• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯

অপরাধ

চোরাই গাড়ি দিয়েই চুরি-ছিনতাই

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১১ জানুয়ারি ২০২১

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিচয় দিয়ে চুরি-ছিনতাই শেষে ব্যবহার করা যানবাহন নির্জন স্থানে ফেলে দেওয়া হতো। আর সেই গাড়িটি আবারো ওই কাজে ব্যবহার করা হতো।

রাজধানীর মিরপুর মডেল থানার গাড়ি চুরির একটি মামলা তদন্ত করতে গিয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের লালবাগ বিভাগের অপরাধ ও গাড়ি চুরি প্রতিরোধ টিম চক্রের চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করে।

গত শনিবার গাজীপুরে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা থেকে গাড়িচোর চক্রের চার সদস্যকে গ্রেপ্তারের পর এমন তথ্য জানান ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) এ কে এম হাফিজ আক্তার।

গতকাল রোববার সকালে রাজধানীর মিন্টো রোডে গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান হাফিজ আক্তার।

গ্রেপ্তাররা হলো-সিদ্দিকুর রহমান, নুরু মিয়া, হেমায়েত হোসেন ওরফে হিমু, আবুল বাশার। এ সময় উদ্ধার করা হয় একটি প্রাইভেটকার, একটি মোটরসাইকেল, একটি তালা কাটার কার্টার, একটি লাগেজ, ১৯টি কাটা তালা, ৬টি অ্যান্ড্রয়েড ডেমো মোবাইল ফোন, বেশকিছু সিমকার্ড ও চারটি জাতীয় পরিচয়পত্র।

সংবাদ সম্মেলনে হাফিজ আক্তার বলেন, ‘এই চক্রটি বিভিন্ন সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয় দিয়ে দেশের বিভিন্ন জায়গায় চুরি-ছিনতাই করে আসছিল। চক্রটি ডিবি পুলিশের পরিচয় দিয়ে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিশেষ করে রাতে বিভিন্ন দোকানপাটে চুরি-ছিনতাই করত। রাস্তার পাশে বিভিন্ন দোকানে বিশেষ করে মোবাইল দোকানগুলোতে চুরি করে আসছিল তারা। কোনো দোকানে চুরি করলে সবকিছু নিয়ে নিত, কোনটা আসল আর কোনটা নকল তা দেখার সুযোগ থাকত না।’

তিনি বলেন, ‘চুরি-ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে তারা যেখানেই যেত সেখানেই মাইক্রোবাস ব্যবহার করত। সঙ্গে অস্ত্রও রাখত লোকজনকে ভয়ভীতি দেখানোর জন্য। যদিও গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলছেন, উদ্ধার করা অস্ত্রটি খেলনা।’

গোয়েন্দা পুলিশ বিভিন্ন তথ্যের ভিত্তিতে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালায়। গ্রেপ্তারদের জিজ্ঞাসাবাদে আরো তথ্য জানা সম্ভব হবে বলে জানান অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) এ কে এম হাফিজ আক্তার।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads