• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪২৮
'লিবিয়ায় বাংলাদেশি অপহরণ চক্রের' দুই সদস্য গ্রেপ্তার 

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

অপরাধ

'লিবিয়ায় বাংলাদেশি অপহরণ চক্রের' দুই সদস্য গ্রেপ্তার 

  • সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ০৩ জুন ২০২০

লিবিয়ায় বাংলাদেশি অপহরণ চক্রের দুই সদস্যকে আটক করেছে সিরাজগঞ্জ র‌্যাব-১২ একটি দল। মঙ্গলবার বরগুনা জেলার পাথরঘাটা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়। আটককৃতরা হলেন পাথরঘাটা থানার খাসতবক গ্রামের জাহাঙ্গীর হোসেনের ছেলে সজল হোসনে (২৩) ও একই থানার নাচনাপাড়া গ্রামের ইউসুফ গোড়ামীর ছেলে ইদ্রিস আলী। 

সিরাজগঞ্জ র‌্যাব-১২ অধিনায়ক লে.কর্নেল মোহাম্মদ খায়রুল ইসলাম পিএসসি বুধবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে জানান, লিবিয়ায় ২৬ বাংলাদেশীকে গুলি করে হত্যার ঘটনা দেশে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হওয়ায় র‌্যাব-১২ গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি বাড়ায়। র‌্যাব জানতে পারে বাগেরহাট সদর উপজেলার চুলকাঠি গ্রামের আনোয়ার গাজীর ছেলে লিবিয়া প্রবাসী মুরশিদ গাজী (২৭) ও বগুড়ার চারমাথার আফসার আলীর ছেলে সাইফুল আলীকে (২৭) কয়েকজন বাংলাদেশি ও লিবিয়ান মানবপাচার চক্রের সদস্যরা অপহরণ করেছে। অপহরণের পর লিবিয়ায় অবস্থানরত বাংলাদেশি চক্রের মূল হোতা সোহেল (২৮) ছদ্মনামের ফেসবুক আইডি ব্যবহার করে মুরশিদ গাজীর বড় ভাই বেলাল গাজীকে অপহৃতদের নির্যাতনের একটি ভিডিও পাঠায় এবং ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবী করে। মুক্তিপণ না দিলে মেরে ফেলার হুমকি দেয়া হয়।

তিনি বলেন, মুক্তিপণ আদায়ের জন্য সোহেল তার ছোট ভাই পাথরঘাটা গ্রামের সজল ও নগদের এজেন্ট ইদ্রিস আলীর মোবাইল নম্বর দেন। আর এই দুইজন অপহৃতদের মারধর ও নির্যাতনের ভিডিও দেখায় মুরশিদ গাজীর স্বজনদের। পরে মুরশিদ গাজীর বড় ভাই বেলাল গাজী অপহরন চক্রের সদস্য সজলের সাথে কথা বলে ইদ্রিস আলীর নগদ হিসাব নম্বরে মুক্তিপণের ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা প্রদান করে। একইভাবে সজল ও ইদ্রিসের একাধিক সিম নম্বর ও মোবাইল সেট ব্যবহার করে বগুড়ার চারমাথার আফসার আলীর ছেলে সাইফুল আলীর পরিবারের কাছ থেকেও ৫ লাখ টাকা দাবী করে এবং মুক্তিপণ না দিলে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে তাদের কাছ থেকেও ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা আদায় করেন। এ অবস্থায় র‌্যাব-১২ চৌকস একটি দল ভিডিও, ফেসবুক লিংক মোবাইল নম্বর ও নগদ হিসাবের সুত্র ওই চক্রকে গ্রেপ্তারে মাঠে নামে। এরই ধারাবাহিকতা ২ জুন রাতে বরগুনা জেলার পাথরঘাটায় অভিযান চালিয়ে চক্রের দুই সদস্য সজল ও ইদ্রিস আলীকে আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে বিকাল ও নগদে টাকা পাঠানোর ২৫টি রেজিস্টার খাতাসহ ২৯টি সিমকার্ড উদ্ধার করা হয়।

তিনি আরো জানান, নির্যাতনের ধারণ করা ভিডিওতে অপহৃত মুরশিদ গাজী ও সাইফুল আলী জীবিত আছে মর্মে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে বাকীদের অবস্থান এখনো জানা যায়নি। অন্যান্য অপহতদেও অবস্থান জানা, অপহরণচক্রের বাকী সদস্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে বলেও তিনি জানান। 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads