• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯

অপরাধ

হত্যার উদ্দেশ্যে ডেকে নেওয়া হয় আববারকে

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১৭ অক্টোবর ২০১৯

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ রাব্বীকে তার রুম থেকে ডেকে আনার নির্দেশ দেন বুয়েটের পাঁচ ছাত্রলীগ নেতা। তাকে হত্যার উদ্দেশ্যেই বিশ্ববিদ্যালয়ের শেরেবাংলা হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে ডেকে নেওয়া হয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আবরার হত্যাকাণ্ডে জড়িত নাজমুস সাদাত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে এ তথ্য জানিয়েছে।

সাদাত জানিয়েছে, মো. মেহেদী হাসান রবিন, অনিক সরকার, মনিরুজ্জামান মনির, মোজাহিদুল রহমান ও ইফতি মোশাররফ সকাল তাকে এই পরিকল্পনার কথা জানায়।  আবরারকে যখন তার রুম থেকে ডেকে ২০১১ নম্বর কক্ষে নেওয়া হয় তখন আমার সঙ্গে ছাত্রলীগের আরো কয়েকজন ছিল। আমাদের নির্যাতনের কারণেই আবরারের মৃত্যু হয়।

সাদাত বলেন, আমি আবরারকে ডেকে নিয়ে আসি। কয়েকজন বড়ভাই আমাদের ডেকে আনতে বলেন। অপর এক প্রশ্নের জবাবে সাদাত বলেন, মারধরের একপর্যায়ে আবরার পানি খেতে চায়। অন্যরা পানি না দিলেও আমি তাকে পানি দিই।

সাদাত আরো জানায়, গত ৬ অক্টোবর রাত ৮টার দিকে বুয়েট শিক্ষার্থী আবরারকে শেরেবাংলা হলের তার রুম (নম্বর ১০১১) থেকে হত্যার উদ্দেশ্যে ডেকে নিয়ে যায়। গত ৭ অক্টোবর রাত আড়াইটা পর্যন্ত ওই হলের ২০১১ ও ২০০৫ নম্বর রুমে আসামিরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে ক্রিকেট স্টাম্প ও লাঠিসোঁটা এবং রশি দিয়ে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় নির্মম নির্যাতন চালায়। এতে ঘটনাস্থলেই আবরার মারা যায়।

জানা গেছে, পরে আসামিরা ওই ভবনের দ্বিতীয় তলার সিঁড়িতে আবরারের মৃত দেহ ফেলে রাখে। কিছু ছাত্র আবরারকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তদন্তকালে সাক্ষ্য-প্রমাণে, ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ ও পারিপার্শ্বিক সাক্ষ্য-প্রমাণে আসামি নাজমুস সাদাতের প্রত্যক্ষভাবে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে।

এ ঘটনায় আদালতে দোষ স্বীকারোক্তি দেওয়া আসামিদের মধ্যে বেশ কয়েকজন আসামি নাজমুস সাদাতের নাম প্রকাশ করেছে। মামলার তদন্তকালে সাক্ষ্য-প্রমাণে, ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ ও পারিপার্শ্বিক সাক্ষ্য-প্রমাণে আসামি নাজমুস সাদাতের প্রত্যক্ষভাবে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads