• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪২৯
নরসিংদীতে মেরী স্টোপস ক্লিনিক থেকে নবজাতক শিশু চুরির অভিযোগ

ফাইল ছবি

অপরাধ

নরসিংদীতে মেরী স্টোপস ক্লিনিক থেকে নবজাতক শিশু চুরির অভিযোগ

  • নরসিংদী প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১৪ নভেম্বর ২০১৯

নরসিংদীতে মেরী স্টোপস মেটারনিটি ক্লিনিক থেকে তিন দিন বয়সী এক নবজাতক শিশু চুরির অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ উঠেছে, সময়মতো ক্লিনিকের চুক্তিবদ্ধ টাকা না দেওয়ায় নবজাতক শিশুকে সরিয়ে ফেলেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ।

বুধবার রাতে শহরের বাসাইল এলাকায় মেরী স্টোপস মেটারনিটি ক্লিনিকে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে রাত ১২টার দিকে হাসপাতাল পরিদর্শন করে পুলিশ। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কর্তব্যরত চিকিৎসক জানিয়েছেন প্রসূতির বোন পরিচয় দিয়ে এক নারী নবজাতককে নিয়ে যায়।

পুলিশ ও নবজাতকের স্বজনদেও সূত্রে জানা যায়, রোববার বিকেলে প্রসব ব্যাথা নিয়ে জেলার শিবপুর উপজেলার কুমরাদি গ্রামের রাজমিস্ত্রী শাহ আলম মিয়ার স্ত্রী সখিনা বেগমকে মেরী স্টোপস মেটারনিটি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। রাতে সিজারিয়ান অপারেশনের পর একটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। রোগীর অপারেশন ওষুধসহ ১০ হাজার টাকায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে চুক্তি করেন। অপারেশন হলেও দারিদ্রতার কারণে রোগীর স্বজনরা সঠিক সময়ে বিল পরিশোধ করতে পারেনি। এ নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রোগী ও রোগীর স্বজনদের তাগাদা দিচ্ছিল। একই সাথে বেড খালি করার নির্দেশ দেন। এর মধ্যে সন্ধ্যার সময় নবজাতকের মা সখিনা বেগম খাবার খেয়ে হাত ধোয়ার জন্য বাথরুমে যায়। এসময় অন্য রোগীদের নবজাতকের মার খালাতো বোন পরিচয় দিয়ে বোরকা পরিহিত এক মহিলা নবজাতককে কোলে নিয়ে বের হয়ে যায়। বাথরুম থেকে নবজাতকের মা এসে নবজাতককে দেখতে না পেলে পাশের বেডের রোগীরা জানায় আপনার খালাত বোন বাচ্চাকে নিয়ে গেছে। এসময় মহিলার পেছনে ছুটে যায় নবজাতকের মা। ওই সময় হাসপাতালের গেট তালাবদ্ধ করে দেয়া হয়। রাতে এ খবর ছড়িয়ে পড়লে সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সৈয়দুজ্জামান সহ পুলিশের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।

নবজাতকের মা সখিনা বেগম বলেন, আমরা গরীব মানুষ হাসপাতালের ১৩ হাজার টাকা বিল পরিশোধ করতে পারছিলাম না। পরে তারা ১০ হাজার টাকা নির্ধারণ করে দেয়। এই টাকা যোগার করতে আমার বিলম্ব হচ্ছিল। এরই মধ্যে আমার কন্যা শিশুকে চুরি করে নিয়ে গেছে। আমার ধারনা বিল দিতে না পারায় ক্লিনিকের লোকজনই এ ঘটনা ঘটিয়েছে।

মেরীস্টোপস মেটারনিটি ক্লিনিক এর দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডা. ইশতিয়া জাহান বলেন, ক্লিনিকের বিলের জন্য চাপ দেয়া হলে নবজাতকের মা কৌশলে নবজাতককে সরিয়ে নিয়ে উল্টো আমাদের ফাঁসানোর চেষ্টা করছেন। নবজাতককে যে অজ্ঞাত নারী নিয়ে গেছেন সে নারী তারই আত্মীয় হিসেবে এই ক্লিনিকে এসেছেন বলে অন্যান্য রোগী ও তাদের স্বজনরাও জানিয়েছেন।

নরসিংদী সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক ইমরান হাসান বলেন, নবজাতক চুরির ঘটনায় নবজাতকের মা ও ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ পরষ্পরকে দোষারোপ করছে। সংশ্লিষ্টদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ঘটনাটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads