• মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪২৯

অপরাধ

বাসে ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টা : কারাগারে চালক

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ০৭ জানুয়ারি ২০২১

সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে যাত্রীবাহী বাসে কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টার মামলায় মূল আসামি গ্রেপ্তারকৃত বাস চালক শহীদ মিয়া (২৬)-কে তিন দিনের রিমান্ড শেষে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে শহীদ মিয়াকে দিরাই জোনের বিচারক জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. রাগীব নূরের আদালতে হাজির করলে তাকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হয়।  

বিষয়টি নিশ্চিত করে সুনামগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মো. আশেক সুজা মামুন জানান, ‘বাস চালক শহীদ মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। এরপর আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।’

শহীদ মিয়া সিলেটের জালালবাদ থানার মোগলগাঁও ইউনিয়নের মোল্লারগাঁও গ্রামের তৌফিক মিয়ার ছেলে। গত শনিবার (২ জানুয়ারি) ভোরে সিআইডি পুলিশ সুনামগঞ্জের পুরাতন বাসস্টেশন থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। পরদিন রোববার সিআইডির হেডকোয়ার্টারে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রাতে শহীদ মিয়াকে দিরাই থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। 
 
ওই ঘটনায় এর আগে গত ২৭ ডিসেম্বর গভীর রাতে হেলপার রশিদ আহমদকে ছাতকের বুরাইরগাঁও থেকে গ্রেপ্তার করে সিলেটের পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। হেলপার রশিদও ২৯ ডিসেম্বর আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জাবনবন্দী দিয়েছেন। 

প্রসঙ্গত, গত ২৬ ডিসেম্বর বিকেলে সিলেটের লামাকাজী থেকে দিরাইয়ে যাচ্ছিলেন ওই কলেজ ছাত্রী। দিরাই পৌরসভার সুজানগর গ্রামের পাশে এসে যাত্রীবাহী বাসে একা হয়ে যান ওই ছাত্রী। অন্য যাত্রীরা নেমে যায়। এ সময় চালক ও হেলপার কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। সম্ভ্রম বাঁচাতে ওই ছাত্রী চলন্ত বাস থেকেই লাফিয়ে পড়েন। পরে স্থানীয়রা তাকে সড়কের পাশ থেকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে দিরাই হাসপাতালে নেয়। মাথায় গুরুতর আঘাত পাওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। খবর পেয়ে নির্যাতিতার স্বজনসহ স্থানীয়রা রাতে দিরাই থানার সামনে বিক্ষোভ করে। খবর পেয়ে পুলিশ বাসটি জব্দ করে। 

এ ঘটনায় ওই দিন রাতেই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে বাসের চালক শহীদ মিয়া ও হেলপার রশিদ আহমদসহ তিনজনকে আসামি করে দিরাই থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেন। ওই ছাত্রী সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে ২২ ধারায় আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। আদালত তাকে বাবা-মার কাছে দিয়েছেন। বর্তমানে নিজ বাড়িতে বিশ্রামে আছেন ওই তরুণী। 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads