• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯
ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় তাহেরকে খুন

খুন হওয়া অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র আবু তাহের

ছবি : বাংলাদেশের খবর

অপরাধ

৫মাস পর রহস্য উদঘাটন

ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় তাহেরকে খুন

  • ময়মনসিংহ ব্যুরো
  • প্রকাশিত ১৯ অক্টোবর ২০১৯

ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার হরিরামপুর সাউথকান্দা আরজি উচ্চ বিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদে একই বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র আবু তাহেরকে খুন করে বখাটে ইভটিজারা। হত্যাকণ্ডের ৫মাস পর রহস্য উদঘাটন করতে সক্ষম হয়েছেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন ময়মনসিংহ।

পিবিআই সূত্রে জানাযায় গত ৩মে সকালে ত্রিশাল থানাধীন আমিরাবাড়ী ইউনিয়নের কুর্সানগর খিরো নদীর পাড়ে আছাদুজ্জামানের বাঁশ বাগান থেকে স্কুল ছাত্র আবু তাহেরের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

এ ঘটনায় গত ৩০ জুন নিহত স্কুল ছাত্র আবু তাহেরের পিতা নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ত্রিশাল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন ।

মামলাটি প্রথমে ত্রিশাল থানা পুলিশ তদন্ত করে পরে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ মামলাটি পিবিআই ময়মনসিংকে তদন্ত করতে নির্দেশ প্রদান করেন। পরে পিবিআই এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু বকর সিদ্দিক, পিপিএম এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে পুলিশ পরিদর্শক সালাহ উদ্দিন আহমেদ মামলাটি তদন্ত করেন। গত বৃহস্প্রতিবার একই গ্রামের মোঃ শহীদুল ইসলাম এর ছেলে মোঃ ফরিদ খান (১৯) কে টঙ্গী থেকে আটক করে তদন্তকর্মকর্তার নেতৃত্বে পিবি আই টিম। আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তার সহপাঠী ও কিছু বখাটে ছেলে একজন ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করায় আবু তাহের প্রতিবাদ করে এবং মেয়েটিকে সঙ্গে নিয়ে গিয়ে ইভটিজারদের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের নিকট অভিযোগ করে।

এতে ইভটিজাররা ক্ষিপ্ত হয়ে গত ২৪জুন সন্ধায় কুর্শ্বানগর সরকারি প্রাঃ বিদ্যালয় সংলগ্ন খিরো নদীর পাড়ে ডাব খাওয়ানোর কথা বলে নিয়ে গিয়ে ৮জন বখাটে মিলে আবু তাহেরকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে। পরে জঙ্গলে বাঁশ ঝাড়ের নিচে লতা পাতা দিয়ে ঢেকে রেখে তার লাশ। জড়িত আসামী ফরিদ বিজ্ঞ আদালতে ১৬৪ ধারায় নিজেকে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে অন্যান্য সহযোগী আসামীদের নাম উল্লেখ করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন।

ইভটিজারদের হাতে নির্মমভাবে হত্যার স্বীকার স্কুল ছাত্র তাহেরের পিতা নজরুল ইসলাম কাদতে কাদতে খুনিদের সর্বোচ্চ বিচার দাবী করেন। আলোচিত এ হত্যা কান্ডের রহস্য উদঘাটন করতে পারায় উপজেলার সর্বস্তরের মানুষ মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তসহ পিবিআই ময়মনসিংহ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু বকর সিদ্দিকের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞ্যাপন করে।

পিবিআই এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু বকর সিদ্দিক এ প্রতিনিধিকে জানান, ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় আরজি স্কুলের ৮ম শ্রেনীর মেধাবী শিক্ষার্থী আবু তাহেরকে প্রান দিতে হলো। এই হত্যা কাণ্ডের দায় স্কুলের শিক্ষকরা এরাতে পারেন না। আর যেন কোন শিক্ষাথীকে এ ভাবে নির্মম হত্যা কাণ্ডের স্বীকার না হতে হয় সেজন্য আমাদের সচেতন হতে হবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads