• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
আমার শ্বশুর অসুস্থ তার কিছুই মনে থাকে না : মিন্নি

ছবি : সংগৃহীত

অপরাধ

আমার শ্বশুর অসুস্থ তার কিছুই মনে থাকে না : মিন্নি

  • বরগুনা প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১৫ জুলাই ২০১৯

বরগুনায় চাঞ্চল্যকর রিফাত শরীফ হত্যা মামলার প্রধান সাক্ষী স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি বলেছেন, আমার শ্বশুর দুলাল শরীফ অসুস্থ। তার একমাত্র সন্তানকে হারিয়ে বর্তমানে আরো অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। যখন যা খুশি বলেন, পরে তা মনে থাকে না। গতকাল রোববার দুপুর ১২টায় নিজ বাড়িতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

মিন্নি আরো বলেন, গত ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে আমার স্বামীকে নয়ন বন্ডসহ কতিপয় সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্য দিবালোকে কুপিয়ে হত্যা করে। সেই হত্যার ভিডিওতে আপনারা সবাই দেখেছেন, স্বামীকে বাঁচানোর জন্য আমি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অস্ত্রের মুখে প্রতিবাদ করেছি। তা দেখে সারা দেশের মানুষ আমার সাহসের প্রশংসা করেছেন। পরবর্তী সময়ে আমার শ্বশুর নয়ন বন্ডসহ ১২ জনকে আসামি করে মামলা করেন। সেই মামলায় কোথাও উল্লেখ নেই, আমি স্বামী হত্যার সঙ্গে জড়িত। বরং ওই মামলায় আমি ১ নম্বর সাক্ষী। ছেলেকে হারিয়ে আমার শ্বশুর অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তিনি যা বলেন পরে তা মনে থাকে না।

রিফাত হত্যাকারীরা বিচারকে অন্যদিকে প্রবাহিত করতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমাকে হয়রানির চেষ্টা করেছে। ফেসবুকে বিভিন্ন ছবি এডিট করে তারা পোস্ট করেছে যা সত্য নয়। বরগুনায় ‘০০৭’ নামের গ্রুপটি যারা সৃষ্টি করেছেন তারা খুবই ক্ষমতাবান ও বিত্তশালী। তারাই এই বিচারের আওতা থেকে দূরে থাকার জন্য আমার শ্বশুরকে বিভিন্নভাবে চাপ সৃষ্টি করছে।

রিফাত হত্যার বিচারকে অন্যদিকে প্রবাহিত করতেই তারা গত শনিবার আমার শ্বশুরকে দিয়ে বরগুনা প্রেস ক্লাবে আমার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করিয়ে সম্পূর্ণ মনগড়া ও বানোয়াট কথা বলিয়েছে। আমি সেসব বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানাই। আমার স্বামীকে কোপানোর পরে তাকে নিয়ে আমি বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে যাই। বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাকে রেফার করার কথা শুনে আমি অজ্ঞান হয়ে পড়ি। 

নিহত রিফাতের স্ত্রী আরো বলেন, আমার নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ বরগুনার পুলিশ সুপারকে ধন্যবাদ জানাই। আমি এক স্বামীহারা অসহায় নারী। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার ও ষড়যন্ত্রকারীদের বিচারের আওতায় নিয়ে আসার দাবি জানাচ্ছি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads