সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে দুই ছানামুড়ি বিক্রেতার মধ্যে ২০ টাকা পাওনা নিয়ে বিরোধের জেরে নিহত কুদরত আলী কদূর দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
আজ রবিবার বিকালে নামাজে জানাযা শেষে বড়কাটা গ্রামের কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।এর আগে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে তার লাশ বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। এ সময় কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন নিহত কুদরত আলী কদুর স্বজনরা। তাকে শেষবাবের মতো দেখতে তার আত্বীয়স্বজনসহ এলাকাবাসী বাড়িতে ভিড় করেন।
এদিকে কুদরত আলী কদুর হত্যার ঘটনায় শনিবার (২৫ জানুয়ারী) রাতে দোয়ারাবাজার থানায় বাদী হয়ে এ হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহত কুদরত আলী কদুর ছেলে এনাম মিয়া।
দোয়ারাজার থানা সূত্রে জানা যায়,,দোয়ারাবাজার উপজেলার লক্ষীপুর ইউনিয়নের বড়কাটা গ্রামের মূত আবুল হোসেনের ছেলে আব্বাস মিয়া(৩০) ও তার স্ত্রী রোহেনা বেগম (২২)কে আসামী করে এ হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। এদিকে ঘটনার পরপরই তাদেরকে আটক করে ও পরে এ হত্যা মামলায় এ দুইজনকে গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে দোয়ারাবাজার থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আবুল হাশেম বলেন, আব্বাছ আলী (৩০), পিতা-আবুল হোসেন ও মোছাঃ রুহেনা বেগম (২৫), স্বামী-আব্বাছ আলী, উভয় সাং-বড়কাটা, ইউপি-লক্ষীপুর, থানা-দোয়ারাবাজার, জেলা-সুনামগঞ্জদ্বয়কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। উক্ত আসামীদ্বয় হত্যাণ্ডের বিষয়টি পুলিশের নিকট স্বীকার করিয়াছে। উল্লেখিত আসামীদ্বয়ের স্বেচ্ছায় প্রদত্ত মৌখিক জবানবন্দী গ্রহণের লক্ষ্যে বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট এর নিকট প্রেরণ করা হইয়াছে।
প্রসঙ্গত, সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার লক্ষীপুর ইউনিয়নের বড়কাটা গ্রামের মূত আবুল হোসেনের ছেলে আব্বাস মিয়া একই গ্রামের কদবুত আলীর নিকট ২০ টাকা পাওনা নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়।মাত্র ২০ টাকা নিয়ে এই বিরোধ মুহূর্তের মধ্যেই হাতাহাতিতে রুপ নেয়।হাতাহাতির এক পর্যায়ে কদবুত আলী ঘটনাস্হলেই নিহত হন। শনিবার সকালে উপজেলার লক্ষীপুর ইউনিয়নের বড়কাটা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।