• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
স্ত্রী আত্মগোপনে, মিথ্যা হত্যা মামলায় আত্মহত্যা স্বামীর

সংগৃহীত ছবি

অপরাধ

স্ত্রী আত্মগোপনে, মিথ্যা হত্যা মামলায় আত্মহত্যা স্বামীর

  • কুমিল্লা প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ০৮ আগস্ট ২০১৯

কুমিল্লার ব্রা‏হ্মণপাড়ার সীমা আক্তারকে কেউ খুন করে লাশ গুম করেনি। তাকে জীবিত উদ্ধার করেছে পুলিশ। স্ত্রী হত্যার মিথ্যা মামলায় আত্মহত্যা করে স্বামী সাইফুল ইসলাম।

বুধবার কুমিল্লা নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইবুনালে জবানবন্দি দিয়েছেন সীমা আক্তার। 

থানা পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ব্রা‏হ্মণপাড়া উপজেলার দুলালপুর ইউনিয়নের নাল্লা গ্রামের মোরশেদ মিয়ার মেয়ে সীমা আক্তারের সাথে চার বছর আগে একই উপজেলার ব্রা‏হ্মণপাড়া সদরেরর আটকিল্লাপাড়ার সহিদুল ইসলামের ছেলে সাইফুল ইসলামের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে তাদের মধ্যে মনোমালিন্য চলছিলো। গত মে মাসের ১৮ তারিখ থেকে সীমা আক্তারকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। এ নিয়ে ২৩ মে কুমিল্লা নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইবুনালে সীমা আক্তারের মা হেলেনা বেগম বাদী হয়ে তার মেয়েকে যৌতুকের জন্য নির্যাতন চালিয়ে খুন করে লাশ ঘুমের একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার পর থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন স্বামী সাইফুল।

ঘটনাটি মিমাংসার জন্য সাইফুল ও সীমা আক্তারের পরিবারের লোকজন একাধিকবার বৈঠকও করেছিলেন। একটি বৈঠকে সাইফুলকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছিল। কিন্তু সেই টাকা দিতে পারেনি। এদিকে স্ত্রী উধাও, অন্য দিকে হত্যা ও গুমের মামলা। এ অবস্থায় গত ২১ জুলাই সাইফুল ইসলাম গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। এ নিয়ে সাইফুলের বাবা বাদী হয়ে থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা করেছিল।

পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে সীমা আক্তারকে গত মঙ্গলবার রাতে ব্রা‏হ্মণপাড়া এলাকা থেকে জীবিত উদ্ধার করে। বুধবার কুমিল্লা নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইবুনালে  জবানবন্দি দিয়েছেন সীমা আক্তার। তিনি আদালতকে বলেন, তার স্বামী তাকে নির্যাতন করতেন। এ কারণে তিনি কাউকে কোন কিছু না বলেই গাজীপুরে গিয়ে গার্মেন্টেসে চাকরি করেছেন। বাড়িতে আসলে পুলিশ তাকে থানায় নিয়ে আসেন।

সাইফুল ইসলামের ভাই রাজিব মিয়া ও শ্যামল মিয়া বলেন, তাদের বড় ভাই সাইফুলের স্ত্রীর সাথে মনোমালিন্য ছিলেন। পরে শ্বশুর বাড়ির লোকজন তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেছেন। সেই জ্বালা সইতে না পেরে আত্মহত্যা করেছিলেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ব্রা‏হ্মণপাড়া থানার এস.আই মো. সফিকুল ইসলাম বলেন, সীমা আক্তারকে খুন করে লাশ গুমের একটি অভিযোগ এনে তার মা হেলেনা আক্তার বাদী হয়ে আদালতে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন। পরে দুই পরিবারের মধ্যে মামলাটি মিমাংসার বৈঠক হয়েছিল। দুই লাখ টাকা সাইফুল দিলে মামলা আপোষ করবে বলেছিলেন। কিন্তু সাইফুল সেই টাকাও দিতে পারেননি। পরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।

জীবিত সীমা আক্তারকে আদালতে নিয়ে গেলে তিনি বলেন, স্বামীর নির্যাতনের কারণে তিনি বাড়ি থেকে বের হয়ে গেছেন।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads