• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪২৮

অর্থনীতি

৫০৫ কোটি টাকাই হোলসিম'র নির্ধারিত মূল্য

  • প্রকাশিত ২৪ ডিসেম্বর ২০১৭

 

বিনিয়োগকারীদের তিন মাসের বেশি সময়ের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বেঁধে দেওয়া দামেই হোলসিম বাংলাদেশ কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট।

 

এজন্য সিমেন্ট খাতের এই কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ সংশোধিত ক্রয়-বিক্রয় চুক্তি কার্যকরে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে (সিইও) ক্ষমতা দিয়েছে বলে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) জানিয়েছে।

 

ডিএসইর ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, ১৭ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদিত ৫০৪ কোটি ৭৮ লাখ ১৯ হাজার ৯৪০ টাকায় হোলসিম বাংলাদেশের শতভাগ শেয়ার কিনতে সংশোধিত চুক্তিটি কার্যকর করবে লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট।

 

এদিকে হোলসিম কেনার ঝুলন্ত বিষয়টি নিষ্পত্তি হওয়ার খবরের মধ্যে রোববার ডিএসইতে সর্বোচ্চ দর বেড়েছে লাফার্জ সুরমা সিমেন্টের।

 

বেলা ১২টা নাগাদ এই শেয়ারটি আগের দিনের চেয়ে ৫ টাকা ৪ পয়সা বা ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ বেড়ে ৫৯ টাকা ৭০ পয়সায় লেনদেন হচ্ছিল।

 

২০১৫ সালের জুলাইতে বৈশ্বিকভাবে লাফার্জ ও হোলসিম একীভূত হওয়ার পর বিশ্বের সিমেন্ট খাতের বৃহৎ দুই কোম্পানি এক ছাতার নিচে এসে ‘লাফার্জহোলসিম’ নামে বিশ্বের সবচেয়ে বড় সিমেন্ট কোম্পানি হিসেবে যাত্রা শুরু করে। ধীরে ধীরে বিশ্বব্যাপী দুই গোষ্ঠীর ব্যবসা একীভূত হয়ে আসে।

 

বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট তালিকাভুক্ত হলেও হোলসিম না হওয়ায় বৈশ্বিকভাবে একীভূত লাফার্জহোলসিম গ্রুপ থেকে গত বছর হোলসিম বাংলাদেশের সব শেয়ার কিনে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।

 

এরপর লাফার্জ সুরমা সিমেন্টের পরিচালনা পর্ষদ ১১ কোটি ৭০ লাখ ডলারে (প্রায় ৯০০ কোটি টাকা) হোলসিম বাংলাদেশ লিমিটেডের শতভাগ সম্পদ কিনে তা একীভূত করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।ওই সিদ্ধান্ত পরে বিশেষ সাধারণ সভায় (ইজিএম) অনুমোদিত হয়।

 

বিধি মোতাবেক, তালিকাবহির্ভূত কোম্পানির শেয়ার বিক্রির অর্থ বিদেশে বিক্রেতা কোম্পানির সদরদপ্তরে পাঠাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমতি নিতে হয়। হোলসিম বাংলাদেশ ওই অর্থ পাঠাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে অনুমতি চাইতে গেলে গোল বাঁধে।

 

ডিএসইর তথ্যানুযায়ী, বাংলাদেশ ব্যাংক এক চিঠিতে লাফার্জ হোলসিম বাংলাদেশের অথরাইজড ডিলার স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংককে ওই অর্থের পরিমাণ প্রায় অর্ধেক কমিয়ে মোট ৬ কোটি ২৫ লাখ ২৭ হাজার ১৮৮ ডলারে (১৭ সেপ্টেম্বরের বিনিময় হারের ভিত্তিতে) হোলসিম বাংলাদেশের সব শেয়ার অধিগ্রহণের এবং সে অর্থ বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান হোল্ডারফিন বি ভির নামে বিদেশে পাঠানোর অনুমতি দেয়।

 

ক্রেতা ও বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানের ঐকমত্যের চেয়ে প্রায় ৪৬ শতাংশ কম দামে হোল্ডারফিন বি ভি লাফার্জ সুরমার কাছে হোলসিম বাংলাদেশের সব শেয়ার বিক্রি করতে চাইবে কি না তা নিয়ে বাজারে দ্বিধা ছিল, যার অবসান ঘটলো রোববার।

 

এর মধ্যে লাফার্জ সুরমা কোম্পানির নাম পরিবর্তন করে লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ লিমিটেড করেছে। তবে স্টক এক্সচেঞ্জে এখনো পুরনো নামই ব্যবহার হচ্ছে।

 

বাংলাদেশের স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত লাফার্জ সুরমা সিমেন্টের মুখ্য শেয়ারহোল্ডার ছিল লাফার্জ গ্রুপ। অন্যদিকে শেয়ারবাজারের বাইরে থাকা হোলসিম বাংলাদেশ লিমিটেডের ৭৪ শতাংশ শেয়ার ছিল হোলসিম গ্রুপ তথা হোল্ডারফিন বি ভির হাতে। ২১ শতাংশ সিয়াম সিটি ও সিয়াম সিমেন্ট এবং বাকি ৫ শতাংশ ছিল স্থানীয় ট্রান্সকম গ্রুপের হাতে।

 

একীভূতকরণ প্রক্রিয়া সহজ করতে হোল্ডারফিন বি ভি দুই গ্রুপের হাতে থাকা ২৬ শতাংশ শেয়ার কিনে নেয়।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads