• বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪২৯
মধুপুরে দাদা-নাতী মিলে কিশোরীকে ধর্ষণ, থানায় মামলা

প্রতীকী ছবি

অপরাধ

মধুপুরে দাদা-নাতী মিলে কিশোরীকে ধর্ষণ, থানায় মামলা

  • মো. ইউনুস আলী, ধনবাড়ী (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ০৩ জুন ২০২০

টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার পাহাড়ী এলাকার কালিয়াকুড়ি গ্রামে এক কিশোরীকে অপহরণের পর দাদা-নাতী মিলে রাতভর ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে ওই কিশোরীর বাবা বাদি হয়ে মধুপুর থানায় মামলা দায়ের করলেও একটি মহল ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। 

মধুপুর থানা পুলিশ ও মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, উপজেলার ফুলবাগচালা ইউনিয়নের কালিয়াকুড়ি গ্রামের নাতী চান মিয়া (১৪) ও দাদা কবির হোসেন ওরফে কবজ (৫০) পাশের হাগুড়াকুড়ি উত্তরপাড়া গ্রামের এক কিশোরীকে গত ৩০ মে (শনিবার) দুপুরে বাড়ির পাশ থেকে অপহরণ করে নিজেদের বাড়িতে নিয়ে আটকে রাখে এবং দাদা-নাতী মিলে রাতভর ধর্ষণ করে। পরদিন রোববার (৩১ মে) ওই কিশোরীকে তার বাড়ির পাশে অজ্ঞান অবস্থায় ফেলে রেখে চলে যায়।

ওই কিশোরীর বাবা ও মা জানান, তারা খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে খবর পেয়ে সন্ধ্যায় কবির হোসেন ওরফে কবজের বাড়িতে গিয়ে মেয়েকে ফেরত চাইলে তাদের কাছে নেই বলে জানায়। পরদিন ওই কিশোরী অসুস্থাবস্থায় বাড়িতে গিয়ে পুরো ঘটনা তার মাকে খুলে বলে। কিশোরীর অসহায় বাবা স্থানীয় মাতব্বর ও ইউপি সদস্যকে ঘটনা জানায়। পরে কিশোরীর বাবা বাদি হয়ে মধুপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা  দায়ের করেন।

তারা আরো জানায়, ফুলবাগচালা ইউনিয়ন জাতীয়তাবাদী যুব দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. ফরিদ মিয়ার নেতৃত্বে ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে স্থানীয় একটি মহল নানাভাবে অপতৎপরতা শুরু করেছে। তারই অংশ হিসাবে গতকাল বুধবার সকালে সালিশি বৈঠক বসায়। বৈঠকে মাতব্বরদের মধ্যে বাকবিতন্ডা ও দরকষাকষির এক পর্যায়ে যুব দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. ফরিদ মিয়া ওই কিশোরীর বাবাকে বাড়ি বিক্রি করে অন্যত্র চলে যেতে হুমকি দেন। কিশোরীর বাবাকে হুমকি দেয়ায় স্থানীয় মাতব্বররা সালিশ অমিমাংসিত অবস্থায় ভেঙ্গে দেন।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. নওশের আলী জানান, কিশোরীকে ধর্ষণের বিষয়টি এখন ওপেনসিক্রেট। ধর্ষকের ভাই বিএনপি নেতা মো. ফরিদ মিয়া প্রভাবশালী হওয়ায় তারা বিষয়টিকে ধামাচাপা দেওয়ার পায়তারা করছে। থানায় মামলা হলেও আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে।

অভিযুক্ত ধর্ষক কবির হোসেন ওরফে কবজ (দাদা) জানান, নাতীর সাথে ওই কিশোরীর কী হয়েছে তা তিনি জনেন না।

এ ব্যাপারে মধুপুর থানার ওসি তারিক কামাল জানান, এ ঘটানয় থানায় মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত হচ্ছে। আসামি গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads