গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে নামাজ আদায় করা নিয়ে দুই গ্রুপের সংর্ঘষে এক যুবক নিহত হয়েছে। আজ সোমবার সকালে মুকসুদপুর উপজেলার পশ্চিম বাহাড়া গ্রামে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
নিহত যুবকের নাম জন সুজন শেখ (২২)। এ ঘটনায় নিহত যুবকের বাবাসহ দুইজন আহত হয়েছে। তাদেরকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছ।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানিয়েছেন, পশ্চিম বাহাড়া গ্রামে মুন্সী ও মাতুব্বর বংশের মধ্যে আগে থেকেই এলাকার আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ ছিল। গতকাল রোববার ঈশার নামাজের সময় সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে নামাজ আদায় করাকে কেন্দ্র করে মজিবর শেখ ও মতি মাতুব্বরের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।
এরই জেল ধরে আজ সোমবার সকাল ৭টায় দুই বংশের লোকজন দেশীয় অস্ত্র শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সংর্ঘষে লিপ্ত হয়। এসময় মুন্সি বংশের সমর্থক ও মজিবর শেখের ছেলে সুজন শেখ পতিপক্ষের আঘাতে ঘটনাস্থলেই নিহত হয়।
সহকারী পুলিশ সুপার (কাশিয়ানী-মুকসুদপুর সার্কেল) মো. আনোয়ার হোসেন ভূঞা জানিয়েছেন, বর্তমানে পরিস্থিতি তাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনায় সবর সরদার নামে একজনকে পুলিশ আটক করেছে। লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হযেছে। দোষীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে। মামলার প্রস্ততি চলছে বলে জানান তিনি।
অপরদিকে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার বনগ্রামে জুয়ার আসর ভেঙ্গে দেয়াকে কেন্দ্র করে দু’দল গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে আজর ফকির (৫০) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।
এ সময় ১০ পুলিশসহ অন্ততঃ ২৫ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে গোপালগঞ্জ সদর থানার ওসি মো. মনিরুল ইসলাম ও বৌলতলী পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক সালাহউদ্দিন আহমেদ রয়েছেন। পরে পুলিশ শর্টগানের গুলি ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সোমবার সকাল ১০ টায় মাইকে ঘোষণা দিয়ে দুই ঘন্টা ধরে এ সংর্ঘষ চলে। সংঘর্ষে নিহত আজর ফকির ওই গ্রামের পশ্চিম পাড়ার মৃত হামেদ ফকিরের ছেলে।