• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮

অপরাধ

তিনজনের গলা কেটে মেয়েকেও কোপান আব্বাস

  • সিদ্ধিরগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৯

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে মা-মেয়েসহ তিনজনকে গলা কেটে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত আব্বাস মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। স্ত্রীর সঙ্গে বিরোধের জেরে গলা কেটে হত্যা করেন শ্যালিকা নাজনীন ও তার দুই মেয়ে নুসরাত (৫) ও সুনাইনা ওরফে খাদিজাকে (১)। এ সময় নিজের মেয়ে প্রতিবন্ধী সুমাইয়াকেও কুপিয়ে রক্তাক্ত করে আব্বাস। গতকাল বৃহস্পতিবার সিদ্ধিরগঞ্জের সিআই খোলা এলাকার একটি ছয়তলা ভবনের ভাড়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে সেখান থেকে নাজনীন ও তার দুই মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। আহত সুমাইয়াকে (১৫) আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) হারুন অর রশীদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ জানায়, আব্বাস মাদক সেবন করে প্রায়ই তার স্ত্রী ইয়াসমিন ও প্রতিবন্ধী সন্তান সুমাইয়াকে (১৫) মারধর করত। তার অত্যাচার থেকে রেহাই পেতে

সুমাইয়াকে নিয়ে বোন নাজনীন বেগমের ভাড়া বাসায় চলে গিয়েছিলেন ইয়াসমিন। কিন্তু আব্বাস ইয়াসমিনের খোঁজে সেখানে গিয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছে।

ইয়াসমিন জানান, তিনি আদমজী ইপিজেডে একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। তার স্বামী আব্বাস মিয়া মাদকাসক্ত। প্রতিবন্ধী মেয়ে সুমাইয়াকে মারধরের কারণে তাকে নিয়ে গত বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাতে ছোট বোন নাজনীনের বাসায় চলে আসেন। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৭টায় তিনি কারখানায় যান। এর পরই হত্যাকাণ্ডটি ঘটায় আব্বাস।

ইয়াসমিনের ছোট ভাই হাসান জানান, ইয়াসমিন তার মেয়েকে নিয়ে নাজনীনের বাসায় চলে আসার পর আব্বাসও রাতে এই বাসায় চলে আসে। কিন্তু ইয়াসমিন কারখানায় চলে গেলে কলহের বিষয়গুলো নিয়ে শ্যালিকার সঙ্গে বিবাদে জড়ায় আব্বাস। এরপর তিনজনকে গলা কেটে হত্যা এবং নিজের মেয়েকেও কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায়।

হাসান তার বোন হত্যার বিচার দাবি করেছেন এবং অভিযুক্ত আব্বাসের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন।

এদিকে নিহত নাজনীনের স্বামী সুমন বলেন, প্রতিদিনের মতোই আমি কাজে গিয়েছিলাম। আমি একটি পেট্রোল পাম্পে ডিউটি করি। কাজ শেষ হলে সকাল ১০টায় বাড়ি ফিরি আর ঘরের দরজা খোলা দেখতে পাই। ভেতরে প্রবেশ করতেই দেখি বউ আর দুই মেয়ের গলাকাটা রক্তাক্ত মরদেহ। সুমাইয়াও রক্তাক্ত অবস্থায় ঘরে পড়ে ছিল।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) হারুন অর রশীদ বলেন, আব্বাসের সঙ্গে তার স্ত্রীর বিরোধ ছিল। ওই বিরোধের কারণে জিদ করে আব্বাসের শ্যালিকার বাসায় চলে আসেন তার স্ত্রী। তিনি একটি গার্মেন্টে চাকরি করেন। সকালে তিনি কারখানায় চলে যান। শ্যালিকার সঙ্গে আলাপকালে কোনো বিরোধের জের ধরেই তাকে ও তার দুই মেয়েকে হত্যা করেন আব্বাস। নিজের প্রতিবন্ধী মেয়েকেও জখম করেন তিনি।

আব্বাসকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads