বরগুনার বামনা উপজেলার ঘোপখালী গ্রামের এক বুদ্ধি প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের চেষ্টা ও এ ঘটনা ধামচাপা দেওয়ার অভিযোগে ওই গ্রামের গ্রাম পুলিশসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে বামনা থানা পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- ঘোপখালী গ্রাম পুলিশ মো. নাসির চৌকিদার (৩৫), মো. আনসার আলী হাওলাদার (৪২) ও মো. দুলাল চৌধুরী (৪০)।
গত মঙ্গলবার রাতে ওই ভুক্তভোগী কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে চার জনকে আসামি করে বামনা থানায় নারী
মামলার প্রধান আসামী মো. সোহাগ পলাতক রয়েছেন ।
বামনা থানা পুলিশ গতকাল বুধবার সকালে গ্রেপ্তারকৃতদের বরগুনা আদালতে হাজির করলে আদালত তাদের জেল হাজতে পাঠায়।
মামলা সূত্রে জানাযায়, গত শনিবার সকাল ১০টায় ওই বুদ্ধি প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ঘরে একা পেয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে অভিযুক্ত মো. সোহাগ। ওই ঘটনাটি জানাজানি হলে স্থানীয়ভাবে শালিস ব্যবস্থার নামে ২০ টাকা হাতিয়ে নিয়ে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে গ্রাম পুলিশ নাসির চৌকিদারসহ প্রতিবেশী আনসার আলী হাওলাদার ও দুলাল চৌধুরী।
এ ব্যাপারে প্রত্যক্ষদর্শী ওই কিশোরীর পাশর্^বর্তী ঘরের ষাটোর্ধ রাশেদা বেগম জানায়, মেয়েটির চেঁচামেচিতে তারা ঘর থেকে বাইরে বেড়িয়ে আসে এবং মেয়েটির ঘরের জানালা দিয়ে অভিযুক্ত সোহাগকে মেয়েটির বিছানায় উপর জোড় জবরদস্তি করতে দেখতে পায়। লোকজনের উপস্থিতি টের পেয়ে সোহাগ জানালা দিয়ে পলিয়ে যায়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক প্রতিবেশী জানায়, ওই ঘটনার পরে অভিযুক্ত সোহাগের বাবা মো.আবব্দুল্লাহ বিষয়টি ধামাচাপা দিতে নিজের একটি গাভী বিক্রি করে বিশ হাজার টাকা স্থানীয় গ্রাম পুলিশ মো. নাসির চৌকিদার, প্রতিবেশী মো. আনসার ও দুলাল চৌধূরী নামের একজন প্রভাবশালীকে দেয়। তারা ওই টাকায় ধর্ষনের ঘটনাটি ধামা চাপা দেওয়ার চেষ্টা চালায়।
বামনা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মাসুদুজ্জামান বলেন, গ্রেপ্তারকৃতদের বুধবার সকালে বরগুনা জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। মামলার প্রধান আসামী মো. সোহাগকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হচ্ছে।