• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪২৯
এমসি কলেজে ধর্ষণের ঘটনায় আরও এক আসামি গ্রেপ্তার

সংগৃহীত ছবি

অপরাধ

এমসি কলেজে ধর্ষণের ঘটনায় আরও এক আসামি গ্রেপ্তার

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০

সিলেটে এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে গণধর্ষণ মামলার আরেক আসামি মাহফুজুর রহমান মাসুমকে (২৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ নিয়ে এ মামলায় প্রধান আসামি সাইফুরসহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হল।

গতকাল সোমবার রাত ১১টার দিকে সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার হরিপুর থেকে মাহফুজুরকে গ্রেপ্তার করা হয়। সিলেট জেলা পুলিশের সহকারি মিডিয়া কর্মকর্তা সাইফুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মাহফুজুর এমসি কলেজের অনার্স ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ও কানাইঘাটের দক্ষিণ বাণীগ্রাম ইউপির লামা দলইকান্দি গ্রামের বাসিন্দা সালিক আহমদ ছেলে।

জানা যায়, ছাত্রাবাসে গণধর্ষণের পর থেকে পলাতক ছিল মাহফুজুর রহমান। তাকে গ্রেপ্তার করতে কানাইঘাট থানার ওসি শামসুদ্দোহা পিপিএম এর নেতৃত্বে পুলিশের একাধিক টিম অভিযান চালানো হয়। পাশাপাশি কানাইঘাটের সীমান্ত এলাকায় নজরদারি বাড়ানো হয়। পরে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় মামলার ৬নং আসামি মাহফুজুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়।

শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ২০ বছরের এক তরুণী তার স্বামীকে নিয়ে সিলেটের এমসি কলেজের ক্যাম্পাসে ঘুরতে যান। রাত সাড়ে ৮টার দিকে কয়েকজন বখাটে তরুণী ও তার স্বামীকে জোরপূর্বক কলেজ ছাত্রাবাসে তোলে নিয়ে যায়। পরে স্বামীকে গাড়িতে আটকে রেখে ৫/৬ জন মিলে ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে। রাত ১০টার দিকে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাদেরকে উদ্ধার করে। পরে গুরুত্বর আহত অবস্থায় ওই তরুণীকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসি সেন্টারে ভর্তি করা হয়।

এ ঘটনায় শনিবার সকালে ধর্ষণের শিকার নারীর স্বামী বাদী হয়ে শাহপরান থানায় মামলা করেন। মামলা ছাত্রলীগের ছয় নেতাকর্মীসহ অজ্ঞাত আরও তিনজনকে আসামি করা হয়।

মামলায় অভিযুক্তরা হলেন, এমসি কলেজ ছাত্রলীগ কর্মী সাইফুর রহমান, কলেজের ইংরেজি বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, মাহফুজুর রহমান মাছুম, অর্জুন লস্কর ও বহিরাগত ছাত্রলীগ কর্মী রবিউল এবং তারেক আহমদ। এছাড়া অজ্ঞাতনামা তিনজনকেও আসামি করা হয়।

এ মামলার প্রধান আসামি সাইফুর রহমান, অর্জুন লস্কর ও রবিউল ইসলামকে ৫ দিনের করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

এর আগে রোববার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে সাইফুরকে সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক উপজেলা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। অপরদিকে পৃথক এক অভিযানে হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার মনতলা থেকে অর্জুন লস্করকেও গ্রেপ্তার করা হয়। একইদিন রাতে হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ থেকে শাহ মো. মাহবুবুর রহমান রনিকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব আর নবীগঞ্জ থেকে রবিউল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

রোববার দিবাগত রাত ১ টার দিকে গণধর্ষণের ঘটনায় রাজন নামের ছাত্রলীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব-৯। এসময় রাজনকে সহযোগিতায় করায় আইনুদ্দিন নামের আরেক ব্যক্তিকেও আটক করা হয়। এ দুজনকেও আলোচিত এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads