• মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪২৯
প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে সরকারি পাঠ্য বই বিক্রির অভিযোগ

ছবি: বাংলাদেশের খবর

অপরাধ

প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে সরকারি পাঠ্য বই বিক্রির অভিযোগ

  • রিফাত আহমেদ রাসেল, দুর্গাপুর (নেত্রকোণা) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১৪ জানুয়ারি ২০২০

গত পয়লা জানুয়ারী সারা দেশে নতুন বই উৎসব উদযাপিত হয়েছে। সরকার বিনা মূল্য দেশের প্রতিটি শিক্ষার্থীরা হাতে তুলে দিয়েছে নতুন বই।  আর এই নতুন বই নিয়ে বিদ্যালয়েও আসতে শুরু করেছে শিক্ষার্থীরা । সবার চোখে মুখেই যেন বইছে নতুন বই পাওয়ার আনন্দ। কিন্তু এই আনন্দের রেশ কাটতে না কাটতেই নেত্রকোনার দুর্গাপুরে এক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে সরকারী বই বিক্রির।

পৌরসভার ৭ নং বিরিশিরির দক্ষিণ ভবানীপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. রফিকুল ইসলাম গতকাল সোমবার দুপুরে ২০১৭,১৮,১৯,২০ শিক্ষাবর্ষের সরকারী বই স্থানীয় এক হকারের কাছে বিক্রির সময় হাতেনাতে বই আটক করেছে এলাকাবাসীরা।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আটককৃত বইয়ের মাঝে বিদ্যালয়ে ১ম, ২য় সহ সকল শ্রেণীর বাংলা, ইংরেজি, গণিত, সমাজ, বিজ্ঞানসহ বিভিন্ন ধরণের নতুন পুরনোসহ প্রায় ১২৫ কেজি সরকারি পাঠ্যবই বই আটক করে তারা। এছাড়াও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার ১১৫ কেজি খাতা যা প্রধান শিক্ষক হকারের কাছে প্রতি কেজি বই ৮ টাকা ও খাতা ৯ টা দরে বিক্রিয় করে। বই গুলো নিয়ে হকার দোকানে যাওয়ার পথে স্থানীয়রা হকারকে আটক করে। পরে তারা জানতে পারে প্রধান শিক্ষক মো. রফিকুল ইসলামই সরকারী বই গুলো অবৈধ ভাবে বিক্রির করছে।

বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনকে জানানো হলে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের সদস্যরা ঘটনা স্থলে গিয়ে হকারের কাছ থেকে প্রাথমিক শাখার সরকারী বইগুলোকে জব্দ করে। এই সময় স্থানীয়রা সরকারী বই বিক্রির করা জন্য উত্তোজিত হয়ে পড়ে। পরে স্থানীয়দের শান্ত করে জব্দকৃত সরকারী বই ও পরীক্ষার খাতাগুলো উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে নিয়ে আসে সদস্যরা।

পৌর শহরের ৭ নং বিরিশিরি ওয়ার্ডের দক্ষিণ ভবানীপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ১৯৬৩ সালে স্থাপিত হয় । পরে ১৯৭৩ সালে বিদ্যালয়টিকে সরকারিকরণের আওতায় আনা হয়। বর্তমানে শিশু শ্রেণী থেকে ৫ম শ্রেণী পর্যন্ত প্রায় ২৫০ শিক্ষার্থী রয়েছে বিদ্যালয়টিতে। আর বিদ্যালয়ের প্রতিটি শিক্ষার্থীকে বিনা মূল্যে পাঠ্য বই বিতরণ করে সরকার। এই বই এর অবশিষ্ট কিছুসহ পুরনো শিক্ষাবর্ষের সরকারী বই সহ বিক্রি করে প্রধান শিক্ষক মো. রফিকুল ইসলাম।

তবে ওই প্রধান শিক্ষক তার বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করেবলেন, দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যালয়ের একটি কক্ষে বইগুলো পরে আছে। ফলে কক্ষ সবসময় বন্ধ করে রাখতে হয়। তাই শ্রেণী কক্ষ বৃদ্ধি আর পুরনো বইগুলোকে বিদ্যালয় থেকে সরানো জন্যই বই আর খাতা গুলো বিক্রি করেছি।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বলেন, সরকারী বই বিক্রিয় করা কোনো নিয়ম বা অনুমতি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের নেই। আর দক্ষিণ ভবানীপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক যে কাজটি করেছে তা পুরোপুরি অন্যায়। তার বিরুদ্ধে জেলার কর্মকর্তা সাথে সমন্বয় করে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads