রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ ঘাট থানায় পিটিয়ে এক লাখ টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ করতে এসে শ্রীঘরে স্থান হয়েছে মীর আলী (৪৫) নামের এক ব্যক্তির। পাঁচ সন্তানের জনক মীর আলী গোয়ালন্দ উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের হাজী গফুর মন্ডলের পাড়া গ্রামের মৃত খোরশেদ আলী শেখের ছেলে।
এক গৃহবধুকে যৌন হয়রানীর অভিযোগে তাকে আটক করে গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশ।
থানা পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, বুধবার মীর আলী গোয়ালন্দ ঘাট থানায় এসে অভিযোগ করেন, তার শ্যালকের গরু বিক্রির এক লাখ টাকা শ্যালক দিরাজ শেখকে দিতে যাওয়ার সময় স্থানীয় এক ব্যক্তি ও তার ছেলেরা তাকে বেধড়ক মারপিট করে টাকা ছিনিয়ে নেয়। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে জানতে পারে মীর আলী দীর্ঘদিন ধরে ওই ব্যক্তির স্ত্রীকে যৌন হয়রানি করে আসছিল। সম্প্রতি মীর আলী ওই গৃহবধুকে সুযোগ পেলেই বার বার কুপ্রস্তাব দিতে থাকে। এতে বাধ্য হয়ে তিনি (গৃহবধু) তার স্বামী-সন্তানদের কাছে বিষয়টি জানায়। স্বামী স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের কাছে বিষয়টি জানালে তারা মীর আলীকে সতর্ক করে। কিন্তু মীর আলী ওই গৃহবধুকে যৌন হয়রানি বন্ধ না করে বিভিন্ন সময় উত্যক্ত করে আসছিল। এ পরিস্থিতিতে ওই গৃহবধুর স্বামী ও সন্তানরা তাকে বুধবার লাঞ্ছিত করে। বিষয়টি ভিন্ন খাতে নেওয়ার জন্য মীর আলী থানায় তাদের বিরুদ্ধে ছিনতাইয়ে অভিযোগ করেন।
যৌন হয়রানির শিকার ওই গৃহবধু জানান, তার স্বামী বাড়িতে থাকেন না। এ সুযোগে লম্পট মীর আলী তাকে যৌন হয়রানি করে আসছিল। ছেলে-মেয়ে বড় হয়ে যাওয়ায় লোক-লজ্জার ভয়ে প্রথম দিকে প্রকাশ করতে পারেননি। কিন্তু দিন দিন মীর আলীর হয়রানির মাত্রা বেড়ে যাচ্ছিল। তাই পরিবারের কাছে তিনি বিষয়টি জানাতে বাধ্য হয়েছেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য নিখিল চন্দ্র জানান, ছিনতাইয়ের অভিযোগ পেয়ে থানা পুলিশ নিরপরাধ ব্যক্তিকে হয়রানি না করে তদন্ত করে সঠিক বিষয়টি উদ্ঘাটন করেছে। এ জন্য থানা পুলিশকে ধন্যবাদ জানাই।
এ ব্যাপারে গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি রবিউল ইসলাম জানান, অভিযোগ পেয়ে পুলিশ সরেজমিন তদন্তে গিয়ে ঘটনার আড়ালের ঘটনা বের করে আনে। সাক্ষ্য প্রমানের ভিত্তিতে যৌন হয়রানির অভিযোগে মীর আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়। এঘটনায় বুধবার রাতে ওই গৃহবধু বাদী হয়ে মীর আলীকে আসামী করে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
