• মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪২৮
কেরানীগঞ্জে ৩ রোহিঙ্গা নারী সহ মানবপাচার চক্রের ১০ সদস্য আটক

কেরানীগঞ্জে পাচারের উদ্দেশে রাখা ৩ রোহিঙ্গা নারী সহ মানবপাচার চক্রের ১০ সদস্য আটক

ছবি : বাংলাদেশের খবর

অপরাধ

কেরানীগঞ্জে ৩ রোহিঙ্গা নারী সহ মানবপাচার চক্রের ১০ সদস্য আটক

  • কেরানীগঞ্জ প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১৯ জুলাই ২০১৯

কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদ এলাকা থেকে ৩ রোহিঙ্গা নারী সহ মানবপাচার চক্রের ১০ সদস্যকে আটক করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। এ সময় তাদের কাছ থেকে বাংলাদেশী মোট ২৫১টি পাসপোর্ট, মধ্যপ্রাচের ভিসা ও অন্যান্য কাজপত্র সহ ১৩ জনকে আটক করা হয়।

গত বৃহস্পতিবার রাত ১০টায় গোপন সংবাদের তাদের আটক করা হয়।  র‌্যাব ১০-এর উপঅধিনায়ক মেজর মোহাম্মদ আশরাফুল হক ছিল। প্রেস ব্রিফিয়ে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

আটককৃত রোহিঙ্গা নারীরা হলেন : মুসফেকা (১৯), শান্তা (১৩) ও নুর বেগম (৪৮)।

জড়িত সন্দেহে আটককৃতরা হলেন : কুমিল্লা জেলার আছড়া গ্রামের নাজিম মিয়ার ছেলে বাবুল(৪০) ও তার স্ত্রী কাকলী বেগম (৩৫) বগুড়ার শিবগঞ্জ থানাধীন দোপাড়া গ্রাামের মৃত হাবিবুর মোল্লার ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (৫২), কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ থানাধীন হাসনাবা এলাকার মৃত হাসান আহম্মদের ছেলে মো. মানিক (৪৫), ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ থানাধীন বিশ্বাসবাড়ী গ্রামের মিন্টু বিশ্বাসের ছেলে রানা (৩৪), বরগুনা জেলার বেতাগী থানাধীন পূর্ব রানীপুর গ্রামের আবদুল খালেক হাওলাদারের দুই ছেলে আল মামুন (৩৫) ও হুমায়ুন কবির (৪৩), শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া থানাধীন আকসা এলাকার কাজী আব্দুল মান্নানের ছেলে কাজী মাহফুজুর রহমান মাসুদ (৪০), চাঁদপুর জেলার কচুয়া থানাধীন ফইসারা গ্রামের সুলতান মিয়ার ছেলে মো. ফারুক মিয়া (২৫), খুলনা জেলার ডুমুরিয়া থানাধীন কুলাটি গ্রামের সুদাংশু সরকারের ছেলে গৌরাঙ্গ সরকার (২৫)।

মেজর মোহাম্মদ আশরাফুল হক জানান, অনেক দিন ধরে কেরানীগঞ্জে মানবপাচারকারী একটি চক্র সক্রিয় রয়েছে বলে তাদের কাছে খবর রয়েছে। এ জন্য তারা গোয়েন্দা নজরদারিতে ছিলেন। গোপন সাংবাদের ভিত্তিতেই জানতে পারি কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদ বড় মসজিদসংলগ্ন পাগলা হোসেনের বাড়িতে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকেন এমন এক দম্পতি রয়েছে, যারা রোহিঙ্গা পাচারের সঙ্গে জড়িত।

রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে পাচারের উদ্দেশ্যে রোহিঙ্গাদের এনে তাদের ভাড়া বাসায় রাখতেন। বুধবার ওই বাসায় অভিযান চালায় র‌্যাবের একটি দল। এ সময় তাদের হেফাজতে থাকা ঐ ৩জন নারীকে আটক করা হয়। পরে তাদের স্বীকারোক্তিমতে বুধবার সারারাত ও বৃহস্পতিবার সারাদিন টানা অভিযান চালিয়ে রাজধানীসহ ঢাকার আশপাশ থেকে চক্রের আরো আট সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়।

তিনি আরো জানান, চক্রটি বেশ বড় এবং শক্তিশালী। এরা বিভিন্ন গ্রুপে ভাগ হয়ে কাজ করেন। এক গ্রুপের কাজ হলো বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে টেকনাফের রোহিঙ্গা শরনার্থী শিবির হতে রোহিঙ্গাদের বের করে আনা। অপর চক্রের কাজ হলো ঢাকায় পৌঁছে দেয়া। পরের গ্রুপের কাজ হলো ঢাকায় ভাড়া বাসা নিয়ে সেখানে রোহিঙ্গাদের রাখা।

এভাবে চক্রটি জাল সারাদেশে ছড়িয়ে পরছে । রোহিঙ্গাদের পাশাপাশি বাংলাদেশি নাগরিকদেরও তারা পাচার করে থাকেন। সাধারণত মালয়েশিয়া ও মধ্যপ্রাচের দেশগুলোতে তারা মানবপাচার করে আসছেন দীর্ঘ দিন ধরে।

মেজর আশরাফুল হক জানান, চক্রের ১০ সদস্যকে গ্রেপ্তারের পর এদের কাছে সংরক্ষিত ২৫১টি বাংলাদেশি পাসপোর্ট উদ্ধার করা হয়েছে। পাশাপাশি চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে র‌্যাবের অভিযান অব্যাহত আছে

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads