• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯
প্রতিদিন রুটিন করে ট্রেনের তেল চুরি

ফাইল ছবি

অপরাধ

আড়িখোলা রেলওয়ে স্টেশন

প্রতিদিন রুটিন করে ট্রেনের তেল চুরি

  • কালীগঞ্জ (গাজীপুর) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯

ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের গাজীপুরের কালীগঞ্জে আড়িখোলা রেলওয়ে স্টেশনের অদূরে পূর্ব ও পশ্চিম পাশে প্রতিদিন রুটিন করে চলছে ট্রেন থেকে তেল চুরি। স্থানীয়দের অভিযোগ, আড়িখোলা স্টেশন মাস্টার মো. আলমগীর হোসেনকে মৌখিকভাবে একাধিকবার বললেও বিষয়টি নিয়ে তিনি কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। এটা তার দায়িত্ব না বলে এড়িয়ে গেছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিন এই রেলওয়ে সড়ক দিয়ে ঢাকা থেকে সিলেট, চট্টগ্রাম ও ভৈরব হয়ে ময়মনসিংহে প্রায় ৫০টি ট্রেন আসা-যাওয়া করে। দীর্ঘদিন ধরে একটি তেল চোর চক্র প্রতিদিন রুটিন করে আড়িখোলা রেলওয়ে স্টেশনের অদূরে পূর্ব ও পশ্চিম পার্শ্বে ট্রেন থামিয়ে তেল সরবরাহ করে থাকে। ওই তেল চোর চক্রটি ২০-৩০ মিনিট সময়ের জন্য ট্রেন থামায় এবং গ্যালন, ড্রাম ভরে ভ্যানে করে নিয়ে যায়। আর ওই চুরির তেলে স্থানীয় কয়েকটি তেলের দোকান চলছে রমরমা ব্যবসা। ট্রেনের চালক, গার্ড ও স্টেশন মাস্টারদের যোগসাজশে চলেছে ট্রেনের তেল চুরির ঘটনা। তবে স্থানীয়রা এ জন্য স্টেশন মাস্টার মো. আলমগীর হোসেনকেই দায়ী করছেন।

তুমলিয়া (সাদ্দাম বাজার) রেল ক্রসিং এলাকায় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন জানান, ৬/৭ জনের একটি চক্র এই তেল চুরি নিয়ন্ত্রণ করছে। চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা তেলবাহী ট্রেন অজ্ঞাত কারণে আড়িখোলা রেল স্টেশনের পূর্ব ও পশ্চিম প্রান্তে থেমে যায়। এর পরপরই শুরু হয় ওই ট্রেনের তেল সরবরাহ। আর তেল চুরি করে তা মজুদ করছে দুর্বাটি মাদ্রাসা মার্কেটের আরিফ আকন্দের তেলের দোকানে। দীর্ঘদিন ধরে এই কাজ চলতে থাকলেও তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।

তিনি আরো জানান, এ কাজটি টিকিয়ে রাখতে স্থানীয় থানা পুলিশ, নেতাদের, জিআরপি পুলিশ ও স্বঘোশিত কয়েকজন সাংবাদিককেও নাকি মাসোহারা দিতে হয়।

এ ব্যাপারে আড়িখোলা রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মো. আলমগীর হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, তেল চুরির বিষয়টি আমার জানা নেই। তাছাড়া জানা থাকলেও আমার কিছু করার নেই। কারণ আমার স্টেশন প্লাটফর্মের বাইরে অনেক কিছুই ঘটতে পারে। সেটার দায়িত্ব আমি নিব কেন? এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেন। আর এগুলো নিয়ে আপনাদের মাথা ব্যাথা কেন? জিআরপি পুলিশ আছে তারা দেখবে।

কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ একেএম মিজানুল হক বলেন, আমি মাত্র সপ্তাহ খানেক হয় এ থানায় যোগদান করেছি। তবে আপনাদের কথা দিচ্ছি এই ধরণের কাজ আমার থানা এলাকায় হয়ে থাকলে তা বন্ধ করব। পাশাপাশি ওই চক্রটিকে আটক করে বিচারের আওতায় আনা হবে।

ভৈরব রেলওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ ফেরদৌস আহমেদ বিশ্বাস জানান, আমি এখানে নতুন যোগদান করেছি। নরসিংদী রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির আইসির সাথে কথা বলে ব্যবস্থা নিচ্ছি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads