুয়াখালীর দুমকিতে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রবিউল ইসলাম (১৪) নামের দশম শ্রেণীতে পড়ূয়া এক ছাত্রকে বেধরক পিটিয়ে জখম করেছে ৫সহপাঠীরা।
গত সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে দুমকি একে মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পেছনের সড়কের চৌরাস্তায় এ হামলার ঘটনাটি ঘটে। এসময় রবিউলের চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে তাকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করেন।
রবিউল ইসলাম দুমকি গ্রামের বাসিন্দা মজিবর ফকিরের ছেলে।
বখাটে সহপাঠীরা হলেন : শামীম (১৫), রাকিব মৃধা (১৪), দিপ্ত কর্মকার (১৪), নাঈম (১৫) ও শামীম (১৫)।
রবিউল ইসলামের পিতা জানান, দুমকি একে মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীতে অধ্যায়নরত ঝাটরা গ্রামের রহিম হাওলাদারের ছেলে শামীম (১৫), সোবাহান মৃধার ছেলে রাকিব মৃধা (১৪), পিরতলা বাজারের দিপক কর্মকারের ছেলে দিপ্ত কর্মকার (১৪), বাহেরচর গ্রামের জয়নালের ছেলে নাঈম (১৫) ও শ্রীরামপুর গামের জলিল তালুকদারের ছেলে শামীম (১৫)সহ ৫বখাটে ছাত্র একই স্কুলের ভকেশনাল শাখার কোন ছাত্রের সাথে কথা বলা যাবেনা অযুহাতে তার নিরীহ ছেলে রবিউল ইসলামকে ঘটনার দিন ও সময়ে স্কুলের ক্লাশ শেষে বাড়ি যাবার পথে রাস্তায় ফেলে সিনেমা স্টাইলে বে-ধরক পিটিয়ে অজ্ঞান করে ফেলে। এসময় স্থানীয় লোকজন চিৎকার শুনে ছুটে আসলে বখাটেরা দৌড়ে পালিয়ে যায়।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে আহত ছেলেকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। বখাটের এলোপাথারী গণপিটুনীতে রবিউলের মাথা, বুকে-পিঠে ও শরীরের নিম্নাঙ্গে রক্তজমাট, দগদগে ফুলা জখম হয়েছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ৫বখাটের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গে কাছে বিচার চাইলে তারা অপারগতা প্রকাশ করে আইনগত পদক্ষেপের জন্য দুমকি থানায় অভিযোগের পরামর্শ দেন।
উল্লেখ্য, অভিযুক্ত ওই ৫বখাটের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ক্লাশের ছাত্রীদের উত্যক্ত করা, রাস্তাঘাটে বেলেল্লাপনা, আড্ডাবাজি, ক্লাশ ফাঁকি দিয়ে সিগারেট, গাঁজা ও নেশা জাতীয় ট্যাবলয়েট সেবনের অভিযোগ রয়েছে।
এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দুমকি থানায় লিখিত একটি অভিযোগ করা হলে অফিসার ইনচার্জ মো: মনিরুজ্জামান অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।