• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪২৯
জিজ্ঞাসাবাদের জন্য জেলা পুলিশের কার্যালয়ে মিন্নি

ছবি : সংগৃহীত

অপরাধ

জিজ্ঞাসাবাদের জন্য জেলা পুলিশের কার্যালয়ে মিন্নি

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ১৬ জুলাই ২০১৯

বরগুনায় রিফাত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় রিফাতের স্ত্রী মিন্নিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য জেলা পুলিশের কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বরগুনার পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মারুফ হোসেন। আজ মঙ্গলবার সকালে তাকে জেলা পুলিশের কার্যালয়ে নেওয়া হয়।

এরআগে বরগুনায় রিফাত শরীফ হত্যার পেছনে স্ত্রী মিন্নির হাত রয়েছে উল্লেখ করে মিন্নিকে গ্রেপ্তারের দাবি জানান নিহত রিফাতের বাবা আব্দুল হালিম দুলাল শরীফ। গত শনিবার রাতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি আগে নয়ন বন্ডকে বিয়ে করেছিল। ওই বিয়ে গোপন করে রিফাত শরীফকে বিয়ে করে মিন্নি। বিষয়টি আমাদের জানায়নি মিন্নি এবং তার পরিবার। কাজেই রিফাত শরীফ হত্যার পেছনে মিন্নির মদদ রয়েছে। তাকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনলে সব বিষয় পরিষ্কার হয়ে যাবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘রিফাত হত্যাকাণ্ডের আগের দিন সকাল ৯টার দিকে নয়নের সঙ্গে দেখা করতে যায় মিন্নি। ওই দিন সন্ধ্যায় নয়নের বাসায় যায় মিন্নি। রিফাতের সঙ্গে বিয়ের পরও নয়নের বাসায় মিন্নির নিয়মিত যাতায়াত ছিল।’

দুলাল শরীফ আরো বলেন, ‘ঘটনার দিন রিফাতকে ছাড়া কলেজে গেলেও ঘটনার কিছু সময় আগে রিফাতকে বাসা থেকে কলেজে ডেকে নিয়ে যায় মিন্নি। কারণ হত্যাকারীদের সঙ্গে মিন্নির আগে থেকে যোগাযোগ ছিল। মোটরসাইকেলে কলেজ থেকে মিন্নিকে নিয়ে আসার জন্য রিফাত গেলে হত্যাকারীদের না দেখে আবার কলেজে ঢুকে যায় মিন্নি। সেই সঙ্গে সময় কাটাতে থাকে। পরে হত্যাকারীদের উপস্থিতি দেখে মিন্নি কলেজ থেকে বের হয়। ওই সময় মিন্নিকে নিয়ে আসতে গেলে আমার ছেলের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে হত্যাকারীরা।’

তিনি আরো বলেন, 'মিডিয়ায় প্রকাশিত নতুন ভিডিওতে বিষয়টি পরিষ্কার দেখা যায়। আমার ছেলেকে রিফাত ফরাজী ও অন্যরা যখন মারধর করতে করতে নিয়ে যায় তখন স্বাভাবিকভাবে পেছনে পেছনে হাঁটছিল মিন্নি, যা কোনোভাবেই আমি মেনে নিতে পারিনি। এটি দেখে পরিষ্কার বোঝা যায়, আমার ছেলে হত্যার পেছনে মিন্নির হাত রয়েছে।'

আব্দুল হালিম দুলাল শরীফ বলেন, ‘মিডিয়ায় প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায় রিফাতকে কোপানোর সময় মিন্নি খুনিদের জাপটে ধরেছে। কিন্তু খুনিরা কেউ মিন্নির ওপর চড়াও হয়নি এমনকি মিন্নিকে একটা টোকাও দেয়নি। যখন রিফাত আহত এবং রক্তাক্ত অবস্থায় একা একা রিকশাযোগে হাসপাতাল যাচ্ছিল তখন মিন্নি তার ব্যাগ ও স্যান্ডেল গোছানোর কাজে বেশি ব্যস্ত ছিল। খুনিদের একজন রাস্তা থেকে ব্যাগ তুলে মিন্নির হাতে দিয়েছে। মিন্নি ওই ব্যাগ নিয়ে স্বাভাবিকভাবে হাঁটছিল। এছাড়া আমার ছেলে রিফাত শরীফকে অ্যাম্বুলেন্সযোগে বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার সময়ও যায়নি মিন্নি। আসলে সবই ছিল মিন্নির অভিনয়।’

দুলাল শরীফ আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ প্রশাসনের সবার কাছে আমার আকুল আকুতি এ ন্যক্কারজনক হত্যাকাণ্ডের মূলহোতাকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে প্রকৃত রহস্য উন্মোচন করুন। আদালতের মাধ্যমে মিন্নির শাস্তি দাবি করছি আমি। তাকে যেন এমন কঠিন শাস্তি দেয়া হয় যাতে আর কোন রিফাত শরীফের বাবা-মায়ের কোল খালি না হয়।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন নিহত রিফাত শরীফের চাচা আব্দুল আজিজ শরীফ ও ছালাম শরীফ। সংবাদ সম্মেলনের একপর্যায়ে কান্না শুরু করেন নিহত রিফাত শরীফের বাবা আব্দুল হালিম দুলাল শরীফ।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads