• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪২৮

অপরাধ

জঙ্গিবাদে ভিড়ছে মেধাবীরা

  • ইমরান আলী
  • প্রকাশিত ২৪ জানুয়ারি ২০২১

জঙ্গিবাদে জড়ানো যুবক-তরুণদের অধিকাংশই মেধাবী শিক্ষার্থী। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু করে বেসরকারি নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তারা। কিন্তু নানাভাবে মগজধোলাইয়ের শিকার হয়ে তারা জড়িয়ে পড়ছে জঙ্গিবাদে। গুলশানের হলি আর্টিজানে ভয়াবহ হামলা থেকে শুরু করে পরবর্তীতে গ্রেপ্তার ও আত্মসমর্পণ করা জঙ্গিদের অধিকাংশই মেধাবী শিক্ষার্থী।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা বলছেন, মগজধোলাইয়ের শিকার হয়ে এসব শিক্ষার্থী তাদের মেধা জঙ্গিবাদের মতো ভয়ংকর কাজে ব্যবহার করছে। দেশে বর্তমানে জঙ্গিদের অবস্থান না থাকলেও যেসব শিক্ষার্থী জঙ্গিবাদে যুক্ত হয়ে আত্মগোপনে রয়েছে তাদের ফিরে আসার ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আহ্বান জানিয়েছে।

কর্মকর্তারা বলছেন, সবার ওপর গোয়েন্দা নজরদারি রয়েছে। ফিরে আসলে ভালো, না আসলে গ্রেপ্তারের মুখোমুখি হতেই হবে। এদিকে পুলিশের পক্ষ থেকে এসব তরুণদের সঠিকপথে ফিরে আসার আহ্বান জানানো হয়। ফিরে আসলে পুনর্বাসনের ব্যবস্থারও ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। আর ফিরে না আসলে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন খোদ পুলিশ প্রধান ড. বেনজির আহমেদ।

র্যাব-পুলিশের দেওয়া তথ্যে জানা যায়, গত শুক্রবার রাজধানীর রূপনগর হতে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের পাঁচ সক্রিয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো মো. হাসিবুর রহমান ওরফে সোহেল (২৭), মো. মোশারফ হোসেন ওরফে আতিক (১৯), রামিম হোসেন ওরফে পনির হোসেন ওরফে নাহিদুর রহমান (২২), মো. সজিব মিয়া ওরফে খিজির (২০), চঞ্চল হোসেন ওরফে আব্দুল্লাহ (১৯)। তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন ধরনের ১২টি উগ্রবাদী বই, ২৩টি লিফলেট, ১৩৫টি স্ক্রিনশর্টসহ ৬টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। র্যাব-৪ এর উপ-অধিনায়ক কামরুল ইসলাম বলেন, গ্রেপ্তার পাঁচজনের মধ্যে হাসিবুর রহমান ওরফে সোহেল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, আনসার আল ইসলামের সদস্যদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করা ছিল তার কাজ। শামীম হোসেন ওরফে পনির হোসেন ওরফে নাহিদ, নিজেদের তৈরি গ্রুপে বিভিন্ন বিষয়ে উগ্রবাদী কার্যক্রম আপলোড করত, সজিব মিয়া ওরফে খিজির ও মোশারফ হোসেন ওরফে আতিক সংগঠনের নতুন সদস্য সংগ্রহ করত পাশাপাশি সদস্যদের কাছ থেকে নিয়মিত চাঁদা সংগ্রহ করত। এছাড়া চঞ্চল হোসেন ওরফে আব্দুল্লাহ সংগঠনে যুক্ত হতে অন্যদের উদ্বুদ্ধ করতে অনলাইনসহ বিভিন্ন মাধ্যমে কাজ করত।

গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর অদূরে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও গ্রেপ্তার হোন নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলাটিমের দুই সদস্য। এরা হলো কামরুল হাসান ভুইয়া ও মোজাহিদ হোসেন। গ্রেপ্তারকৃত দুইজনই শিক্ষার্থী। কামরুল হাসান পড়াশুনা করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে আর মোজাহিদ পড়েন সিটি ইউনিভার্সিটি। মজার বিষয় হলো কামরুল হাসান পড়তেন নাট্যকলায়। পরে এমনভাবেই তার মগজধোলাই করা হয় সে চারুকলা পড়া হারাম বলে পড়াশুনা ছেড়ে দিয়ে যুক্ত হয় নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলাটিমে।

র‍্যাব-১১ এর সিনিয়র এএসপি সুমিনুর রহমান জানান,  মো. কামরুল হাসান ভূঁইয়া জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগে অধ্যয়নরত অবস্থায় জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়েন এবং পরবর্তীতে এসব লেখাপড়াকে হারাম মনে করে বাড়ি ফিরে যান ও পুরোপুরিভাবে জঙ্গি কার্যক্রম চালানোর সিদ্ধান্ত নেন। মোজাহিদ হাসান রাজধানীর সিটি ইউনিভার্সিটিতে কম্পিউটার প্রকৌশল বিভাগে পড়ালেখা করেন।

বাংলাদেশের ইংলিশ মিডিয়াম পড়ুয়া এক শিক্ষার্থী ফ্রান্সে গিয়ে জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়ার কারণে সে দেশ থেকে ফেরত পাঠায় সাইফ রহমান ওরফে তোতনকে। হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট-সিটিটিসি। সিটিটিসির উপ-কমিশনার মোহাম্মদ সাইফুল জানান, সাইফ রহমান ২০১৪ সালে ঢাকার ইউরোপিয়ান স্ট্যান্ডার্ড স্কুল থেকে এ লেভেল সম্পন্ন করে। এরপর অক্সফোর্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুল থেকে ও লেভেল সম্পন্ন করে ২০১৬ সালে ফ্রান্সের প্যারিসে ইউনিভার্সিটি অব ডি-সেরগি পন্টাইজে স্নাতক সম্পন্ন করেন। পড়াশোনা শেষ করে তিনি প্যারিসের ইউনিভার্সিটি অব প্যানথিয়ন আসাসে প্রশাসন শাখায় খণ্ডকালীন চাকরিতে যোগদান করেছিলেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সাইফ রহমান ২০১৬ সালে ফ্রান্সের প্যারিসে পড়তে যান। এ সময় তার মা জেরিন রহমানও তার সঙ্গে প্যারিসে অবস্থান করছিলেন। প্যারিসে থাকা অবস্থাতেই জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়েন সাইফ। কয়েক মাস আগে ফ্রান্স পুলিশ জঙ্গি সন্দেহে তাকে প্রথমে নজরদারি করতে শুরু করে। একপর্যায়ে তাকে বাসা থেকে আটক করে দেশটির পুলিশ। আটকের পর সাইফকে প্রায় দুই মাস প্যারিসের একটি ডিপোর্টেশন সেন্টার রাখা হয়। তিনি আরো বলেন, সাইফকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

গত ৭ নভেম্বর নব্য জেএমবির ৪ সদস্যকে আটক করে পুলিশ। এরা হলো আইটি শাখার সদস্য গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার তরশ্রীরামপুর গ্রামের তানভীর আহম্মেদ ওরফে আবু ইব্রাহিম (২৫), মিডিয়া শাখার প্রধান ও টাঙ্গাইলের ভুঞাপুর উপজেলার জগতপোড়া গ্রামের জাকারিয়া জামিল (৩১), সক্রিয় সদস্য ময়মনসিংহ সদরের চকশ্যামরামপুর গ্রামের আতিকুর রহমান (২৮) এবং একই গ্রামের আবু সাঈদ (৩২)। তাদের মধ্যে তানভীর আহম্মেদ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এবং আতিকুর রহমান নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। এছাড়াও সিরাজগঞ্জে ৫ জন জঙ্গি আটক করা হয়। এরাও ছিলেন শিক্ষার্থী।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দেওয়া তথ্য মতে, ২০১৬ সালে ১ জুলাই স্মরণকালে সবচেয়ে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটে গুলশানের হলি আর্টিজানে। যেখানে পুলিশ কর্মকর্তাসহ ২০ জনকে হত্যা করে জঙ্গিরা। ওই অভিযানে অংশ নেওয়া জঙ্গিরাসহ পরবর্তীতে জঙ্গি বিরোধী অভিযানে নিহত ও আটককৃতদের মধ্যে অধিকাংশই ছিল শিক্ষার্থী।

হলি আর্টিজানে হামলা নেওয়া মেধাবী শিক্ষার্থী নিব্রাস ইসলাম পড়াশোনা করেছেন ঢাকার উচ্চবিত্তদের জন্য প্রতিষ্ঠিত ইংলিশ মিডিয়াম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল টার্কিশ হোপ স্কুলে। মীর সামি মোবাশ্বির  স্কলাসটিকার এ-লেভেলের ছাত্র। বড় ভাই পড়ছেন কানাডার টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ে। রোহান ইমতিয়াজ স্কলাসটিকা স্কুলের সাবেক ছাত্র। আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলার পর আইএস হামলাকারী হিসেবে তাদের পাঁচ সদস্যের যে ছবি ইন্টারনেটে দেয়, তাতে রোহানের ছবি আসে। রাইয়ান মিনহাজের স্কুলজীবন কেটেছে খ্যাতনামা ইংলিশ মিডিয়াম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আগা খান স্কুলে। সেখান থেকে ও-লেভেল পাসের পর পড়েছেন আরেক সুপ্রতিষ্ঠিত ইংলিশ মিডিয়াম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্লে পেন-এ। এরপর মালয়েশিয়ার মোনাশ বিশ্ববিদ্যালয়ে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে যান রাইয়ান। থাকতেন মালয়েশিয়ার পেতালিং জায়া নামক এলাকায়। মালয়েশিয়ার মোনাশ ইউনিভার্সিটিরই আরেক ছাত্রকে শনাক্ত করা হয়েছে আন্দালিব আহমেদ হিসেবে। মোনাশে যাওয়ার আগে আন্দালিব পড়েছেন ঢাকার নামকরা ইংরেজি মাধ্যমের স্কুল সানিডেলে।

এ হামলার কিছুদিন পরই রাজধানীর কল্যাণপুরে জঙ্গি আস্তানার খোঁজ পায় পুলিশ। সেখানে অভিযানে গেলে জঙ্গিরা পুলিশকে উদ্দেশ্য করে হামলা চালালে পুলিশও পাল্টা গুলি করে অপারেশন স্টর্ম-২৬ নামে কল্যাণপুরে চালানো ওই অভিযানে নিহত হয় নয় জঙ্গি। এরা হলো দিনাজপুরের বল্লাহপুরের সোহরাব আলীর ছেলে আব্দুল্লাহ (২৩), পটুয়াখালীর কুয়াকাটার নুরুল ইসলামের ছেলে আবু হাকিম নাঈম (৩৩), ঢাকার ধানমন্ডির রবিউল হকের ছেলে তাজ-উল-হক রাশিক (২৫), গুলশানের বাসিন্দা সাইফুজ্জামান খানের ছেলে আকিফুজ্জামান (২৪), বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার বাসিন্দা তৌহিদ রৌফের ছেলে শেহজাদ রৌফ অর্ক ওরফে মরক্কো (২৪), সাতক্ষীরার ওমরপুরের নাসিরুদ্দিন সরদারের ছেলে মতিয়ার রহমান (২৪), নোয়াখালীর পশ্চিম মাইজদীর আব্দুল কাইয়ুমের ছেলে জোবায়ের হোসেন (২০) ও রংপুরের পীরগাছা থানার শাহাজাহান মিয়ার ছেলে রায়হান কবির ওরফে তারেক (২৬)। বাকি একজনের পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি। পরবর্তীতে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, তারা সবাই শিক্ষার্থী ছিলেন।

এছাড়াও হিযবুত তাহরীর নামের আরেকটি নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন রয়েছে। যাদের সদস্যদের মধ্যে অধিকাংশই শিক্ষার্থী।

পুলিশের এন্টি টেরোরিজম ইউনিটের পুলিশ সুপার সানোয়ার হোসেন বলেন, মগজ ধোলাইয়ের শিকার হয়ে কিছু শিক্ষার্থী বিপথগামী হয়ে জঙ্গিবাদে জড়িয়েছে। আর জঙ্গি নেতাদের টার্গেট থেকে এ ধরনের তরুণদের দলে ভেড়ানো। তিনি বলেন, বর্তমানে গোয়েন্দা নজরদারির কারণে তারা পিছু হটেছে। অনেকেই গ্রেপ্তার হচ্ছে কিছু আত্মগোপনে রয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি যারা আত্মগোপনে রয়েছে তাদেরও আইনের আওতায় আনার জন্য।

তিনি আরো বলেন, ভ্রান্ত ধারণায় তারা বিপথগামী হয়ে আছে। স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করলে ফিরে আসালে আমরা সহযোগিতা করব। নতুবা সামনে আরো কঠোরতম দিন তাদের জন্য অপেক্ষা করছে। 

র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ বলেন, মূলত শিক্ষার্থী যুবক ও তরুণদের টার্গেট করে দলে ভেড়ানো হয়। আমাদের হাতে আটককৃতদের মধ্যে মেধাবী শিক্ষিত তরুণরাও রয়েছে। যাদেরকে ভুলপথে পরিচালিত করেছে  জঙ্গি গোষ্ঠীর নেতারা।

তিনি বলেন, সারাদেশে আমাদের তীক্ষ নজরদারি রয়েছে। যারা এখনো ভুল পথে আছে তারা ফিরে আসুক নতুবা তারা গ্রেপ্তারের আওতায় আসবে। 

গত ১৪ জানুয়ারি র্যাবের নিকট আত্মসমর্পণ করে কয়েকটি জঙ্গি সংগঠনের নারীসহ ৯ সদস্য। এদের মধ্যে ৩ জন মেধাবী শিক্ষার্থী ছিলেন। শাওন মুনতাহা ইবনে শওকত : সিলেটের একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নকালীন সময়ে হিযবুত তাহরীরে যুক্ত হন। মো. সাইফুল্লাহ  মাদ্রাসায় অধ্যায়নকালীন তার সহপাঠীর মাধ্যমে জেএমবির সাথে যুক্ত হয়। মো. সাইফুল ২০১৩ সালে সে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স পাস করে।  ছাত্রাবস্থায় সে জেএমবিতে যোগ দেয়। এর বাইরে এক নারী সদস্য ডাক্তার ছিলেন।

আইজিপির কঠোর হুঁশিয়ারি

জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে আইজিপি ড. বেনজির আহমেদ কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ওই ককটেল, জর্দার কৌটা বা এ জাতীয় জিনিসপত্র দিয়ে তোমরা কারো বিরুদ্ধেই বিজয়ী হতে পারবে না; বরং ওই পথে গিয়ে তোমরা পরিবার-সমাজ বিচ্ছিন্ন হয়ে আছ। বেঘোরে প্রাণ যাওয়ার আশঙ্কাও আছে। এই অন্ধকার জগত তোমার নিজেকে, পরিবারকে এবং রাষ্ট্রকে বিপদে ফেলতে পারে।

বাংলাদেশ বার বার জঙ্গিবাদে আক্রান্ত হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তবে এর কোনোটাই বাংলাদেশ থেকে সৃষ্টি হয়নি। প্রতিবারই বাইরের দেশ থেকে এসেছে, প্রতিবারই শান্তিপ্রিয় মানুষের সহায়তায় আমরা তাদের পরাস্ত করেছি।

এখনো যারা এ ধরনের কাজে জড়িত, তাদের প্রতি আমাদের নজরদারি অব্যাহত আছে। র্যাব, অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিট, কাউন্টার টেরোরিজমসহ একাধিক টিম তাদেরকে নজরদারিতে রেখেছে। আমাদের গোয়েন্দা কমিউনিটিও এবিষয়ে তৎপর রয়েছে। হয়তো পরিপূর্ণভাবে সব ঘটনা শুরুতে বিনষ্ট করতে পারিনি। ১০০ ভাগ না হলেও অন্তত ৯০ ভাগেরও বেশি ঘটনা শুরুতেই বিনষ্ট করতে সক্ষম হয়েছি।

যারা সমাজের মূলধারায় ফিরে এসেছে, তাদেরকে অভিনন্দন জানিয়ে পুলিশ প্রধান বলেন, তোমরা আলোর পথের অভিযাত্রী, তোমাদের অভিনন্দন। জঙ্গিদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার এই ধারা বাংলাদেশই প্রথম চালু করেছে।

তিনি বলেন, হলি আর্টিজানের পর পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে আমাদেরকে নানা বিধিনিষেধ দিয়েছে। অনেকে বলেছে বাংলাদেশ আর ঘুরে দাঁড়াতে পারবে না। পৃথিবীর কোনো দেশ আমাদের তখন সহায়তা করেনি। কিন্তু দেশের মানুষকে সাথে নিয়ে আমরা জঙ্গিবাদকে পরাজিত করেছি। শুধু একবার নয়, জঙ্গিবাদ বার বার মাথাচাড়া দিয়ে উঠলে আমরা বার বার পরাজিত করব। কোনোক্রমেই দেশে জঙ্গিবাদের কার্যক্রম সফল হতে দেব না।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads