রহিমা (ছব্দ নাম) মানসিক ভারসাম্যহীন তরুণী। গায়ের রং কালো। এরমধ্যে আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা তিনি। ধারণা করা হচ্ছে- রাতের আঁধারে কোনো লম্পটের যৌন লালসার শিকার হয়েছেন ওই তরুণী। ফলে তার শারীরিক গঠনে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার বিষয়টি ফুটে উঠেছে।
কলমাকান্দার খারনৈ ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী গোবিন্দপুর খেলার মাঠ এলাকায় প্রায় তিন মাস ধরে মানসিক ভারসাম্যহীন পরিচয়হীন এক তরুণীকে ঘোরাঘুরি করতে দেখা গেছে। বর্তমানে ওই তরুণীর আশ্রয়স্থল গোবিন্দপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের বারিন্দা। তাছাড়া আশপাশের লোকজনের কাছ থেকে চেয়ে খাবারসামগ্রী এনে সে নিজেই রান্না করে খান বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী ।
স্থানীয়রা বলেন, তরুণীর এ অবস্থার জন্য দায়ী কে? যারা মানসিক ভারসাম্যহীন ওই তরুণীর সঙ্গে এ অমানবিক কাজ করেছে- তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানান। গোবিন্দপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক টিউলিপ ম্রং বলেন, বিষয়টি আমি স্থানীয় চেয়ারম্যানকে জানিয়েছি।
খারনৈ ইউপির চেয়ারম্যান ওবায়দুল হক বলেন, এ বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরে জানিয়েছি।
ওই ইউনিয়নের স্বাস্থ্য কর্মী চামেলি চাম্বু গং বলেন, বিষয়টি আমাকে জানানোর পর আমি নিয়মিত চেকআপ করে ওই তরুণীর স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি। স্বাস্থ্যসেবার সময় আমি তার মাথায় একটি আঘাতের চিহ্ন দেখতে পেয়েছি। অন্তঃসত্ত্বার বিষয়ে ধারণা করে তিনি বলেন, ওই তরুণীর গর্ভে সন্তান প্রায় ৮ মাস পেরিয়ে ৯ মাসে পড়েছে।
উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা রেজাউল করিম জানান, স্থানীয় চেয়ারম্যানের মাধ্যমের খবর পেয়ে ওই অন্তঃসত্ত্বা তরুণীর খোঁজ নিতে মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ও উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানসহ ছুটে যাই। আমরা তাকে কলমাকান্দা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসার চেষ্টা করি। কিন্তু ওই তরুণী অনীহা প্রকাশ করে। পরে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবার কিছু ওষুধ ও ফলসহ শুকনো খাবার দিয়ে আসি।
