• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪২৮
আশুগঞ্জে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেষ্টা মামলা

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

অপরাধ

শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শিক্ষিকাকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে মামলা

  • ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১৭ নভেম্বর ২০২০

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আবুল হোসেনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেছেন উপজেলার এক স্কুল শিক্ষিকা। রোববার আদালতে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) আদেশ দিয়েছেন আদালত। বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে উপজেলাজুড়ে। ভূক্তভোগী ওই নারী ন্যায় বিচারের দাবি জানিয়েছেন। সর্বোচ্চ সতর্কতা ও তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার করে সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করার জন্য ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানালেন পিবিআই।

মামলার এজাহার ও ভূক্তভোগী ওই নারীর সাথে কথা বলে জানা যায়, ওই নারী হাজী আব্দুল কুদ্দুস স্কুল এন্ড কলেজের ভোকেশনাল শাখার সহকারি শিক্ষক। ২০১৭ সালে ওই নারীর স্কুলের একটি অনুষ্ঠানে আবুল হোসেনের কুদৃষ্টি পড়ে। এরপর থেকে বিভিন্ন সময়ে ওই নারীকে উপস্থাপিকা হিসেবে দায়িত্ব দেন। এই ধারাবাহিকতায় আবুল হোসেন ওই নারীর কাছাকাছি মেশার চেষ্টা করেন। এবং বিভিন্ন সময়ে আবুল হোসেন বিভিন্ন কুপ্রস্তাব দিয়ে ওই নারীকে উত্যক্ত করে আসছিল। এরই ধারাবাহিকতায় চলতি বছরের ৮ মে বিকালে ওই নারীকে আবুল হোসেন ফোন করে তার মেয়ের জন্মদিনের অনুষ্ঠানের কথা বলে দাওয়াত দেন। দাওয়াত পেয়ে ওই নারী সন্ধ্যা ৭টার দিকে আবুল হোসেনের বাসায় যান। এ সময় বাসায় গিয়ে কাউকে দেখতে না পেয়ে ওই নারী হতবিহ্বল হয়ে পড়েন। বাসায় কেউ না থাকার সুযোগে আবুল হোসেন ওই নারীকে একলা পেয়ে পেছন থেকে ঝাপটে ধরে। এ সময় ওই নারী বাচাঁর জন্য চেষ্টা করলে আবুল হোসেন তার মুখ চেপে ধরেন। পরে ওই নারী বিভিন্ন আকুতি মিনতি করে তার হাত থেকে নিজেকে কোনরকমে রক্ষা করে বাসায় চলে আসে। এসব বিষয়ে ওই নারী স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজু, জেলা শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও নিয়াজ মুহাম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাহেদুল ইনলামকে জানালে তারা তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে চুপ থাকার পরামর্শ দেন। নিরুপায় হয়ে ওই নারী বিভিন্ন স্থানে জানালেও কোন সমাধান না পাওয়ার কারনে তিনি মামলা দায়ের করেছেন।

এই বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আবুল হোসেনের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেন নি।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসাইন বলেন, মামলাটি পেলে সর্বোচ্চ সতর্কতা ও তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার করে সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করার জন্য ব্যবস্থা নেব। ভূক্তভোগী যেন ন্যায় বিচার পান সেজন্য আমরা তথ্য প্রযুক্তিনির্ভর তদন্ত করব।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads