টেকনাফে বহুল আলোচিত 'শালবাগান' রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন পাহাড়ে ফের পুলিশ ও ডাকাত দলের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে।
টেকনাফ থানা পুলিশ সদস্যদের সাড়াশী এই অভিযানে ডাকাত দলের কোনো সদস্য আটক না হলেও তাদের আস্তানায় গড়ে উঠা বেশ কয়েকটি ঝুপড়ি ঘর গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
জানা যায়, ১৯ অক্টোবর শনিবার ভোররাত সাড়ে ৩টা থেকে সকাল পর্যন্ত সহকারী পুলিশ সুপার নাহিদ আদনান তাহিয়ান ও টেকনাফ মডেল থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশের নেতৃত্বে একদল পুলিশ নয়াপাড়া শরণার্থী ক্যাম্প সংলগ্ন গহীন পাহাড়ী এলাকায় স্বশস্ত্র রোহিঙ্গা ডাকাত দলের অবস্থানের খবর পেয়ে একটি বিশেষ অভিযানে যায়। ডাকাত দল পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে বেশ কয়েক রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে ১৫/২০ রাউন্ড ফাল্টা গুলিবর্ষণ করে।
একপর্যায়ে স্বশস্ত্র ডাকাত দল সু-কৌশলে গহীন পাহাড়ের দিকে পালিয়ে যায়।
এরপর পুলিশ ডাকাত দলের আস্তানায় গিয়ে তাদের ব্যবহৃত ৩/৪টি ঝুপড়ি ঘর আগুনে পুড়িয়ে দেয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে নয়াপাড়া শরণার্থী ক্যাম্পে দায়িত্বরত আইসি মনিরুল ইসলাম জানান,
টেকনাফের রোহিঙ্গা শরনার্থী ক্যাম্প গুলোতে স্বশস্ত্র ডাকাত, সন্ত্রাসীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়া হবেনা। পাশাপাশি সমস্ত অপরাধীদের আইনের আওয়তাই নিয়ে আসতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি। প্রসংগত শালবাগান এলাকায় যুবলীগ নেতা উমর ফারুক হত্যাকান্ডের পর কয়েক দফা পুলিশ-সন্ত্রাসী গুলিবিনিময়ের ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে আলোচিত রোহিঙ্গা ডাকাত নুর মোহাম্মদ নিহত হয়।