• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯
দশমিনায় অবাধে জাটকা নিধন

দশমিনা উপজেলা সদর বাজারে ডিমওয়ালা ইলিশ ও জাটকা বিক্রি হচ্ছে

ছবি : বাংলাদেশের খবর

অপরাধ

দশমিনায় অবাধে জাটকা নিধন

  • দশমিনা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ০৩ নভেম্বর ২০১৯

পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার তেতুঁলিয়া ও বুড়াগৌরাঙ্গ নদীতে এখনও ডিমওয়ালা মা ইলিশ ও জাটকা নিধন চলছে। বিশেষ করে অবৈধ কারেন্টজালের পাশাপাশি মশারিজাল, বেড়জাল, চরঘের চাল, খুরচি জালে অবাধে নিধন করা হচ্ছে ইলিশ মাছের রেনু পোনা ও জাটকা।

এদিকে ১ নভেম্বর থেকে শুরু হয়েছে জাটকা ইলিশ রক্ষা অভিযান। ৩০জুন পর্যন্ত চলবে এ সংরক্ষণ কার্যক্রম। জেলেদের অভিযোগ অভিযানে ছোট ছোট জেলেদের ধরা হলেও প্রভাবশালীরা পার পেয়ে যাচ্ছে। প্রকাশ্যে অবাধে জাটকা নিধন হলেও তাদের বাধাঁ দেওয়ার কেউ নেই।

জেলেরা জানান, গত ৯ অক্টোম্বর থেকে ৩০ অক্টোম্বর পর্যন্ত চলে মা ইলিশ রক্ষা অভিযান। এর পরই ১ নভেম্বর থেকে আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত ৮ মাসের জাটকা সংরক্ষন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এই সময় ২৫ সেন্টিমিটারের ছোট আকারের ইলিশ মাছ ধরা আইনত নিষেধ। কিন্ত নদীতে প্রচুর ডিমওলা ইলিশ ও ঝাটকা রয়েছে। তাই ইলিশের উৎপাদন বৃদ্বিতে ঝাটকা সংরক্ষণ অভিযান শুরু হলেও তা মানছে না দশমিনার জেলেরা।

জেলেরা অভিযোগ করেন, গরীব জেলেরা ঋন নিয়ে জাল কিনে নৌকা তৈরি করে নদীতে নামে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ধরে। জাল পুরে ফেলে। জেল জরিমানাও করে। প্রভাবশালীদের চর ঘেরাজালের দিকে কেউ ফিরেও তাকায় না। প্রতিদিন কোটি কোটি টাকার পোনা মাছ ধ্বংস করে চলেছে।

জেলেদের আরো অভিযোগ, অবৈধ জাল নিয়ে নদীতে নামলে বাধাঁ দেওয়া হয়। সরকার অবৈধ জালের ফ্যাক্টরি বন্ধ করে না। ফ্যাক্টরিতে ওই অবৈধ জাল উৎপাদন বন্ধ করা না হলে জাটকা মাছ সংরক্ষন করা সম্ভব না বলেও জেলেদের বিশ্বাস।

দশমিনা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ মাহাবুবুর রহমান তালুকদার জানান, জাটকা ইলিশ ধরা বন্ধ করতে প্রচার প্রচারনাসহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করা হচ্ছে। অবরোধকালীন শতকরা ৫০ভাগ মা ইলিশ মাছে ডিম ছেড়েছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads