কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে ২ মাদক কারবারি নিহত হয়েছেন। এসময় ইয়াবা ও অস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আজ বৃহস্পতিবার ভোররাত সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার হোয়াইক্যং সাতঘরিয়া পাড়া পাহাড়ি এলাকায় ‘বন্দুকযুদ্ধের’ এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের কাঞ্চর পাড়া এলাকার সামশুল আলমের ছেলে জিয়াবুল হক জিয়া প্রকাশ বাবুল (৩০) ও বাহারছড়া ইউনিয়নের শীলখালী এলাকার কেফায়েত উল্লাহর ছেলে আজিম উল্লাহ (৪৬)।
এ ঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপারসহ পুলিশের চার সদস্য আহত হয়েছে। আহতরা হলেন- অতিরিক্ত পুলিশ সুপার উখিয়া-সার্কেল নিহাদ আদনান তাইয়ান, উপ-পরিদর্শক সাব্বির আহমেদ, কনেস্টবল রাইসুল ইসলাম আসাদ ও শুক্কুর।
টেকনাফ মডেল থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ সত্যতা নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, গোপন সংবাদে পুলিশের একটি দল বুধবার বিকাল ৩টার দিকে টেকনাফের হ্নীলা বাজার এলাকা থেকে মাদক মামলার পলাতক আসামি জিয়াবুল হক বাবুলকে গ্রেপ্তার করে। পরে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী বৃহস্পতিবার ভোর রাতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার উখিয়া-সার্কেল নিহাদ আদনান তাইয়ান এর নেতৃত্বে টেকনাফ থানার একটি পুলিশদল টেকনাফের হোয়াইক্যং সাতঘরিয়া পাড়া পাহাড়ের পাদদেশে তাহাদের গোপন আস্তানায় অস্ত্র ও ইয়াবা উদ্ধারে যায়। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আটক ব্যক্তির দলের লোকজন পুলিশের উপর গুলিবর্ষণ করে তাকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এসময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার উখিয়া-সার্কেল নিহাদ আদনান তাইয়ানসহ চার পুলিশ সদস্য আহত হয়। পরে পুলিশও অত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়। এক পর্যায়ে ইয়াবা কারবারিরা পালিয়ে গেলে ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় বাবুল ও অপর সহযোগী আজিম উল্লাহকে উদ্ধার করে টেকনাফ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। সেখানে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ওসি প্রদীপ আরো জানান, ঘটনাস্থল থেকে ১টি সুটার গান ৫টি দেশীয় এলজি, ৩৬ রাউন্ড তাজা গুলি ও ৫ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করে পুলিশ। তাদের বিরোদ্ধে মাদক, অস্ত্রসহ একাধিক মামলা রয়েছে। লাশ দুইটি ময়নাতদরে জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর হয়েছে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে।