• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
মা ও দুই সন্তানের দেহে ১৪৯ আঘাতের চিহ্ন

প্রতীকী ছবি

অপরাধ

মা ও দুই সন্তানের দেহে ১৪৯ আঘাতের চিহ্ন

  • সিলেট ব্যুরো
  • প্রকাশিত ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২১

নৃশংস, বর্বর, পৈশাচিক। সব সংজ্ঞাই যেন ছাড়িয়ে গেছে সিলেটের ট্রিপল মার্ডারে। ক্ষোভ-ক্রোধ থাকলেও এমন নৃশংসতার বহিঃপ্রকাশ উপলব্ধিকেও হার মানায়। সিলেটে সৎ মা ও তার দুই শিশু এমন নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। আর হত্যাকারী কোনো অপরিচিত লোক নয়। নিহতের সতীনের ছেলে আহবাব হোসেন আবাদ (১৭)। ক্ষোভে-ক্রোধে তাদের ওপর এমন নৃশংসতা চালায় সে।

ময়নাতদন্ত করতে গিয়ে এমন নৃশংসতা দেখে ঘাবড়ে যান চিকিৎসক ও পুলিশ কর্মকর্তা। ঘাবড়ে যাওয়ারই কথা। সৎ মা ও তার দুই সন্তানের দেহে ১৪৯ আঘাতের চিহ্ন মিলেছে ময়নাতদন্তে। শনিবার ওসমানী মেডিকেল কলেজ মর্গে নিহত রুবিয়া বেগম (৩০), মেয়ে মাহা (৭) ও ছেলে তাহসানের (৪) ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রভাষক ডা. এন এম মিনহাজ উদ্দিন তিনটি মরদেহের ময়নাতদন্ত করেন। ময়নাতদন্তের বরাত দিয়ে মহানগরীর শাহপরান (র.) থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সারোয়ার হোসেন বলেন, ময়নাতদন্তকালে নিহত রুবিয়ার দেহে ৭২টি আঘাতের চিহ্ন মিলে। এর মধ্যে গুরুতর জখম ২০টি, খন্তির আঘাতে দেহে ছিদ্র মিলেছে ২০টি। এছাড়া হালকা আঘাত, ছিলা-আঁচড় জখমসহ মোট ৭২টি আঘাত রয়েছে। শিশু মাহার দেহে ৩৫টি আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ছোরা ও খন্তির গুরুতর জখম ১৫টি, বাকিগুলো ধারালো অস্ত্রের হালকা জখম। শিশু তাহসানের দেহে ৪২টি আঘাতের চিহ্নের মধ্যে নয়টি গুরুতর। বাকিগুলো ধারালো অস্ত্রের হালকা আঘাত। তিনি বলেন, ময়নাতদন্তের পর নিহতদের মরদেহ নিহতের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে স্বজনরা মরদেহ তিনটি দাফনের জন্য নিহত রুবিয়ার বাবার বাড়ি সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার ডৌবাড়ি ইউনিয়নের হাটগ্রামে নিয়ে যান। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি রাত ১২টার দিকে সিলেট সদর উপজেলার বিআইডিসি মীরমহল্লায় ভাড়া বাসায় সৎ মা রুবিয়া (৩০), মেয়ে মাহা (৭) ও ছেলে তাহসানকে কুপিয়ে হত্যা করে আহবাব হোসেন আবাদ। ঘটনার পর তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদেও সে হত্যার ঘটনা স্বীকার করে। এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে নিহতের ভাই আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে শাহপরান (র.) থানায় হত্যা ও প্ররোচনার দায়ে মামলা দায়ের করেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads