• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে গৃহবধূকে কুপিয়েছে পাষন্ড স্বামী

ছবি : বাংলাদেশের খবর

অপরাধ

তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে গৃহবধূকে কুপিয়েছে পাষন্ড স্বামী

  • হাতীবান্ধা (লালমনিরহাট) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২৯ ডিসেম্বর ২০১৯

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় খাটের নাট বল্টু হারিয়ে ফেলায় গৃহবধূ শরিফা বেগমকে ধারালো ছুরি দিয়ে মাথায় কুপিয়েছেন পাষন্ড স্বামী নূর হোসেন। ওই গৃহবধূ বর্তমানে হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় রোববার দুপুরে শ্বশুড়-শ্বাশুড়ি, স্বামী ও তার দেবরের নাম উল্লেখ করে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন ওই গৃহবধূ।

এর আগে শুক্রবার বিকেলে উপজেলার দক্ষিন গোতামারী গ্রামে এই ঘটনাটি ঘটেছে। আহত গৃহবধূ শরিফা বেগম উপজেলার দক্ষিণ গোতামারী গ্রামের নূর হসেনের স্ত্রী। এ ছাড়া তিনি উপজেলার উত্তর বিছনদই এলাকার আব্দুর রশিদের কন্যা।

আর অভিযুক্তরা হলেন, উপজেলার দক্ষিন গোতামারী গ্রামের আবুল হোসেন, তার স্ত্রী মহুরন নেছা, পুত্র নূর হোসেন, নুরুজ্জামান ও নুরুল হক।

জানা গেছে, ১২বছর আগে নূর হোসেনের সাথে বিয়ে হয় শরিফা বেগমের। বিয়ের সময় ৫০হাজার টাকা যৌতুক দেওয়া হয়। বিয়ের পর থেকে কারণে অকারণে নানা ভাবে নির্যাতন করা হয় শরিফা বেগমকে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৭ডিসেম্বর শুক্রবার বিকেলে খাটের নাট বল্টু হারিয়ে ফেলাকে কেন্দ্র করে গৃহবধূ শরিফা বেগমকে লাঠি দিয়ে মারধর করেন শ্বশুড়-শ্বাশুড়ি, স্বামী ও দেবররা। এ সময় ধারালো ছুরি দিয়ে মাথায় কোপ দেয় তার স্বামী নূর হোসেন। পরে স্থানীয়রা শরিফা বেগমকে উদ্ধার করে হাতীবান্ধা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান।

আজ রোববার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ব্যাথার যন্ত্রনায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বেডে শুয়ে কাতরাচ্ছেন শরিফা বেগম। এ সময় তিনি সংবাদিকদের বলেন, বিয়ের বিয়ের পর থেকে শ্বশুড়-শ্বাশুড়ি, স্বামী ও দেবররা আমাকে নানা কারণে মারধর করেন। সামান্য ভূল হলে আমাকে মারধর করা হয়। শুক্রবার বিকেলে খাটের নাট বল্টু হারিয়ে যাওয়ায় আমাকে মরধর করা হয়। এরপর আমার স্বামী হত্যার উদ্দেশ্যে আমাকে ছুরি দিয়ে কোপ দেয়। আমি আর কিছু বলতে পারি না। চোখ খুলে দেখি হাসপাতালে।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত নূর হোসেন বলেন, খাটের নাট-বল্টু হারিয়ে গেছে। সে জন্য গালমন্দ করা হয়েছে। তবে মারধর করা হয়নি। তাকে সামান্য ধাক্কা দিলে খাটে লেগে মাথা ফেটে গেছে। আমরাই তাকে হাসপাতালে ভর্তি করেছি।

হাতীবান্ধা স্বাস্থ্য কম্পেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার নাঈম হাসান নয়ন বলেন, রোগীর মাথায় ৫টি সেলাই হয়েছে । বর্তমানে সে আশংকামুক্ত।

এ বিষয়ে হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) ওমর ফারুক বলেন, লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads