• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯

অপরাধ

চাকরিচ্যুত হতে পারেন জামালপুরের সাবেক ডিসি

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২৭ আগস্ট ২০১৯

নারী কেলেঙ্কারির ভিডিও ফাঁসে জামালপুরের জেলা প্রশাসকের পদ হারানো আহমেদ কবীর চাকরিচ্যুত হতে পারেন বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব শফিউল আলম। এ ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির রিপোর্টের পর এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে সরকার। গতকাল সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠক নিয়ে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব এ কথা বলেন।

দোষী প্রমাণ হলে কী ধরনের শাস্তি হতে পারে-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য ডিসিপ্লিন অ্যান্ড আপিল রুল যেটা-সেখানে ডিসমিসাল হতে পারে চাকরি থেকে (চাকরিচ্যুতি), বিম্যুভাল হতে পারে অথবা নিচের পদে নামিয়ে দেওয়া হতে পারে, আবার গুরুদণ্ডও হতে পারে।

উল্লেখ্য, গত শুক্রবার থেকে জামালপুরের সাবেক ডিসির নারী কেলেঙ্কারি নিয়ে ব্যাপক তোলপাড় চলছে। তার খাসকামরায় তথা বিশ্রাম কক্ষে এক নারীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কের ভিডিও আগের রাতে ফেসবুকে পোস্ট করা হয় একটি আইডি থেকে। সকালে সেটি সরিয়ে নেওয়া হলেও মেসেঞ্জারের মাধ্যমে এটি ভাইরাল হয়ে যায়। ওই ভিডিওটি ছিল চার মিনিট ৫৮ সেকেন্ডের। তবে পরদিন ২৬ মিনিটের একটি ভিডিও প্রকাশ হয়, যা আপলোড হয় বিভিন্ন পর্নো সাইটে। এ ঘটনার পর গত রোববার আহমেদ কবীরকে তার দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিয়ে জামালপুরে নতুন ডিসি নিয়োগ দেওয়া হয়। পাশাপাশি পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। কমিটির আহ্বায়ক মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্ম সচিব (জেলা ও মাঠ প্রশাসন অধিশাখা) মুশফিকুর রহমান।

এর মধ্যে একটি গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়, প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারির নামমাত্র তদন্ত হয়, দোষী প্রমাণ বা ব্যবস্থা নেওয়ার ঘটনা বিরল। জামালপুরের সরিয়ে দেওয়া ডিসিও পার পেয়ে যাবেন কি না, এমন প্রশ্নে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আমরা প্রক্রিয়া শুরু করেছি, শাস্তি হবে ইনশাআল্লাহ।

তিনি বলেন, যদি তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত না হয় তবে কাউকে শাস্তি দেওয়া কঠিন। আমরা এ জন্য কমিটি করেছি। কমিটি দেখবে এটা। অবজেক্টটিভলি দেখবে, নিরপেক্ষভাবে দেখবে। টেকনিক্যালি এটার মধ্যে যদি কোনো ম্যানুপুলেশন থাকে তারা সেটাও যাচাই করবে এক্সপার্ট দিয়ে। সে জন্য এক্সপার্টও সঙ্গে রাখা হয়েছে। যদি দোষী সাব্যস্ত হয় তবে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ভিডিওতে এটা স্পষ্ট যে আহমেদ কবীর জোর করেননি। স্বেচ্ছায় তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে গেছেন ওই নারী। এ অবস্থায় আসলে কী শাস্তি হওয়া সম্ভব-এটা নিয়েও আছে প্রশ্ন। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, গঠন করা কমিটির তদন্তের ভিত্তিতে আহমেদ কবীরের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads