• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯
আপন জুয়েলার্সের বিরুদ্ধে ১৯০ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ

ফাইল ছবি

অপরাধ

আপন জুয়েলার্সের বিরুদ্ধে ১৯০ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০

স্বর্ণ ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান আপন জুয়েলার্সের বিরুদ্ধে প্রায় ১৯০ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ উঠেছে। আটক করা প্রায় সাড়ে তেরো মণ স্বর্ণ ও বিপুল পরিমাণ ডায়মন্ড অবৈধভাবে আমদানিতে প্রতিষ্ঠানটি কর ফাঁকি দিয়েছে আরো ২৮ কোটি টাকা। শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের বিশদ অনুসন্ধানে এসব তথ্য উঠে এসেছে। আপন জুয়েলার্সের বিরুদ্ধে করা পাঁচ মামলায় অভিযোগপত্র দেওয়ার স্বার্থে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড চেয়ারম্যানকে বিস্তারিত জানানো হয়েছে। তদন্তে আপন জুয়েলার্সের মালিক, তার তিন ভাই আজাদ আহমেদ, গুলজার আহমেদ ও দিলদার আহমেদকে অভিযুক্ত করা হয়।

বনানীর রেইনট্রি হোটেলে ছাত্রী ধর্ষণের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৭ সালের মে মাসে আপন জুয়েলার্সের পাঁচটি শাখায় অভিযান চালায় কাস্টমস গোয়েন্দা। জব্দ করা হয় প্রায় সাড়ে তেরো মণ স্বর্ণালংকার ও পৌনে আট হাজার পিস ডায়মন্ড অলংকার। এসব ঘটনায় চার থানায় মামলা হয় পাঁচটি। সাড়ে তিন বছর পর এসব মামলার অভিযোগপত্র দিচ্ছে কাস্টমস গোয়েন্দা। এ জন্য চাওয়া হয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের অনুমোদন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এসব অলংকারের শুল্কায়নযোগ্য মূল্য প্রায় ১৯১ কোটি টাকা। এর বিপরীতে পরিশোধযোগ্য শুল্ককর প্রায় ২৮ কোটি টাকা। তদন্তে গোয়েন্দাদের এসব

অলংকারের বিপরীতে বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেনি আপন জুয়েলার্স কর্তৃপক্ষ। অর্থপাচার করে চোরাচালানের মাধ্যমে এসব অলংকার আনা হয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে শুল্ক গোয়েন্দারা। আর এনবিআরের দেওয়া আয়কর নথিতে তথ্য গোপন করে দেওয়া হয়েছে কর ফাঁকি। তবে এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি এনবিআর কর্মকর্তারা।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads