• মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪২৯
দাগনভূঞায় পালক মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে পিতা গ্রেপ্তার, কিশোরী ৪ মাসের অন্তঃসত্ত্বা

র‍্যাবের হাতে আটক মো. বাচ্চু

প্রতিনিধির পাঠানো

অপরাধ

দাগনভূঞায় পালক মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে পিতা গ্রেপ্তার, কিশোরী ৪ মাসের অন্তঃসত্ত্বা

  • দাগনভূঞা (ফেনী) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ০২ জুলাই ২০২০

ফেনীর দাগনভূঞায় পালক মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবা মাহমুদুল হক বাচ্চুকে (৫০) আটক করেছে র‌্যাব। বৃহস্পতিবার ভোরে দাগনভূঞার উত্তর গজারিয়া এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।

পালক বাবার লালসার শিকার ১৪ বছর বয়সী কিশোরীটি বর্তমানে ৪ মাসের অন্তঃসত্ত্বা।

স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, মাহমুদুল হক বাচ্চু বিয়ের কয়েক বছর পরও নিজের কোনো সন্তান না হওয়ায় স্ত্রীর অনুরোধে ৯ বছর আগে ৫ বছর বয়সে মেয়েটিকে দত্তক নেন। এরপর মায়া মমতা দিয়ে নিজের সন্তানের মত শিশুটিকে পালন পালন করতে থাকে তারা।ধীরে ধীরে শিশু থেকে কৈশর ও যৌবনে পা রাখে মেয়েটি। তার পরই মেয়েটির জীবনে নেমে আসে অমানিশার অন্ধকার।এতদিন যাকে সে বাবা হিসাবে জানতো সে লোকটিই রাতে আধাঁরে দিনের পর দিন তার উপর জোর পূর্বক চালাতো পাষবিক নির্যাতন । লাজ লজ্জার ভয়ে অসহায় মেয়েটি পাষন্ড পালক পিতার অমানবিক নির্যাতনের কথা কাউকে কিছু বলতে না পেরে এক পর্যায়ে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। জুন মাসের প্রথম দিকে মেয়েটির শারিরিক পরিবর্তন লক্ষ্য করেন মেয়েটির পালক মা ও খালা।এরপর তারা গত ২৩ জুন মেয়েটিকে গোপনে দাগনভূঞা উপজেলার ইউনিক হাসপাতালে নিয়ে আল্ট্রাসনোগ্রাফি পরীক্ষা করালে কিশোরী মেয়েটি ৪ মাসের অন্তঃসত্ত্বা বলে জানতে পারেন তারা।

হাসপাতাল থেকে ফিরে এসে এ নিয়ে  বাকবিতান্ডা করে বাপের বাড়ী চলে যায় বাচ্চুর স্ত্রী খোতেজা।বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের অবহিত করেন এলাকাবাসী।

খবর পেয়ে বুধবার সন্ধ্যার সময় ঘটনাস্থলে গিয়ে হাজির হন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদ রায়হান।সেখানে গিয়ে তিনি বাচ্চুর স্ত্রী ও মেয়েটিকে সামনে হাজির করে বিষয়টির সত্যতা জানতে পারেন।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদ রায়হান এলাকাবাসীর বরাত দিয়ে জানান,নিঃসন্তান দম্পতি হওয়ায় পাঁচ বছর বয়সী একটি কন্যা সন্তান দত্তক নেয়।বর্তমানে মেয়েটির বয়স ১৪ বছর।বিভিন্ন সময় মেয়েটির সাথে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তুলে অভিযুক্ত বাচ্চু ।বর্তমানে মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা।বিষয়টি জানাজানি হলে এ বিষয়ে গতকাল বুধবার রাতে এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পরে বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করি।

র‌্যাব-৭ ফেনী ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত কোম্পানী অধিনায়ক সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. নুরুজ্জামান পালক বাবাকে আটকের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বৃহস্পতিবার তাকে দাগনভূঞা থানায় হস্তান্তর করা হবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads